জুডো একটি জাপানি মার্শাল আর্ট, যার মূল লক্ষ্য হলো প্রতিপক্ষকে নিক্ষেপ (throw) করে বা মাটিতে ফেলে দেওয়া । জুডো শিখতে গেলে নিরাপদে পড়া বা ব্রেকথ্রু করার কৌশল ভালোভাবে আয়ত্ত করা জরুরি। যদিও জুডোতে আঘাত করার কৌশল (যেমন ঘুষি বা লাথি) শেখানো হয় না, তবে কিছু পূর্ব-পরিকল্পিত ফর্মে এগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা প্রতিযোগিতায় সাধারণত অবৈধ। মূলত আত্মরক্ষার জন্য বলা হলেও জুডো খেলা, ব্যায়াম এমনকি চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও পরিচিত। গান-নাচ, ছবি আঁকা, গল্প-কবিতার মতো কারাতেও একধরনের শিল্পমাধ্যম। সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তিন-চার মাসে এক একটা অংশে আলাদাভাবে পাস করলে তবেই মেলে পরবর্তী রঙের বেল্ট বা কোমরবন্ধ।
সাধারণত ভর্তি হলেই সাদা বেল্ট দেওয়া হয়। তারপর একে একে হলুদ, কমলা, সবুজ, নীল, বেগুনি, লাল, বাদামি ও কালো। কালো কোমরবন্ধ প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ ধাপ। এ ছাড়া শিশুরা বয়সভিত্তিক ও বড়রা একই ওজনের ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও জিততে পারেন সোনা, রুপা কিংবা ব্রোঞ্জ পদক।
জুডোর প্রধান শিক্ষা:
নিক্ষেপ কৌশল (নাগে-ওয়াজা): প্রতিপক্ষকে নিরাপদে নিক্ষেপ করা এবং মাটিতে ফেলার কৌশল শেখা হয়।
মাটিতে লড়াইয়ের কৌশল (কাতামে-ওয়াজা): প্রতিপক্ষকে মাটিতে পিন করা, জোড় লক করা বা শ্বাসরোধ (chokehold) করার কৌশল।
ব্রেকথ্রু কৌশল (উকেমি): পড়ে যাওয়ার সময় যাতে আঘাত না লাগে, সেইজন্য নিরাপদে মাটিতে পড়ার বা ব্রেকথ্রু করার কৌশল।
আত্মরক্ষা: আত্মরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে জুডো ব্যবহার করা যেতে পারে।
শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন: জুডো শুধু শারীরিক শক্তিই বাড়ায় না, বরং এটি আত্মবিশ্বাস, নমনীয়তা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
https://www.scribd.com/document/428226617/Judo-tutorial