জানুয়ারি মাসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ-
১ জানুয়ারি: নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী নতুন বছর উদযাপন হয়।
১ জানুয়ারি: বিশ্ব পরিবার দিবস-পরিবারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালিত হয়।
২ জানুয়ারি: জাতীয় সমাজসেবা দিবস-এই দিনটি বাংলাদেশে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে পালিত হয়। সমাজের দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অবদানকে স্মরণ করা এবং সমাজসেবার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
৪ জানুয়ারি: বিশ্ব ব্রেইল দিবস-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির উদ্ভাবক লুই ব্রেইলের জন্মদিনটিকে বিশ্ব ব্রেইল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ব্রেইল শিক্ষা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসের লক্ষ্য।
১০ জানুয়ারি: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-বন্ধুর প্রত্যাবর্তন স্বাধীনতা ও বিজয়ের পূর্ণতা এনে দিয়েছিল।
১৯ জানুয়ারি: জাতীয় শিক্ষক দিবস-শিক্ষকদের মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য এই দিনটি পালিত হয়। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের অধিকার ও কল্যাণের বিষয়ে আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
২০ জানুয়ারি: শহীদ আসাদ দিবস-১৯৬৯ সালের এই দিনে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আসাদের আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল। এই দিনটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণ করা হয়।
২৪ জানুয়ারি: গণঅভ্যুত্থান দিবস-১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। দিবসটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
২৪ জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস। এই দিবসটি বিশ্বজুড়ে শিক্ষা ও এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পালিত হয়।
২৫ জানুয়ারি: জাতীয় সংস্কৃতি দিবস (বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হয়, বিশেষ করে স্কটল্যান্ডে)।
২৫ জানুয়ারি: কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস-প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ১৯৮৫ সালের এই দিনে অ্যাপলের ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে প্রথম বাংলা লেখার সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেন। এই দিনটি বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে স্মরণ করা হয়।
২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস/আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস-বিশ্বব্যাপী কাস্টমস প্রশাসনের ভূমিকা উদযাপনের জন্য এই দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে শুল্ক বিভাগের ভূমিকা ও গুরুত্ব তুলে ধরাই এই দিবসের উদ্দেশ্য। বাংলাদেশও ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সদস্য হিসেবে এই দিবসটি পালন করে।
২৭ জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক holocaust স্মরণ দিবস, যেখানে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে যেই গণহত্যা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত আলোচনা ও স্মরণ করা হয়।
২৭ জানুয়ারি: সলঙ্গা দিবস-১৯২২ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ব্রিটিশ বিরোধী এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে বহু মানুষ নিহত হন। এই দিনটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির সাহসী প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পালিত হয়।
২৮ জানুয়ারি: তথ্য সুরক্ষা দিবস-তথ্য ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিবসটি পালিত হয়। ডিজিটাল যুগে তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
৩০ জানুয়ারি জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। তাদের স্মরণে এই দিবস পালিত হয়।
জানুয়ারি শেষ রবিবার, জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ দিবস-কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিবস পালন করা হয়।
জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি ব্যক্তিত্ব-
স্মরণীয় দিবস-৮টি
৪ জানুয়ারি – আইজাক নিউটন (১৬৪৩-১৭২৭) পদার্থবিজ্ঞানের জনক, মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কারক।
৬ জানুয়ারি জোয়ান অফ আর্ক ( ১৪১২-১৪৩১): ফ্রান্সের জাতীয় বীর ও ক্যাথলিক সাধ্বী। আগুনে পুড়িয়ে মারা যান। ইংরেজদের দ্বারা আয়োজিত একটি ধর্মীয় আদালতে তাকে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর।
৮ জানুয়ারি – স্টিভেন হকিং (১৯৪২-২০১৮) ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ("আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম")।
৮ জানুয়ারি: মহাত্মা গান্ধী (১৮৬৯ - ১৯৪৮), ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা।
১৫ জানুয়ারি – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র (১৯২৯-১৯৬৮) নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী।
১৭ জানুয়ারি: বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন (১৭০৬ - ১৭৯০), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Founding Father এবং বিজ্ঞানি।
৩০ জানুয়ারি: ফ্রাঞ্জ ক্যাফকা (১৮৮৩ - ১৯-এর), বিখ্যাত চেক লেখক পরিচিত তাঁর অসাধারণ ও অনবদ্য রচনার জন্য।