মার্চ মাসে বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ
১ মার্চ: জাতীয় ভোটার দিবস: জনগণের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
১ মার্চ – শূন্য বৈষম্য দিবসঃ এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন এবং সকল প্রকার অসাম্য, কুসংস্কার ও বিভেদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২ মার্চ: জাতীয় পতাকা দিবস: ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি জাতীয় পতাকা ও এর তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালিত হয়।
৩ মার্চ: বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস: বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের সুরক্ষা এবং তাদের সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
৪ মার্চ – বিশ্ব যৌন নিপীড়ন বিরোধী দিবস।এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সমাজে এর প্রতিরোধে সবাইকে একত্রিত করা।
৭ মার্চ: ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ: ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিল।
৮ মার্চ: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: নারী অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে পালিত হয়।
১৪ মার্চ – আন্তর্জাতিক নদী রক্ষা দিবসঃ এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো নদীর প্রতি মানুষের কর্তব্য, নদীরক্ষার দায়িত্ব এবং মানুষের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
১৪ মার্চ – পাই দিবস। এটি একটি আনন্দদায়ক ও শিক্ষামূলক দিবস, গোলাকার পাই (পাই crust) বা পাই-আকৃতির কেক, পিজা বা কুকিজ তৈরি ও খাওয়া হয়।স্কুল-কলেজে পাই-সম্পর্কিত কুইজ বা গণিত সমস্যা সমাধানের প্রতিযোগিতা হয়।
১৫ মার্চ: বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস: ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
১৭ মার্চ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস: এই দিনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। একই সাথে দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়, যেখানে শিশুদের অধিকার ও কল্যাণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
২০ মার্চঃ বিশ্ব সুখ দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবস, মানুষের সুখ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে।
২১ মার্চ: বিশ্ব বন দিবস: বন ও বনভূমির গুরুত্ব এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
২১ মার্চ: বিশ্ব কবিতা দিবস: কবিতা শিল্পের প্রচার, পঠন, লিখন ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কবিতার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক এই দিনটি পালিত হয়।
২১ মার্চ: আন্তর্জাতিক বর্ণবাদ ও জাতিগত বৈষম্য বিলোপ দিবস: বর্ণবাদ ও জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং এর নির্মূলের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে এই দিনটি পালিত হয়।
২২ মার্চ: বিশ্ব পানি দিবস: জল সম্পদের গুরুত্ব এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
২৩ মার্চ: বিশ্ব আবহাওয়া দিবস: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং আবহাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালিত হয়।
২৪ মার্চ: গণঅভ্যুত্থান দিবস-১৯৬৯ সালের এই দিনে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলে।
২৪ মার্চ: বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস: যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে এই দিনটি পালিত হয়।
২৫ মার্চ: গণহত্যা দিবস: ১৯৭১ সালের এই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর নৃশংস গণহত্যা চালায়। এই দিনটি সেই ভয়াবহ স্মৃতিকে স্মরণ করে এবং গণহত্যার শিকারদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে পালিত হয়।
২৬ মার্চ: স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস: ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই দিনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস, যা নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়।
২৭ মার্চ – বিশ্ব নাট্য দিবস। নাট্যকলা ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো। বিশ্বব্যাপী নাট্যকর্মীদের মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতা এবং নাট্যকলা চর্চা ও নাট্যকর্মীদের অবদানের স্বীকৃতি জানানো এবং সমাজে নাটকের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই দিনটি পালন করা হয়।
মার্চ মাসে দেশি-বিদেশি ব্যক্তিত্ব-
৩ মার্চঃ আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল: টেলিফোনের আবিষ্কারক (জন্ম:, ১৮৪৭)
১৪ মার্চ বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন-এরও জন্মদিন, আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জনক।
১৭ মার্চ: জাতীয় শিশু দিবস (বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন)