হেল্থ টিপস্-১০১ ▌ মুখের দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন?: 

মুখের অভ্যন্তরে যেসব কারণে দুর্গন্ধ হতে পারে সেগুলো হলো : (ক) মাড়ি রোগ : একিউট নেকরোটাইজিং আলসারেটিভ জিনজিভাইটিস বা পচনশীল ঘা-যুক্ত মাড়ির প্রদাহ। (খ) পেরিওডন্টাল রোগ : এ রোগে অসংখ্য অ্যানোরবিক ব্যাকটেরিয়া মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে। অভ্যাসগত যেসব কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে সেগুলো হলো : (ক) মুখের মাধ্যমে শ্বাস নেয়া। (খ) ধূমপান। (গ) নিয়মিত দাঁত ব্রাশ বা ফ্লসিং না করা। (ঘ)  জিহ্বা পরিষ্কার না করা। *  গলায় সংক্রমণ। *  ফুসফুসে সংক্রমণ। ওষুধগুলো হলো- * বিষণœœতানাশক ওষুধ। * অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ। * অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ।  মুখের দুর্গন্ধের আংশিক চিকিৎসা : (ক) পেরিওডন্টাল রোগ থাকলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। (খ) যেসব কারণে শুষ্ক মুখের সৃষ্টি হয়ে থাকে তার চিকিৎসা করতে হবে। (গ) দুর্গন্ধের চিকিৎসায় মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।


 হেল্থ টিপস্-১০২  ▌  আঙুল ফুলে অবশ, ব্যথা?: 

হাতের কবজি থেকে হাতের তেলো ও আঙুলগুলো অবশ হয়ে আসা, ঝিঁঝি করা, কখনো ব্যথা হওয়া বা ফুলে যাওয়াÑএই সমস্যার নাম কারপাল টানেল সিনড্রোম। মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যার প্রবণতা তিন গুণ বেশি। বিশেষ করে, গর্ভাবস্থায় প্রায়ই এই সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দেয়। কন হয়? কবজিতে একটা ছোট্টো টানেল বা গহ্বর আছে, যার নাম কারপাল টানেল। এই টানেল দিয়ে বিভিন্ন শিরা ও ¯œায়ু হাতে প্রবেশ করে। এর অন্যতম হলো সিডিয়ান নার্ভ। কোনো কারণে এই টানেলে এই নার্ভ চাপ খেলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফুলে যাওয়া, পানি জমা বা চাপ পড়ার কারণে এমন হতে পারে।  থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও লুপাস-জাতীয় রোগ এর ঝুঁকি বাড়ায়। কখনো একই ধরনের হাতের কাজ বারবার করার কারণে (যেমন সেলাই, বোনা, গলফ খেলা বা বেহালা বাজানো) টানেলের ওপর চাপ পড়ে। স্থূলতা একটি অন্যতম কারণ।


হেল্থ টিপস্-১০৩ ▌ অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা: 

ডিপিএলডি বা ডিফিউজ প্যারেনকাউমাল লাঙ ডিজিজ একটি জটিল রোগ, যাতে ফুসফুসের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে বিনষ্ট হয়ে যায়। এই রোগের প্রধান দুটি লক্ষণ হলো শুকনো কাশি ও অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট বা হাঁপিয়ে ওঠা। এই কাশি কোনো অ্যান্টিবায়োটিক বা ওষুধে সারতে চায় না। শ্বাসকষ্ট ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একসময় স্থায়ী রূপ নেয়, তখন পরিশ্রম ছাড়াও কষ্ট হতে থাকে। এর সঙ্গে বাতব্যথার সমস্যাও থাকতে পারে। ফুসফুসে সিলিকা কণার দূষণ (সিলিকোসিস), কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগ (যেমন-রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, সারকোয়ডোসিস), দেরিতে ধরা পড়া বা জটিল যক্ষ্মাসহ আরও নানা অজানা কারণে ডিপিএলডি হতে পারে। ডিপিএলডির চিকিৎসার চেয়ে তাই প্রতিরোধই উত্তম। যক্ষ্মা নির্ণয় ও চিকিৎসায় অবহেলা করা যাবে না মোটেও। তিন সপ্তাহের অধিক সময় কাশি বা জ্বর, ওজন কমতে থাকলে অবশ্যই সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিন। 


হেল্থ টিপস্-১০৪ ▌ কিছু রোগের পরীক্ষা করার সহজ উপায়:

 ১। চোখের সমস্যা: একটি থেমে থাকা গাড়ির পেছন দিক থেকে সোজাসুজি ২০ পা পিছিয়ে যান। এবার দেখুন তো, আপনি গাড়ির নম্বর প্লেটের সংখ্যাগুলো যদি ঝাপসা দেখেন, তাহলে দৃষ্টিগত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ২। রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা: চোখের উপরিভাগ ও নিচের ত্বকের দিকে ভালোভাবে তাকান। সেখানে সামান্য ফোলা হলুদ ভাব আছে কিনা! যদি থাক, তবে সেটি হল জমে থাকা ফ্যাটের লক্ষণ।  ৩। হজমে সমস্যা: খাওয়ার আগে নিজের নরমাল পালস মেপে নিন, কবজিতে আক্সগুল দিয়ে। খাওয়া শেষ করে আবার মাপুন, দেখুন, যদি পালস মিনিটে ১০ বিট বেশি হয়, তাহলে এটি আপনার হজমে সমস্যা। ৪। আয়রনের অভাব: হাতের পাতা মেলে দিন টান টান করে। খেয়াল করুন, হাতের গভীর রেখাগুলোও সাদাটে হয়ে আসলে বুঝবেন আপনার দেহে আয়রনের ঘাটতি।


হেল্থ টিপস্-১০৫  ▌ভুঁড়ি ঠেকাতে মেনে চলুন ৪ নিয়ম: 

১. কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে ভুঁড়ি হওয়ার প্রথম ধাপ। খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়, তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ৬-৮ গ্লাস তরল জাতীয় খাবার পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন। ২। খাবার যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে। ৩. কোমলপানীয়ের কার্বন-ডাইঅক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হবার ফলে ভুঁড়ি হয়। যতটা সম্ভব কোমলপানীয় এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে লেবুর সরবত খান। ৪. চিনি এড়িয়ে চলুন। চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুতরাং চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। চিনির পরিবর্তে মধু কিংবা  কিংবা সুগার ফ্রি খাবার খেতে পারেন।


হেল্থ টিপস্-১০৬  ▌স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিছু অভ্যাস: 

১. সকালের নাশতাটা হচ্ছে সারাদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোজন। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পুষ্টি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিয়ে সকালের নাশতাটা একটু ভালোমতো করে নিতে। এরপর দিনের বাকি সময়টুকুতে নির্দিষ্ট সময় পরপর ৪ থেকে ৫বার ছোট পরিসরের কিন্তু পুষ্টিকর খাবার নিন। তবে স্বাস্থ্যকর যে কোনও স্ন্যাক্সও চলতে পারে। ২. দৈনিক চা-কফি গ্রহণের মাত্রাটা দুই কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন। পানীয়ের প্রয়োজনে যতটুকু সম্ভব পানি গ্রহণ করুন। ৩.পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।  ঘুমের স্বল্পতা আপনার পরিপাক ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলার কারণে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে। ৪. প্রস্রাবের বেগ দীঘর্ক্ষণ চেপে রাখলে আপনার মূত্রথলির জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেবে।  মানবদেহের ৬০ শতাংশই থাকে পানি।  সুস্থ হৃৎপি- ও কিডনির জন্য দৈনিক অন্তত দুই লিটার পানি প্রয়োজন। 


হেল্থ টিপস্-১০৭ ▌নরম বিছানা শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়: 

অনেক অভিভাবকই শিশুর শোবার জন্য নরম বালিশ ও কম্বলের ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু এতে শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে আসে। অধিকাংশ বাবা-মা মনে করেন, তার শিশুর ঘুমানোর জন্য নরম বিছানা অনেক বেশি আরামদায়ক এবং তা শিশুটিকে আঘাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন ওই গবেষণার অন্যতম লেখক ওয়াশিংটন ডিসি এর চিলড্রেন মেডিক্যাল সেন্টারের র‌্যাচেল মুন। একটু বড় শিশুদের ছাড়া প্রকৃতপক্ষে নরম বিছানার কোন প্রয়োজনই নেই ছোট শিশুদের। এছাড়া শিশুদের তাদের বাবা মায়ের দিকে অথবা পাকস্থলীর দিকে কাত করে শোয়ানোর কারণে বিভিন্ন সমস্যা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সিডস গবেষক ফার্ন হুক বলেন, শিশুরা যে কোন জায়গাতেই ভাল ঘুমাতে পারে। শক্ত বিছানায়ও তারা অনেক ভাল ঘুমায়।


হেল্থ টিপস্-১০৮  ▌কমবয়সী নারীরা বসে থাকতে থাকতে ডায়াবেটিসের শিকার: 

২৫ থেকে ৩৫ বছরের নারীদের মধ্যে যারা দীর্ঘ সময় বসে থাকেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন তারা। মূলত অলস জীবনযাপন এবং বিবেচনাহীন খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। যাদের খাদ্যাভ্যাস হচ্ছে  ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া এবং ফলের প্রতি আগ্রহ কম। তারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকছেন এবং স্থুলতায় আক্রান্তÍ হবেন। আমাদের দেশে এই বয়সী মেয়েদেরকে সাধারণত ঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়। এরকম অলস জীবন যাপনের ফলে সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের মতে, ভারত-বাংলা দেশকে বিশ্ব ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা যায়। এখানে পাঁচ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বেশি পরিমাণে তেল, ঘি, মাখন ও কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের কারণে মুটিয়ে যাওয়া এবং হাইপারটেনশান বাড়ছে। পরিণতিতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ব্যাপক হচ্ছে।


হেল্থ টিপস্-১০৯  ▌ কেউ বিষ পান করলে যা করবেন: *

রোগী শ্বাস নিতে না পারলে তাকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিতে হবে। *সজ্ঞান রোগীকে সর্বপ্রথম একগ্লাস পানি বা দুধ পান করানো ভালো কারণ এতে বিষ পাতলা হয়ে যায় ও বিষের ক্ষতির প্রভাব কমে আসে। শিশুদের ক্ষেত্রে আধা গ্লাসের মতো পানি বা দুধ রোগীকে পান করানো ভালো। অজ্ঞান রোগীকে তরল দেয়া যাবে না। তাকে সুবিধাজনক স্থানে শুইয়ে দিতে হবে। *রোগীর শরীরে খিঁচুনি থাকলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রোগীকে বমি করানো যাবে না। ৪ ঘণ্টার ভেতর বিষ খেয়ে থাকলে এবং জ্ঞান থাকলে রোগীকে নি¤œলিখিতভাবে বমি করানো যেতে পারে:- *মুখের মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে বমি করানো যায়। *খারাপ স্বাদযুক্ত ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম গরম দুধসহ বা স্বল্প গরম লোনা জল পান করালে অনেকেরই সহজে বমি হয়ে যায়। তিতা কোনো দ্রব্য মুখের মধ্যে দিয়েও বমি করানো যেতে পারে। বমি করানোর সময় রোগীর মাথা নিচের দিকে ও মুখ পাশে কাত করিয়ে রাখতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১১০ ▌ দাঁড়িয়ে কাজ করার ঝুকি:  

শপিং মলের বিক্রেতা, পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সার্জন, নার্স, শিক্ষকসহ অনেক পেশায় মানুষকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হাঁটু ব্যথা, কাফ মাসলে ব্যথা, রক্তনালির সমস্যা, পা ফুলে যাওয়াসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। কী করা উচিত?  মাথা, ঘাড়, পা, পায়ের আঙুল লম্বালম্বি ও সোজা রাখুন। আঁকাবাঁকা হয়ে দাঁড়াবেন না। শরীরটা কাজসংশ্লিষ্ট বস্তুর কাছাকাছি থাকবে, যেমন টেবিল বা কাউন্টার। পায়ের নিচে বিশেষ ম্যাট বা পিঁড়ি দিতে পারেন, সুবিধা অনুযায়ী পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। কাজে বিরতি দিয়ে মাঝেমধ্যে বসতে পারেন, ঘুরে বা হেঁটে আসতে পারেন। একটানা লম্বা সময় ধরে একইভাবে কাজ করে যাওয়া উচিত নয়। কোমর বা ঘাড় বাঁকিয়ে একনাগাড়ে ভুল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা উচিত নয়। উঁচু হিল বা আরামদায়ক নয় এমন জুতা পরে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করবেন না।


হেল্থ টিপস্-১১১  ▌হেঁচকি বন্ধ করার কয়েকটি অব্যর্থ কৌশল: 

১. আপনার যদি এমন হঠাৎ করে হেঁচকি ওঠে, তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। সমস্যা মিটে যাবে। ২. এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে। ৩. বেশি করে পানি খান। বিশেষ করে ঠা-া পানি খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। ৪. লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়। ৫. হেঁচকি বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে সেটি চুষুন। এটি হেঁচকি বন্ধ করতে বেশ কার্যকর। ৬. হেঁচকি বন্ধ করতে লেবুর রসের সঙ্গে আদা কুচিও খেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন। ৭. হেঁচকি বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হলো দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন হেঁচকি নিমেষেই বন্ধ হয়েছে।


হেল্থ টিপস্-১১২  ▌ওজন নিয়ে কাজ করা- কিছু সতর্কতা ও পরামর্শ: 

০  নিচ থেকে কিছু তোলার সময় অবশ্যই হাঁটু ভাজ করে তুলুন। কখনও কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে কিছু তুলবেন না। ০ কোন কিছু বহন করার সময় ঘাড়ের ওপর তুলবেন না। ভারী জিনিসটি আপনার শরীরের কাছাকাছি রাখুন। পিঠের ওপর ভারী বিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন। ০ হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না। ০ ১০ মিনিটির বেশি একটানা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। ০ অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন। ০ কোমর ব্যথা হলে চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাজ করুন। এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন। পা দুটি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন। দুই হাতের উপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।


হেল্থ টিপস্-১১৩  ▌কোলেস্টেরল কমাবেন কীভাবে?: 

চর্বিমাত্রই খারাপ নয়, এর কাজ আছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত চর্বি খারাপ। খারাপ চর্বি হলো প্রধানত এলডিএল, যা রক্তনালিতে জমা হয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি করে। আবার এইচডিএল হলো ভালো চর্বি, যা বেশি থাকা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল ও এইচডিএলের মাত্রা নির্ধারিত পরিমাপের বেশি হয়ে গেলে তা নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই রোগীকে শরীরের চর্বি কমাতে উপদেশ দেওয়া হয়। কেবল তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া কমালেই হবে না। আমিষ বা প্রোটিন, শর্করা ও চর্বিÑ সব উপাদানই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়ে শরীরে চর্বি হিসেবে জমা হতে পারে। তাই মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হবে, বিশেষ করে অতিরিক্ত শর্করা বা চিনি। গরু-খাসির মাংসের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি, ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, ক্রিম ইত্যাদি খারাপ চর্বি। খাবার রান্নায় তেল কম ব্যবহার করুন। বারবার একই তেলে ভাজাভুজি করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।


হেল্থ টিপস্-১১৪  ▌মোটা হওয়ার কিছু টিপস:

১. উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ফল যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে। ২. খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন। ৩. খাবার প্লেট পুরে খাওয়া হলে খাবারের ক্যালোরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। ৪.  ডুবো তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। ফাস্টফুটও  খেতে পারেন। ৬.  ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের ফ্যান না ফেলাই ভালো। ৭.  রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার প্লেট ভরে খাবেন।  উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবারগুলো খেতে পারেন অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমলপানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি।


হেল্থ টিপস্-১১৫  ▌ঘুম থেকে ওঠার পরেই মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, কি করবেন: 

সকালে উঠে কি মনে হয় জল খেতে হবে? জেরোস্টোমিয়া নামক একটি রোগের কারণে মুখের লালার অভাবে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়। কোন কোন রোগের কারণে আমাদের এমন কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়, যা আমাদের মুখ শুষ্ক করে দিতে পারে। বিশেষত হতাশা,ব্যথা অথবা পেশী শিথিলতার জন্য যে সম¯স্ত ওষুধ আমরা খাই তার ফলে এই শুষ্ক ভাব আসতে পারে আমাদের মুখে।  অনেক সময় আমরা ঘুমিয়ে পড়লে মুখদিয়ে নিশ্বাস নিতে থাকি। এর প্রধান কারণ হতে পারে হাইপোসালিভেশন।  আজই এটি ত্যাগ করতে চেষ্টা করুন। যদি আপনার মুখ শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই একবার রক্ত পরীক্ষা করিয়ে ডায়াবেটিস আছে কিনা জেনে নেবেন। অতিরিক্ত ধূমপান-এর ফলে আমাদের মুখের লালা উৎপাদন কমে যায় যা মুখ শুষ্ক  হতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-১১৬  ▌কিভাবে ও কতক্ষণ হাঁটলে ওজন কমে?: 

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া করাÑ এ সব কিছুই অত্যন্ত জরুরি। শুধু ওজন কমাতেই নয়, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও হাঁটা অত্যন্ত কার্যকরী! শরীরের বাড়তি ওজন ঝরাতে প্রতিদিন হাঁটার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে মাত্র চার দিন হাঁটলেই চলবে। তবে এই চার দিন অন্তত ৩০ মিনিট স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি গতিতে হাঁটতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ মিল হলে যা হয়: স্বামী পজিটিভ (+) স্ত্রী পজেটিভ (+) হলে সুস্থ সন্তান। স্বামী নেগেটিভ (-) স্ত্রী নেগেটিভ (-) হলে সুস্থ সন্তান। স্বামী নেগেটিভ (-) স্ত্রী পজেটিভ (+) হলে সুস্থ সন্তান। স্বামী পজিটিভ (+) স্ত্রী নেগেটিভ (-) হলে প্রথম সন্তান সুস্থ, দ্বিতীয় সন্তান থেকে সমস্যা হয়।


 হেল্থ টিপস্-১১৭ ▌বিয়ের পর যেসব কারণে মেয়েদের ওজন বাড়ে: 

১)সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা : বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না। ২)ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার : বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।  ৩) নিজের জন্য সময় নেই : বিয়ের পর নতুন স¤পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, এটিও একটি কারণ। ৪)গর্ভধারণের জন্য : গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন।  সন্তান জন্মের পর শরীর ফিট রাখার চেষ্টা থেকে বিরত থাকেন, এটি রড় কারণ। ৫) জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি : জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি গ্রহণ যেমন পিল বা ইনজেকশন এসব গ্রহণের কারণেও বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ফিট থাকার চেষ্টা করে না।


হেল্থ টিপস্-১১৮  ▌সুস্বাস্থ্যের জন্য সূর্যের আলো:

 ১) দাঁতের চারপাশের হাড়ে যে লিগামেন্ট আছে তা ভিটামিন ডি এর অভাবে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে দাঁত নরম হয়ে পড়ে। সূর্যের আলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে যা আমাদের দাঁতকে শক্ত করে। ২) সূর্যের আলোতে মাইক্রোবায়াল পেপটাইড, কেথেলিচিডিন এবং বিটা ডিফেঞ্চিন-২ পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে। এসব উপাদান মুখের ব্যাকটেরিয়া ও মাড়ির রোগ দূর করে । ৩) সূর্যের আলো মাত্র ২০ মিনিটে রক্তের কনিকা থেকে নাইট্রিক এসিড নিঃসৃত করতে পারে যা স্ট্রোক,হার্ট অ্যাটাক এবং রক্ত জমাট বাঁধা দূর করে। ৪) ভিটামিন ডি এর উচ্চতর মাত্রা লিভার ডি-টোক্সিফিকেশন সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে।  ৫) সূর্যের আলো স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৬) যারা সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকেন, তাদের অস্থি দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঝুঁকি বেশি, চূড়ান্তভাবে যা অস্টিওপোরোসিসে রূপ নেয় বলে জনিয়েছেন চিকিৎসকরা। র সেলগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। 


হেল্থ টিপস্-১১৯ ▌যে কারণে প্রতিনিয়তই কমছে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: 

অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া-ইদানিং মানুষ ফাস্টফুডের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । কিন্তু অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায় । ফলে ঘন ঘন অসুস্থতা দেখা দেয়। হাত ধুতে আলসেমি করা-যাদের হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে আলসেমি আছে তাঁরা সাধারণত অন্যদের তুলনায় বেশি অসুস্থ হয় এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দীর্ঘক্ষন বসে থাকা- কর্মক্ষেত্রে অথবা পড়াশোনার জন্য অনেকেরই দিনের অধিকাংশ সময় বসেই কাটিয়ে দিতে হয়। তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ- প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে । একাকীত্ব-কোথাও আড্ডা দেয়ার কিংবা একসঙ্গে গল্প করে সময় কাটানোর জন্য আশে পাশে আপনার যদি কেউ না থাকে তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত কমে যাবে।


হেল্থ টিপস্-১২০ ▌ 'অদ্ভুত ৩ টি লক্ষণ মিলিয়ে চিনে নিন দেহের ভেতর লুকোনো রোগগুলোকে: 

১। চুল পড়ছে? থাইরয়েডের সমস্যা নয় তো? দেহে যখন হরমোন তৈরির গ্ল্যান্ড থাইরয়েড ঠিকমতন কাজ করতে পারে না তখন দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেগুলো সরাসরি হরমোনের স্বাভাবিক নিঃসরনের সাথে যুক্ত। এই প্রথম লক্ষণ ধরা পড়তে পারে আপনার চুলে। হঠাৎ করেই যদি বাড়াবাড়ি রকম চুপ পড়তে শুরু করে তাহলে অবশ্যই থাইরডের চেক আপ করে নিন। ২। কানে কম শোনা হতে পারে ডায়াবেটিসের লক্ষণ: রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাবার কারণে তা আপনার কানের রক্তের ধমনীকেও আক্রান্ত করতে পারে। ফলে আপনি কানে কম শুনতে পারেন। ৩। হার্টের সমস্যা বুঝতে আয়না দেখুন: আয়নার নিজের চেহারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। যদি নিজেকে নিজের বয়সের তুলনার বেশি  বয়স্ক মনে হয়, যেমন; ত্বকে অতিরিক্ত বলিরেখা, মাথায় টাক পড়ে, আপনার দেহে হার্টের সমস্যা বাসা বাঁধছে। 


হেল্থ টিপস্-১২১ ▌ সর্বদা স্লিম থাকার ৪টি গোপনসূত্র:

১) ছোট ছোট চুমুক-পানি ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু পান করার সময় ধীরে চুমুক দিন এবং ছোট ছোট চুমুক দিয়ে পান করুন।  যেমন কমলার রস, বা যেকোনো  ড্রিংকস ইত্যাদি। ২)সুগন্ধিযুক্ত খাবার খান-খাবারের সুবাস দ্রুত পেট ভরাতে সাহায্য করে। অল্প খেলেই খাবার ইচ্ছা কমে যায়। ৩)ছোট প্লেটের ব্যবহার- বড় প্লেটে খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা একটু বেশি খেয়ে ফেলি। ছোট প্লেটে খাবার কম ধরলেও তা দেখতে বেশি লাগে। তাই এই কৌশলও প্রয়োগ করতে পারেন। ৪)আলো কমান, আওয়াজ কমান- গবেষণায় দেখা গেছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশ মানুষকে বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই বাড়িতেই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ তৈরি করুন। খাবার খাওয়ার সময় যতটা সম্ভব আলো এবং আওয়াজ কম  রাখুন। রেস্টুরেন্টের মতো মৃদু শব্দে মিউজিকও চালিয়ে রাখতে পারেন।


হেল্থ টিপস্-১২২ ▌অতিরিক্ত প্রোটিন পুরুষদের হার্টের ক্ষতি করে: 

অতিরিক্ত প্রোটিনে মধ্যবয়সি পুরুষদের হার্ট ফেইলিয়রের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর হল এটাই, মাছ বা ডিম থেকে যে প্রোটিন আমরা পাই, তা হার্টের ক্ষতি করে না। প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি মৃত্যুও ত্বরান্বিত করে প্রাণীজ প্রোটিন। বয়স বাড়ার সঙ্গে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। সহজে গলা থেকে মাছের কাঁটা নামাবেন যেভাবে: গলায় আটকানো মাছের কাঁটা সাদা ভাত দিয়ে খুব সহজে নামানো যায়। এক মুঠো সাদা ভাত গিলে একটু পানি খান। এতে সহজে কাঁটা নেমে যাবে। কলা: গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি কলা খান। এতে খুব দ্রুত কাঁটা নেমে যাবে।


হেল্থ টিপস্-১২৩ ▌ জিভ দেখে স্বাস্থ্য সমস্যা জানার উপায়: 

আপনার জিভ যদি ফ্যাকাসে হয় তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা থাকার সম্ভাবনা আছে। শরীরে রক্ত কম থাকলে সাধারণত জিভের রং ফ্যাকাশে দেখায়। আপনার জিভ যদি সাদাটে বর্ণ ধারণ করে থাকে এবং জিভের উপরে সাদা রুক্ষ আবরণ থাকে যা পরিষ্কার করলেও যেতে চায় না তাহলে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। আপনার জিভ যদি লালচে অথবা গাঢ় গোলাপি বর্ণ ধারণ করে এবং জিভে স্ট্রবেরির দানার মতো ছোট ছোট দানা অনুভব করেন তাহলে দুধরনের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে আপনার। জ্বরের কারণে জীভ লাল এবং দানাদার হয়ে যায় অনেক সময়। আবার ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২ এর অভাবেই জিভ এমন লালচে দানাদার হতে পারে। জিভে যদি জড়তা অনুভভ করেন কিংবা জিভ অবশ মনে হয় তাহলে সেটা মস্তিষ্কের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে। স্ট্রোক, নার্ভের কোনো সমস্যার কারণে এধরণের অনুভুতি হতে পারে আপনার।


হেল্থ টিপস্-১২৪ ▌ব্লাড ডোনেশন: কারা রক্ত দিতে পারবে? : 

১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারী ও পুরুষ  ৪ মাস অন্তর অন্তর রক্ত দিতে পারবেন। নারীর সর্বনি¤œ ওজন ৪৫ কেজি ও পুরুষের সর্বনি¤œ ওজন ৫০ কেজি হতে হবে। রক্তদাতার নাড়ির গড় গতি প্রতি মিনিটে ৭০-৯০ বিট হতে হবে।  কারা রক্ত দিতে পারবে না? ১) এইডস, হেপাটাইটিস বি ও সি সহ যেকোন ভাইরাসজনিত রোগ, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হলে ২) যক্ষারোগে আক্রান্ত হবার ২ বছর এবং গুটি বসন্ত রোগে আক্রান্ত হবার ১ বছরের মধ্যে রক্ত দান করা যাবে না ৩) বহুমূত্র (ডায়বেটিস) রোগী, শ্বাসরোগ ও চর্মরোগী রক্তদান করতে পারবেন না  রক্তদানের উপকারিতা: ১) নিয়মিত রক্ত দানে রক্তে কোলেস্টরেল-এর পরিমাণ কমে যায়, ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক-এর ঝুঁকি কমে। ২) নিয়মিত রক্তদানে দেহে নতুন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরির হার বৃদ্ধি পায়। ৩) অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


 হেল্থ টিপস্-১২৫ ▌  অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে সতর্কতা: 

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে বোঝায় অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া কেন রেজিস্টেন্ট হয়ে যায়? অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু বা ভাইরাস  অ্যান্টিবায়োটিক-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ফলে তারা সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের শরীর সুস্থ হতে শুরু করে। কিন্তু জীবাণু বা ভাইরাস তখনো শরীরে থেকে যায়। এখন আমরা যদি ঐ অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দেই তাহলে জীবাণুগুলো পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে এবং আবার রোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যদি এখন আবার ঐ অ্যান্টিবায়োটিক খান তাহলে কিন্তু তা আর কাজ করবে না। তাই আমাদের করণীয় হলো যখনই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে, অবশ্যই পুরো কোর্সটি স¤পন্ন করতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১২৬ ▌ গাড়িতে চড়লেই যাঁদের বমি হয়: 

এ সমস্যার নাম ‘মোশান সিকনেস’।  যানবাহন চলতে শুরু করলে অন্তঃকর্ণের তরল পদার্থে নড়াচড়া শুরু হয়। অন্তঃকর্ণ চলার সংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে। কিন্তু গাড়ি চলন্ত অবস্থায় আপনার চোখের দৃষ্টি যদি থাকে গাড়ির ভেতরে, তখন আপনার চোখ বলে, আপনি চলছেন না, স্থির আছেন। এমন অবস্থায় আপনার মস্তিষ্ক, চোখ আর অন্তঃকর্ণের সংকেতের মধ্যে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়। শুরু হয়ে যায় মোশান সিকনেস।  কিছু পরামর্শ: ▪ চলন্ত অবস্থায় যানবাহনের ভেতরে দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে জানালা দিয়ে বাইরে তাকান, প্রকৃতি দেখুন। ▪ সামনের দিকে বা জানালার কাছে আসন নিন, জানালাটা খুলে দিন। ▪ হালকাভাবে দুচোখ বন্ধ করে রাখুন অথবা একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নিয়ে আসুন। ▪ যাত্রা শুরুর আগে ভরপেট খাবেন না বা পানি পান করবেন না। ▪  গাড়িতে বসে আদা কিংবা চুইংগাম চিবালেও উপকার পাওয়া যায়। ▪  ‘গাড়িতে উঠলেই অন্য চিন্তা করুন। 


হেল্থ টিপস্-১২৭  ▌  সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার  উপায়:

মুখের হাড়ের ভিতরে চার জোড়া ফাঁপা বায়ুপূর্ণ জায়গা আছে যেগুলিকে সাইনাস বলা হয়। কোনও কারণে যদি সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লির মধ্যে প্রদাহ (জ্বালা) হয় তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। ১) সাইনোসাইটিসের সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে ধীরে ধীরে বের হয়ে যায় নিজে থেকেই।  ২) সাইনোসাইটিস সমস্যায় গরম পানির ভাপ বা সেঁক (ঠধঢ়ড়ঁৎ) নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম পানির ভাপ নিলে নাসিকা-পথ ভেজা থাকবে এবং সহজেই শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। ৩) গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এরপর এই তোয়ালেটা মুখের উপর দিয়ে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ। এই পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিকভাবে বেশ আরাম পাওয়া যায়। ৪) বাড়ির বাইরে যতক্ষণ থাকবেন, চেষ্টা করবেন কিছুক্ষণ পর পর চিনি ছাড়া গরম চা, কফি বা স্যুপ খাওয়ার।


হেল্থ টিপস্-১২৮ ▌রান্না করতে গিয়ে ত্বক পুড়ে গেছে? কী করবেন: 

জায়গাটা প্রথমে ঠা-া করুন এবং পর্যবেক্ষণ করুন। পোড়া অংশের পাশে বা উপরে কোন জামাকাপড় থাকলে তা সাবধানতার সাথে সরিয়ে ফেলুন। অহেতুক ঘষা যেন পোড়া অংশে না লাগে। এবার ঠা-া পানিতে ১৫-২০ মিনিট অব্দি পোড়া জায়গায় লাগান বা অই পোড়া অংশ ঠা-া পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ঠা-া পানি ব্যবহার করা ভাল কিন্তু কোনভাবেই বরফ পোড়া জায়গায় লাগাবেন না। ঠা-া পানি লাগানোর ফলে আপনার পোড়া জায়গার ব্যথা কিছুটা হলেও কমবে। পুড়ে গেলে ফোসকা পড়বে না, এটা সাধারণত হয় না। কিন্তু একে সতর্ক হয়ে এর খেয়াল রাখা উচিত। অনেকেই মনে করেন ফোসকা ফাটিয়ে দিলে হয়তো ক্ষত তাড়াতাড়ি সারবে। কিন্তু বাস্তবে মোটেই তা হয় না। এতে আরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-১২৯  ▌আঙুল ফোটানো ভালো না খারাপ? : 

আমাদের অস্থিসন্ধিগুলোর চারপাশে এক ধরনের তরল থাকে, যেটাকে চিকিৎবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। যখন আমরা অস্থিসন্ধিগুলিকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসি, এই তরলে এক ধরনের শূন্যতা বা ফাঁপা অংশের সৃষ্টি হয়। শূন্যস্থানে একটি বুদবুদের সৃষ্টি হয় যা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। এই বুদবুদের ফাটার শব্দটাই আমাদের কানে পৌঁছায়। এটাই হল আঙুল ফোটানোর সময় শব্দের আসল কারণ। তবে এই অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ক্রমশ আঙুলের অস্থিসন্ধিগুলো কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়া কি ক্ষতিকর?: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া বেশি উপকারী। তবে খাবার খাওয়ার সময় ফল খাওয়া ঠিক না। কারণ এতে গ্যাস্ট্রিক রস উৎপন্ন হয় এবং তা পরে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।


 হেল্থ টিপস্-১৩০  ▌একাকিত্বের বিপদ: 

এ দিকে জীবনযাত্রার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পারিবারিক বন্ধন দিন দিন আলগা হয়ে পড়ছে। একা থাকাটা কিছু মানুষের প্রবণতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতা। গবেষকদের দাবি, এ সব ক্ষেত্রে নিঃসঙ্গ মানুষটির রক্তচাপ বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউন সিস্টেম) দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা সহজে অবসাদ কিংবা ডিমেনশিয়ার (স্মৃতিভ্রংশ বা ভাবনা-চিন্তায় অসঙ্গতির মতো ¯œায়বিক রোগ) শিকার হতে পারেন, এমনকি হৃৎরোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সঙ্গী জুটিয়ে নিন/জুটিয়ে দিন।

পান খাওয়ার অপকারিতা: পানে ইউজিনল ও সুপারিতে অ্যারেকোলিন ও টারপিনিয়ল নামক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলো শরীরের তাপ কিছুটা বাড়ায়, ঘামের উদ্রেক করে এবং হার্ট রেট ও রক্তচাপ বাড়ায়। এই উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ পান-সুপারি। দীর্ঘদিনের অভ্যাসে দাঁত ও মাড়িতে বিশ্রী দাগ পড়ে, ক্ষুধামন্দা হয়। জর্দার নিকোটিন নেশার উদ্রেক করে।


হেল্থ টিপস্-১৩১  ▌যখন ভারী কিছু তুলবেন: 

হাঁটু ভাঁজ করে বসে কিন্তু পিঠ সোজা রেখে জিনিসটি তুলতে হবে, কোমর যেন ভাঁজ না হয়।  পিঠ যদি সোজা না থাকে বা কুঁজো হয়ে থাকে, তবে চোট পাবেন। কোমরের নিচের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলেও পিঠ সোজা রাখবেন, বুক একটু সামনে থাকবে।  হাঁটু ভাঁজ হলে পা ও ঊরুর পেশিগুলো ভারী বস্তু তুলতে কাজ করে। ভারী বস্তুর মধ্যভাগ শরীরের কাছাকাছি রেখে তুলুন। বেশি বড় ও ভারী বস্তু তোলার সময় আরেকজন ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া ভালো। এতে ওজন ভাগাভাগি হয়ে যায়। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ভারী বড় জিনিস বেশি দূরত্বে কাঁধে বহন করা ঠিক নয়। ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা: আমাদের পায়ে অনেক ৎবভষবীড়ষড়মু জোন আছে যা দেহের চোখসহ অনেক অঙ্গের সাথে যুক্ত। খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের ৎবভষবীড়ষড়মু জোন সক্রিয় হয়ে  দৃষ্টি শক্তিসহ মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন শক্তি বৃদ্ধি পায়। 


হেল্থ টিপস্-১৩২  ▌হাত ধোয়া কেন দরকার: 

অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় নাকে মুখে হাত দেয়া বা হাত ভালভাবে না ধুয়ে খাদ্য খেলে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। সঠিক হ্যান্ড ওয়াসিং পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ রোগ ঠেকানো যায়। যে কোন সাবান দুই হাতে লাগিয়ে ১০-১৫ সেকেন্ড সময় ধরে আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে, নখে, হাতের সামনে-পিছনে ও কবজিতে ভালভাবে ঘষা উচিত।  হাত মোছার সময় কাপড় বা তোয়ালেটাও যেন পরিষ্কার থাকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রতিদিন গোসল ও সাবান ব্যবহার নয়: প্রতিদিন গোসল না করার পক্ষে আরও একটি যুক্তি দেখাচ্ছেন গবেষকরা। সেটি হল ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস হওয়া। শরীর তার নিজের প্রয়োজনে কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। যা টক্সিনের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। কিন্তু প্রতিদিন গোসলের ফলে সেগুলোর মৃত্যু হয়। তাতে ক্ষতি হয় শরীরেরই। প্রতিদিন সাবান ব্যবহারও একেবারে অনুচিত।


হেল্থ টিপস্-১৩৩  ▌শব্দ যেন হয় সহনীয়: 

সুস্থ শ্রবণশক্তি নিয়ে জন্ম হওয়ার পর পরবর্তী জীবনে বধির হয়ে যেতে পারেন। তার মূল কারণ শব্দাঘাত। এই অতিমাত্রার শব্দআঘাতই আমরা শব্দদূষণ বলি। বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজানো, কানে হেডফোন বা ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে মাত্রাতিরিক্ত শব্দে গান শোনা শ্রবণশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত এখন। বাড়িতে শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি, যেমন: টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন বা ডিশওয়াসারের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময় টিভি দেখা উচিত নয়। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনের ব্যবহার, হেডফোনের সাহায্যে গান শোনা, সামাজিক অনুষ্ঠানে লাউড¯িপকার বাজিয়ে দূষণ সৃষ্টি করা-ইত্যাদি অনাকাক্সিক্ষত আচরণ নিজেদেরই পাল্টাতে হবে। এক ঘণ্টার বেশি গান শোনা উচিত নয়।


হেল্থ টিপস্-১৩৪  ▌ দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়:  

গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোমরে চর্বি জমা, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো যারা বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে বেশি। এছাড়াও যারা ডেস্কে বসে বেশিক্ষণ কাজ করেন তারা কোমর ও ঘাড় ব্যথায় বেশি ভুগেন। কিন্তু জীবনের তাগিদে নিত্যদিনের কাজ ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে কিছু অভ্যাস তৈরি করা উচিত। যেমন এক ঘন্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটা, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে উঠা-নামার অভ্যাস করা, চেয়ারে সোজা হয়ে বসা। মনে রাখতে হবে আমাদের শরীর প্রতিদিন যেই পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে, তা কাজে লাগাতে হবে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি নাশতায় ভাজা পোড়া বা ফাস্টফুডের পর্রিবতে মৌসুমী ফল বা বাদাম জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-১৩৫  ▌ পাখি ও পায়রার মল থেকে অসুখ: 

অনেকেই আছে, যারা শখ করে বাড়িতে নানা জাতের পাখি পুষে থাকে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না যে পাখির মল বা বিষ্ঠা থেকে ৬০টির বেশি ধরনের ঘাতক রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাশি ও জ্বর ছাড়াও নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস বা ‘সিটাকোসি’ নামের এক ধরনের ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়া ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে ‘হিসটোপ্লাসমোসিস’ নামের প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে পাখির মল বা বিষ্ঠা থেকে। বাড়িতে বা ঘরের কোনো অংশে পাখির, বিশেষ করে পায়রার মল জমলে তা যত দ্রুত সম্ভব পরিষ্কার করতে হবে।  আর পরিষ্কার করার আগে জায়গাটি ভিজিয়ে নিতে হবে পানি দিয়ে। পায়রার মল বা বিষ্ঠা পরিষ্কারের সময় নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, ফিনাইল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জায়গাটি জীবাণুমুক্ত করা।


হেল্থ টিপস্-১৩৬ ▌পোষা বিড়াল থেকে ‘সিজোফ্রেনিয়া’ ও ‘বাইপোলার ডিসঅর্ডার: 

অধিকাংশ বিড়ালের মধ্যেই দুটি রোগের জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। জীবাণুটির নাম টোক্সোপ্ল্যাজমা গোন্ডি। শৈশবে খেলার সঙ্গী প্রিয় পোষা বিড়ালটির ওই জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে শিশুর মধ্যে এবং এক পর্যায়ে মারাত্মক মানসিক বৈকল্য সিজোফ্রেনিয়া বা বাইপোলার ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে। শৈশবে শিশুরা বিড়ালের সঙ্গে যদি বেশি খেলাধুলো করে বা সময় কাটায়, জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে তা মানসিক বিকার সৃষ্টিতে অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তিনটি গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে, এ ধরনের পরিবারগুলোর শিশুদের সিজোফ্রেনিয়া বা কঠিন মানসিক রেগে ভোগার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বিড়ালের সঙ্গে শৈশবের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করা। এ জীবাণুটি বেশির ভাগ বিড়ালের মলের মধ্যেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


হেল্থ টিপস্-১৩৭ ▌ অধিক বয়সে সন্তান নেয়ার ঝুকি: 

বয়স্ক পুরুষের যেমন শুক্রানুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে, তেমনি বেশি বয়সে মা হতে চাইলে মেয়েদেরও কিছু সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হয়। যেমন- ১) জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস : অধিক বয়সে গর্ভধারণ করলে কোনো কোনো মা ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন। ২) উচ্চ রক্তচাপ : গবেষণায় দেখা গেছে বয়স্ক মায়েদের গর্ভকালে উচ্চ রক্তচাপে ভোগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ৩) অধিক গর্ভপাতের আশঙ্কা : এ সময়ে অধিক গর্ভপাতের কারণের মধ্যে রয়েছে মায়ের বিভিন্ন অসুখ যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ ইত্যাদি। ৪) সিজারের আশঙ্কা বৃদ্ধি : গর্ভকালে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেবার কারণে বয়স্ক মায়েদের সিজারের আশঙ্কা বেশি থাকে। ৫) ভ্রƒণের জিনগত ক্রটি : মায়ের বয়স বৃদ্ধির সাথে ডাউন সিনড্রোম (ক্রোমোজোমাল ক্রটিপূর্ণ বাচ্চা) নিয়ে বাচ্চা জন্মানোর হারও বেড়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-১৩৮  ▌টিকার সাতকাহন: 

শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে আবশ্যক টিকাগুলোর স¤পূর্ণ কোর্স শেষ করতে হয়। এগুলো হচ্ছে বিসিজি (যক্ষ্মা), পোলিও, ডিপিটি (ডিপথেরিয়া-হুপিংকাশি-ধনুষ্টঙ্কার), হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হাম, নিউমোকক্কাল-জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা টিকা। এ ছাড়া রয়েছে টাইফয়েড, বসন্তসহ অন্যান্য কিছু টিকা, যা বাধ্যতামূলক নয়। একই টিকার দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে ২৮ দিনের বিরতি থাকা উচিত। একই দিনে একাধিক টিকা দেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। কোনো কারণে তারিখ পার হয়ে গেলে পোলিও, ডিপিটি, হেপাটাইটিস বি তারিখের অনেক পরে এমনকি এক বছর পরে দিতেও সমস্যা নেই। পোলিও টিকা মুখে খেতে হয় বলে ওই সময়ে ডায়রিয়া থাকলে শিডিউলের ডোজ খাওয়ানোর পরও ২৮ দিন বিরতিতে একটি অতিরিক্ত ডোজ খাওয়ানো হয়। বিসিজি টিকা দেওয়ার এক মাসের মধ্যে টিকার স্থানে ঘা না হলে পুনরায় টিকা দিতে হয়।


হেল্থ টিপস্-১৩৯ ▌ বড়দের টিকা: 

কৈশোর ও যৌবনেও কিছু টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন-ইপিআই শিডিউলে থাকা হুপিং কাশির যে তিন ডোজ ভ্যাকসিন শিশু তার ‘ডিপিটি’তে পেয়েছে, দেখা যায় ৫ থেকে ৮ বছরের মাথায় তার কার্যকারিতা অনেকাংশে লোপ পায়। এর ফলে অনেক যুবা ও বৃদ্ধ হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। একইভাবে এ বয়সে এসে শিশুর ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, ভেরিসেলা জলবসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মেনিনজাইটিস ও জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। বালিকা ও কিশোরীদের ভবিষ্যতে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা অল্প বয়সেই শুরু করার নিয়ম। নিকটস্থ সদর হাসপাতাল, উপপোনিা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ক্ষেত্রবিশেষ কোনো কোনো বেসরকারি ক্লিনিকে খোঁজ নিলেই জেনে নিতে পারবেন কখন কখন সেখানে টিকা দেওয়া হয়। 


হেল্থ টিপস্-১৪০  ▌ বডি ম্যাসাজের ৪টি অসাধারণ উপকারিতা: 

১। ব্যথা কমায়: ব্যথা কমাতে বডি ম্যাসাজের জুড়ি নেই। বডি ম্যাসাজের মাধ্যমে শরীরে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথায় আক্রান্ত স্থানের টিস্যুগুলো স্বাভাবিক হয়ে আসে ধীরে ধীরে। ফলে ব্যথাও কমতে থাকে বেশ দ্রুত। আর তাই পিঠ ব্যাথা, ঘাড় ব্যথা, পা ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বডি ম্যাসাজ বেশ কার্যকরী একটি উপায়। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ২। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমায়: প্রচ- মানসিক চাপে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন?  কিছুক্ষণ আরামদায়ক ম্যাসাজ আপনাকে করে তুলবে ঝরঝরে। বডি ম্যাসাজ করালে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমে মানসিক চাপ অনেকটাই দূর হয়ে যায়। ৩। নিশ্চিন্তে ভালো ঘুম হয়: সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ভালো ঘুম। কিন্তু  এপাশ ওপাশ করেও রাতে ভালো ঘুম হতে চায় না অধিকাংশ মানুষেরই। যাদের এধরণের সমস্যা আছে তাঁরা বডি ম্যাসাজ করিয়ে নিন।


হেল্থ টিপস্-১৪১  ▌নতুন জুতায় পায়ে ফোস্কা! জেনে নিন সমাধান: 

১) নতুন জুতা পরার আগে পায়ে ভাল করে সরষের তেল বা নারকেল তেল মেখে নিন। এতে পায়ে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। ২) জুতার যে জায়গাগুলো খুব শক্ত, পায়ে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়তে পারে, সেই জায়গাগুলোতে টেপ দিয়ে ¯পঞ্জ লাগিয়ে দিন। এতে পায়ে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। ৩) জুতার চামড়ার যে জায়গাগুলো খুব শক্ত, পায়ে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়তে পারে, সেখানে ভেসলিন লাগিয়ে রাখুন। এতে জুতোর ওই জায়গাগুলো কিছুটা নরম হয়ে যাবে। কমবে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকিও। তবে নতুন জুতা পরে বেশিক্ষণ না হাটাই ভাল। ৪) ফোস্কার জায়গায় অ্যালোভেরা পানি লাগান। এতে পায়ের ফোস্কা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। ৫) ফোস্কার জায়গায় দিনে অন্তত ৩ বার মধু লাগিয়ে দেখুন। এতে ফোস্কা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।  


হেল্থ টিপস্-১৪২ ▌প্রত্যেকদিন যে ভুলগুলো করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ: 

১) সবচাইতে বড় ভুল আমরা যা করি, সেটা হলো তৃষ্ণায় পানি পান না করে পানীয় পান করা। এটা বাড়তি রঙ, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি তো শরীরে প্রবেশ করেই; একই সাথে অনেকটাই বাড়তি ক্যালোরি প্রবেশ করে দেহে। আর স্বভাবতই বৃদ্ধি পায় ওজন। ২) গোসল করেই ঘুমিয়ে যাওয়া:  এতে চুলের গোঁড়া ভেজা রয়ে যায় ও বাড়ে চুল পড়ার হারও। ৩) কন্ডিশনার শুধুমাত্র চুলে লাগানোর জন্য মাথার ত্বকে লাগানোর জন্য নয়। মাথার ত্বকে কন্ডিশনারের ব্যবহারে চুলের ফলিকল নষ্ট করে দিতে পারে। ৪) পারফিউম কাপড়ে ¯েপ্র করার জন্য নয়। পারফিউম ¯েপ্র করবেন দেহের ত্বকে।  ৫) প্রসাধনী শুধুমাত্র মুখের ত্বকে নয়,গলার ত্বকেও ব্যবহার করতে হয়। ময়েসচারাইজারে অভাবে ত্বক শুকনো থাকে এবং কালচে হয়ে যায়। ৬) দিনে ২/৩ বার গোসল করা একটি ভুল কাজ। বারবার গোসল এবং সাবান ব্যবহার দেহের ত্বকের ক্ষতি করে।  


হেল্থ টিপস্-১৪৩ ▌ সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠার উপকারিতা: 

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম না করার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা ভালো। শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর যদি প্রশ্ন করেন হাঁটা না সিঁড়ি ভাঙা কোনটি ভালো। তাহলে উত্তর হবে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠা। এই গবেষণালব্ধ তথ্যটি দিয়েছেন কানাডার হ্যামিল্টনের ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্টিন গিবালা। এই বিশেষজ্ঞের মতে, হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে অধিক শক্তির প্রয়োজন হয়। এতে অধিক ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি ক্ষয় হয়। এ কারণে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার উপকারিতা হাঁটার চেয়ে খানিকটা বেশি। কিন্তু আপনার ওজন যদি বেশি হয়, তাহলে বেশি সিঁিড়ি বাইলে হাঁটুর জয়েন্টে সমস্যা  হতে পারে।  


হেল্থ টিপস্-১৪৪  ▌ জগিংয়ের টুকিটাকি: 

সকালে জগিং করার আগে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে আধা গ্লাস পানি খেয়ে নিন। অনেকেই জগিংয়ের ফাঁকে প্রচুর পানি পান করে। এটা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে শুধু গলাটা ভিজিয়ে নিতে হবে পানিতে। জগিংয়ের সময় কোনো বন্ধুকে সঙ্গে নিতে পারেন। এতে সময়টা ভালো কাটবে। জগিং করার শুরুতে ওয়ার্ম আপ বা গা গরম করে নিন। একেবারে বেশি বা একটানা জগিং করবেন না। পেশিতে টান পড়তে পারে। শুধু জগিং করলেই হবে না। নিজের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনুন। কার্বোহাইড্রেট ও হাই প্রোটিন এড়িয়ে চলুন। শাকসবজি বেশি খান।  ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বা ফল বেশি খান। এতে শরীরের চর্বি কাটে তাড়াতাড়ি। ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলুন। স্বাভাবিক নিয়মে প্রত্যেক মানুষকে কমপক্ষে তিন হাজার পদক্ষেপ নিতে হয় প্রতিদিন। এর চেয়ে কম হলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। জগিং করার ফলে আপনার প্রতিদিনকার অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি ক্ষয় হয়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-১৪৫  ▌শরীরের যে ৫স্পট ছোঁবেন না: 

১) কানের ভেতরে হাত নয়: আঙুল দিয়ে  বা অন্য কিছু দিয়েও খোঁচানোর চেষ্টা করবেন না। ২) অযথা গালে হাত দেবেন না:  হাতে শুধু জীবাণুই নয়, তেলও থাকে। বারবার গালে বা কপালে হাত দিলে, ত্বকের ছিদ্রপথ আঙুলে থাকা তেলের কারণে বন্ধ হয়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। ৩)পশ্চাতদেশ চুলকাবেন না:  মলদ্বার শুধু সংবেদনশীলই নয়, নানাবিধ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ারও আঁতুড়ঘর। খোঁটাখুঁটি করলে আঙুল থেকেই ব্যাকটেরিয়া শরীরের অন্যত্র চলে যেতে পারে। ৪)  চোখেও হাত নয়: সকাল উঠে মুখ ধোওয়ার সময় চোখে পানি দেওয়া ছাড়া চোখে হাতে দেবেন না। কখনও চোখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে হাত ধুয়ে তবেই হাত দিন। ৫)খালি হাত নাকে-মুখে নয়: যখন-তখন নাকে-মুখে হাত দেবেন না। আঙুল থেকে নাক-মুখের অভ্যন্তরে জীবাণু চলে যায়। যারা খালি হাতে নাক খোঁটেন, তাদের নাসারন্ধ্রে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ৫১% বেড়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-১৪৬  ▌ চুলে তেল দেয়ার সঠিক নিয়ম: 

১। চুলে তেল দেয়ার আগে তেল কিছুটা গরম করে নিন। কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ২।তেলটি হালকা হাতে চুলে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি জোরে তেল মাথায় ম্যাসাজ করবেন না এতে চুল আরও বেশি জট বেঁধে যাবে আর চুল ছিঁড়ে যাবে। ৩। তেল দেয়ার পর ভালোভাবে চুল আঁচড়ে বেঁধে নিন। তবে খুব বেশি টাইট করে চুল বাঁধবেন না। এতে আগা ফেটে যায়। ৪। সাধারণত সবাই চুল তেল দেওয়ার পর আঁচড়ে থাকেন। কিন্তু তেল দেয়ার আগে চুল আঁচড়ানো ভালো। তাই তেল দেয়ার আগে চুল আঁচড়ে নিন। ৫। তেল দেয়ার পর কমপক্ষে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যা¤পু করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় তেল সারারাত মাথায় রাখুন। পরের দিন শ্যা¤পু করে ফেলুন।


হেল্থ টিপস্-১৪৭  ▌ জিভ পুড়ে গেলে যা করবেন: 

অনেক সময় খাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত অনেকেরই জিভ পুড়ে যায়। অনেকে সতর্ক থাকলেও খাবারটি কতটা গরম তা বুঝে উঠতে পারেন না বলে প্রথম কামড় বা চুমুকেই জিভ পুড়িয়ে ফেলেন। এতে জিভে জ্বালাও শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে অন্য কিছু খাওয়ার সময়ও জিভে জ্বালা ও ব্যথা করে। বেশি পুড়ে গেলে জিভের প্রদাহ থেকেই মুখে নানা সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই পুড়ে গেলে তা অবহেলা না করে বরং স্বস্তি আনতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করুন। মধু: অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ও সংক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে মধু। তাই জ্বালা কমাতে মধুর প্রলেপ দিন পোড়া জিভে। বরফ: বরফ রাখুন জিভের পুড়ে যাওয়া অংশে। এতে ঠা-া অনুভূতি হবে ও প্রদাহ সারবে দ্রুত। বরফ একান্তই না পেলে ঠা-া পানি কুলকুচি করুন বার কয়েক।


হেল্থ টিপস্-১৪৮  ▌ত্রিশের আগেই মাথার চুল কেন সাদা হয়?:

চুল সাদা হওয়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে হরমোন, বিভিন্ন কেমিক্যালের ব্যবহার ও পরিবেশ দূষণ। ভিটামিন বি শুধু চুল সাদাই করে না, চুলের ঘনত্বও কমিয়ে দেয়। কারো ত্রিশ বছর হওয়ার আগেই যদি চুল পাকা শুরু করে তাহলে তার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া আবশ্যক। কারণ, ভিটামিন বি-র অভাব সারা পৃথিবীতেই সমান হারে দেখা দিয়েছে কিন্তু মানুষ সেদিকে খেয়ালেই দেয় না। উপর্যুক্ত লক্ষণগুলো ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, মানসিক অস্থিরতা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বাড়লে এ্যালজেইমারের আশঙ্কা বাড়তে পারে। এখনো এর ভালো কোনো চিকিৎসা উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়নি। ভিটামিন বি-এর পাশাপাশি ভিটামিন বি কম্পেক্স, ভিটামিন ডি বা ভিটামিন এ-র স্বল্পতার কারণেও চুল সাদা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। পরিশ্রম করুন, সামুদ্রীক মাছ ও ফলমূল বেশি খেতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১৪৯  ▌টাক হচ্ছে হৃদরোগের লক্ষণ: 

মাথার চুল হারাচ্ছেন তো দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। সম্প্রতি জাপানের একদল গবেষক গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেছেন যাদের ক্রমশ টাক হচ্ছে, তাদের হৃদরোগ হবার ঝুঁকি মাথার চুল ভর্তি লোকের চেয়ে ৪১ ভাগ বেশি । গবেষকরা বলেন, স্থুলতা (মোটা) ও ধূমপানের কারণে এই ঝুঁকির হার আরো বেড়ে যায়। বলা হয়, পঞ্চাশ ভাগ পুরুষ ৫০ বছর বয়সে এবং আশি ভাগ পুরুষ ৭০ বছর বয়সে সাধারণত চুল হারাতে থাকে। অবশ্য এর সঙ্গে পারিবারিক ইতিহাসের বিষয়টিও জড়িত থাকে। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা: টমোহিড ইয়ামাদা বলেন, আমরা মাথার উপর থেকে চুল পড়ে যাওয়া ও করোনারি হৃদরোগের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স¤পর্ক খুঁজে পেয়েছি। যারা চুল হারাচ্ছে হার্ট সচল রাখার জন্য তাদের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা জরুরি।


 হেল্থ টিপস্-১৫০  ▌যেসব কারণে অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের মেরুদণ্ড: 

১) আপনি কি সারা দিন এক জায়গায় বসে কাজ করেন? দীর্ঘদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা এ ভাবে কাজ করতে হলে শিরদাঁড়া বা মেরুদ-ের সমস্যা হতেই পারে। ২) পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে যেমন শিরদাঁড়ার সমস্যা হতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত বিশ্রাম, আলস্যের ফলেও মেরুদ-ের সমস্যা হতে পারে।  ৩) খুব ভারি ব্যাগ (যেমন, ল্যাপটপ ব্যাগ, বইয়ের ব্যাগ বা অন্যান্ত ভারি জিনিসপত্র) নিয়মিত পিঠে নিলে কাঁধে আর পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে মেরুদ-ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৪) ঘুমানোর সময় অনেকেই অদ্ভুত ভঙ্গিতে শুয়ে থাকেন। অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে পিঠ, কোমর বেঁকিয়ে শোওয়ার অভ্যাস মেরুদ-ের ক্ষতি করে। ৫) দীর্ঘক্ষণ ঝুঁকে বসে মোবাইলে চ্যাট বা ল্যাপটপে ব্যাস্ত থাকলে মেরুদ-ে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ৬) আচমকা খুব ভারী কোনও জিনিস তোলার চেষ্টায় টান পড়ে মেরুদ-ে চোট লাগতে পারে। এছাড়া খুব শক্ত, অসমান বিছানায় দীর্ঘদিন ধরে শুলে মেরুদ-ের সমস্যা হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-১৫১ ▌অতিরিক্ত শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: 

অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে শরীরের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয় হয়ে গিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে হৃদযন্ত্রের পেশি ক্লান্ত পয়ে পড়তে পারে। বেড়ে যেতে পারে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি। অনেক সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। বেশি ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাড্রিনালিন ক্ষরিত হয়। ফলে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। এর ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। তাই, ক্লান্তিও সহজে কাটতে চায় না। অনেক সময় দ্রুত অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর তাগিদে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিম করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেন। ফলে অপুষ্টি, অবসাদের মতো সমস্যা শরীরে, মনে বাসা বাঁধতে পারে। গোড়ালি, হাঁটু, কব্জি বা কনুইয়ের জয়েন্টগুলির হাড় ক্ষয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে মন, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-১৫২ ▌হাই তোলা যে কারণে উপকারী: 

১.গবেষণায় দেখা গেছে, হাই তোলা মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমিত করে। সেই সঙ্গে মানসিক দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হাই তোলা ¯œায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। হাই তুললে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বা রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হাই তোলার কারণে শরীরে, শিরায়-উপশিরায় অক্সিজেনের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হয়। ২. হাই তোলার ফলে চোখের পাশের অশ্রুগ্রন্থির উপর চাপ পড়ে। এতে দৃষ্টি আরও স্বচ্ছ হয়। ৩. হাই তুললে শরীরে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে ফুসফুস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বের হয়ে যায়। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সঞ্চালন অনেকটা বৃদ্ধি পায়। ৪. হাই তোলা শরীর এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে শরীরের তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় অনেকটা বেড়ে যায়। এ কারণে গ্রীষ্মকালে শীতকালের তুলনায় অনেক বেশি হাই ওঠে।


হেল্থ টিপস্-১৫৩ ▌ সাইকোথেরাপি কী ও কেন?: 

সাইকোথেরাপি বা টকিং কিউর দ্বারা ব্যক্তির আবেগগত যন্ত্রণা, মানসিক ডিসঅর্ডার এবং প্রাত্যহিক জীবনের স্ট্রেসের চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত প্রতি সপ্তাহে অথবা প্রতি পক্ষকালে এবং এই সেশনে থেরাপিস্ট ও রোগীর মধ্যে যেসব কথাবার্তা হয় তা সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ মিনিট সময়ের জন্য হয়ে থাকে। ইনডিভিউজুয়াল থেরাপিতে রোগী এবং থেরাপিস্ট সবসময় একটি চেয়ারে বসেন। গ্রুপ থেরাপি হয় সাধারণত তিনজন বা তার বেশি ক্লায়েন্ট নিয়ে এবং এতে বিশেষ বিশেষ রকমের সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা বলা হয়। কাউন্সেলিং অথবা সাইকোথেরাপি এ দু’টির মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, কাউন্সেলিং বলতে বোঝায় এমন একটি পদ্ধতি বা সিস্টেম যা কিনা মানুষের সুখ-শান্তি বোধ উন্নত করতে সাহায্য করে, তাদের মাঝে সৃষ্টি হওয়া সঙ্কটাবস্থা সমাধান করে। সাইকোথেরাপি উপকারী হয়ে থাকে যারা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভুগছে, যা বছরের পর বছর ধরে তৈরি হয়েছে।


হেল্থ টিপস্-১৫৪ ▌ কগনিটিভ থেরাপি: 

এটি নেগেটিভ চিন্তাভাবনা এবং ক্ষতিকর বিশ্বাস ভাঙতে নতুন আচরণ শেখায়, যাতে রোগী নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারে। এটি আপনার মাঝে তৈরি হওয়া কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস, যা প্রথম জীবনের অভিজ্ঞতায় লাভ হয়েছিল সেসবকে ভিন্ন উপায়ে বা ভিন্ন পরিস্থিতিতে দেখার ক্ষমতা তৈরি করে আপনার মাঝে সমস্যার সাথে পেরে ওঠার এক প্রকার সক্ষমতা তৈরি করে দেয়।

বিহেভিয়ারাল থেরাপি: এ থেরাপি ফোবিয়া বা প্যানিক আক্রান্ত মানুষের বেলায় উপকারী হতে পারে। এ থেরাপিতে ব্যক্তি যে জিনিস বা পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে প্যানিকে আক্রান্ত হয় সেই জিনিস বা পরিস্থিতি ব্যক্তির সামনে ধীরে ধীরে প্রদর্শন করা হয় এবং রোগীকে বোঝানো হয় যে এগুলোর দ্বারা তার কোনো ক্ষতি হবে না বা ভয়ের কিছু নেই। এ থেরাপির দ্বারা রোগীকে তার অ্যাংজাইটি কাটিয়ে উঠতে দক্ষ করে তোলা হয়।


 হেল্থ টিপস্-১৫৫  ▌ সাইকোঅ্যানালাইসিস:

আক্রান্ত ব্যক্তিকে এ থেরাপিতে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে বা বলতে উৎসাহিত করা হয়। এতে করে ব্যক্তির অসচেতন চেতনা থেকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়, যার কারণে ব্যক্তি আবেগগত এবং মানসিক দিক থেকে অসুস্থ হয়েছে। সাইকোথেরাপি বা অন্যান্য থেরাপি দেয়া হয় বিভিন্ন মানসিক সমস্যায়। এসব সমস্যা হলো- * বাইপোলার ডিসঅর্ডার * ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার * পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার * সেল্প-হার্ম * অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার * ফোবিয়া ও প্যানিক ডিসঅর্ডার * সিজোফ্রেনিয়া এবং * ইটিং ডিসঅর্ডার। তবে সাইকোথেরাপি, টকিং থেরাপি বা কগনিটিভ থেরাপি, ইনডিভিউজুয়াল থেরাপি কোন থেরাপি কোন রোগীর জন্য প্রযোজ্য তার সিদ্ধান্ত নেবেন মনোরোগ চিকিৎসক।


 হেল্থ টিপস্-১৫৬  ▌ ধূমপান ছাড়বেন কীভাবে?: 

সিগারেটে নিকোটিনসহ ৫৬টি বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান আছে। ধূমপান করলে যক্ষ্মা, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের ক্যানসার, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। তবে নিজে ধূমপান না করেও মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে থাকে। পরোক্ষ ধূমপানের বড় শিকার নারী ও শিশুরা। তাদের শারীরিক ক্ষতি পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। তাই ভেবে দেখুন, ধূমপায়ী হলে আপনি নিজের তো বটেই, নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্যও কত বিপদ ডেকে আনছেন।  নিজের কাছে অঙ্গীকার করুনÑআপনি ধূমপান ছেড়ে দেবেন এবং নিশ্চয়ই তা পারবেন। বিকল্প: বিকল্প হিসেবে চা, কফি, ফলের রস, চুইংগাম ইত্যাদির অভ্যাস করতে পারেন। অন্য কোনো উপাদেয় জিনিসের দিকে ঝুঁকে নিকোটিনের নেশা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।ব্যস্ততা বাড়ালে নেশা দূর করা সহজ হবে। অধূমপায়ী বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ লাভ করার চেষ্টা করুন।


হেল্থ টিপস্-১৫৭  ▌পুড়ে গেলে কি করবেন:  

পুড়ে যাওয়া সাধারণত তিন ধরনের ১ম ডিগ্রি: তাপ লেগে চামড়া লাল হয়ে যায়। কোনো ফোস্কা পড়ে না। ২য় ডিগ্রি: চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে। ৩য় ডিগ্রি:পুড়ে যাওয়ার গভীরতা চামড়া ভেদ করে মাংস পর্যন্ত হয়। পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা: রোগীকে দ্রুত আগুনের উৎস থেকে সরিয়ে আনতে হবে। *পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে মোটা কাপড় বা কম্বল দিয়ে রোগীকে জড়িয়ে ধরতে হবে। এবং মাটিতে শুয়ে গড়াতে হবে। এতে আগুন নিভে যাবে। *শরীরের যে অঙ্গ পুড়ছে সেখানে পানি ঢালতে হবে। *১ম ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পানি ঢাললেই হবে, আর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। পানি ঢালতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট। *২য় ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে পানি ঢালতে হবে, ১-২ ঘণ্টা পর্যন্ত। *৩য় ডিগ্রি পোড়ার ক্ষেত্রে হাপাতালে নেওয়ার পূর্বে পোড়া স্থানে পানি ঢালতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১৫৮ ▌কাশির সাথে রক্ত পড়লে কি করবেন?: 

কাশির সঙ্গে রক্ত, কাশির সঙ্গে রক্ত মানেই কিন্তু যক্ষ্মা নয়। অনেক সাধারণ কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। # ফুসফুসের নানান অসুখ যেমনÑ যক্ষ্মা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস, নিউমোনিয়া, টিউমার, ক্যানসার ইত্যাদি। # নাক এবং গলার বিভিন্ন সমস্যা, যেমন সাইনাসোইটিস, ন্যাসাল পলিপ, অ্যাকিউট ল্যারিনজাইটিস, ল্যারিংস এবং ন্যাসসাফ্যারিংসে টিউমার ইত্যাদি। # রক্ত জমাট বাঁধার পদ্ধতিতে কিছু ঘাটতি এবং আরও কিছু অসুখ।  হলে কি করবেন? # রক্ত দেখলে মাথার দিকটা একটু উঁচু করে চুপচাপ শুয়ে থাকুন খানিকক্ষণ। # কাফ সাপ্রেসেন্ট জাতীয় কাশির ওষুধ খেয়ে নিন দু - চামচ।  # খুব বেশি রক্ত পড়লে অনেক সময় ডাইসায়ানিন জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে দ্বিমত আছে। বেশি রক্ত পড়লে অবস্থা বুঝে রক্ত দিতে হতে পারে। ঠা-া এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন।  


হেল্থ টিপস্-১৫৯  ▌ব্রঙ্কাইটিস হলে করণীয়: 

ব্রঙ্কাইটিস দু-ধরনের। অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস যথাযথ চিকিৎসায় মোটামুটি সহজে সেরে যায়। ক্রনিক একবার ধরলে সঙ্গী হয়ে থাকে সারা জীবনের মতো। ধীরে ধীরে কমতে থাকে ফুসফুসের কার্যকারিতা, বাড়ে অল্পে হাঁপ ধরা, শ্বাসকষ্ট। কেন হয় ? ▪ অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। ▪ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটি অতিরিক্ত ধূমপান,পরিবেশ দূষণ, কয়লা বা কাঠের ধোঁয়া ইত্যাদির কারণেও দিতে পারে। উপসর্গ ▪  অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ প্রবল কাশি।  বুক এবং গলা জ্বালা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, ইত্যাদি। গলার ভেতরটা দেখলে দেখা যাবে লাল হয়ে আছে। ▪ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে দিনভর কাশতে কাশতে কফ ওঠে। একটু ঠা-া লাগলেই কাশি, কফ এবং শ্বাসকষ্ট খুব বেড়ে যায়। হলে কী করব? ▪  গলায় একটা কাপড় জড়িয়ে রাখুন। ▪ দিনে ৩ - ৪ বার নুন, গরম জলে গার্গেল করুন। ▪ কোনো কিছু ঠা-া খাবেন না। ▪ গোসল করুন ঈষদুষ্ণ পানিতে। 


হেল্থ টিপস্-১৬০ ▌টাইফযেড হলে করণীয়: 

টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। লক্ষণসমূহ: জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় স¤পূর্ণ ছেড়ে যায় না। ক্ষুধামন্দা হওয়াসহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।গা ম্যাজ ম্যাজ করাসহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে। প্রচ- পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কারো কারো জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়। চিকিৎসা পদ্ধতি: দ্রুত চিকিৎসা না করলে জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী থাকতে পারে। এছাড়া রোগী অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দেওয়া দরকার। রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১৬১ ▌নিউমোনিয়া কি করবেন?: 

সাধারণত ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। ▪ কোনো কারণে শরীর অথবা ফুসফুসের  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেজন্য বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষ, শিশু বা গর্ভবতী মহিলা, এইডস, ক্যান্সার বা দুরারাগ্যে কিডনির অসুখে যাঁরা ভুগছেন; তাদের  এই রোগ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার ধূমপান, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, লাং ফাইব্রোসিস, ফুসফুসে টি বি ইত্যাদি কারণে ফুসফুসের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে গেলেও নিউমোনিয়া হয়। শয্যাশায়ী রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় নিউমোনিয়া হয়। কী করে বুঝব-প্রথম দিকে খুসখুসে কাশি এবং জ্বর থাকে। তারপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর উঠে যেতে পারে ১০৪-১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। কাশি বেড়ে সবুজ, হলুদ বা গোলাপি রংয়ের কফ দেখা দেয়। বুক ব্যথা করতে পারে,  শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ কমে যাওয়া এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যুও হওয়া সম্ভব। 


হেল্থ টিপস্-১৬২ ▌ হাইড্রোসিল কেন হয়? কি করবেন? : 

ছেলেদের টেস্টিস (অন্ডকোষ) থাকে টিউনিকা ভ্যাজাইনালিস নামে এক আবরণের মধ্যে।  টেস্টিসের চলাচল মসৃণ করার জন্য সামান্য একটু জলীয় পদার্থও থাকে সেখানে। এই জলীয় পদার্থটির পরিমাণ প্রচুর বেড়ে দেখা দেয় হাইড্রোসিল। কেন হয়?  টেস্টিস ক্রমাগত ঘসা খেলে হাইড্রোসিলের প্রবণতা বাড়ে। ফলে যাঁরা প্রচুর সাইকেল চালান, ঘোড়ায় চড়ে বা  গাছে  বিশেষ করে নারকেল গাছে চড়ে, তাদের এই রোগ বেশি হয়। চিকিৎসা-অপারেশন করে পানি বার করে দেওয়া হয়। এবং টেস্টিসের আবরণী উল্টে দিয়ে এমন ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে আর বেশি পানি তৈরি না হয়।


হেল্থ টিপস্-১৬৩ ▌মাথায় চোট লাগলে করণীয়:   

▪ মাথায় আঘাত লেগে অজ্ঞান হয়ে গেলে এক মুহূর্ত দেরি না করে সবচেয়ে কাছে  যে হাসপাতাল আছে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।  ▪ রোগীকে পাশ ফিরিয়ে বা উপুড় করে শুইয়ে দিন, বমি করলে যাতে তা ফুসফুসে চলে গিয়ে বিপদ বাঁধাতে না পারে। রোগীকে নাড়াচাড়া করবেন খুব সাবধানে। ▪ চোটের জায়গা থেকে রক্তপাত হলে পরিষ্কার কাপড় চাপা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিন। ▪ মাথায় অল্পস্বল্প ব্যথা হতে থাকলে একটা প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রফেন গ্রুপের ওষুধ খেয়ে নিন। ক্স▪ চোটের জায়গা ফুলে উঠলে বরফ অথবা জলপটি লাগান। ▪ কেটে গেলে জীবাণুমুক্ত গজ হাতের কাছে থাকলে ভাল, না হলে পরিষ্কার কাপড় চাপা দিয়ে দেখুন রক্ত বন্ধ হয় কি-না। ▪ চুপচাপ শুয়ে থাকুন। ▪ বমি করা ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ না থাকলে চোট লাগার দু-এক ঘণ্টা পরে হালকা কিছু খেতে পারেন।  ▪  ঘুমের ওষুধ খাবেন না। 


হেল্থ টিপস্-১৬৪  ▌মলদ্বার বেরিয়ে আসা বা রেকটাল প্রোল্যাপস: 

পায়খানা করার সময় মলদ্বার বাইরে ঝুলে পড়ে। এরপর রোগী হাত দিয়ে এটি ভেতরে ঢুকিয়ে দেন।  কেন হয়? এ রোগটি শিশু ও বৃদ্ধ বয়সে বেশি হয়। মহিলাদের হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শিশুদের সাধারণত তীব্র ডায়রিয়ার পর এ রোগটি দেখা দেয়। উপসর্গ- ওজন তুললে অথবা কাশি দিলেও কখনো কখনো বেরিয়ে আসে। সাধারণত রক্ত যায় না, তবে মিউকাস বা আম যায়। প্রায় অর্ধেক রোগী কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীরা পায়খানা আটকে রাখতে ব্যর্থ হন। এর চিকিৎসা হল অপারেশন। তবে কোনো রোগী যদি চিকিৎসার জন্য অনুপযুক্ত বিবেচিত হন, তাহলে কিছু রক্ষণশীল পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। যেমন মল ত্যাগের সময় মলদ্বার হাত দিয়ে চেপে ওপরের দিকে রাখতে হয়, নিতম্ব দুটিকে টেপ দিয়ে আটকে রাখা, রিং, লাইগেশন পদ্ধতি ইত্যাদি।  কখনো কখনো বের হওয়া মলদ্বার ভেতরে ঢুকানো যায় না তখন ব্যথা হয়।


হেল্থ টিপস্-১৬৫  ▌রগ কেটে গেলে করণীয়: 

অনেকের ধারণা, কাটা রগ ভালো করা যায় না। তবে সময়মতো এবং দ্রুত এর চিকিৎসা দেওয়া গেলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। কোনো কারণে যদি মাংসপেশির সঙ্গে সংযুক্ত রগ কেটে যায়, ক্ষতস্থানে কোনো ময়লা লেগে থাকলে তা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থান ভালো করে চেপে ধরে হাসপাতাল, ক্লিনিক বা অর্থোপডিক সার্জনের কাছে যান। দুর্ঘটনা ঘটার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতস্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করে সেলাই করতে পারলে কাটা রগ এবং অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা শতভাগ পাওয়া সম্ভব। এটিই কাটা রগের সর্বোত্তম চিকিৎসা। খেয়াল রাখতে হবে,  রক্তনালি ঠিক আছে কি না। ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। এতে চিকিৎসার সুফল কমে আসতে থাকে। তথাপি দুর্ঘটনা ঘটার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করা সম্ভব হলে অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।


হেল্থ টিপস্-১৬৬  ▌প্রস্রাবে রক্ত? কি করবেন?: 

শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমন রক্তপাত হয়। তা ছাড়া, আরও তিনটি কারণে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে, সেগুলো হলো মূত্রনালির কোনো সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর ও ক্যানসার। পুরুষদের চেয়ে মহিলাদেরই এটা বেশি হয়। বি-কোলাই জীবাণুর আক্রমণে এই সংক্রমণ হয়। মহিলাদের এই রোগ দুটি বিশেষ বয়সে বেশি হয়। প্রথমত, যারা সদ্য বিবাহিত জীবন শুরু করেছেন। আর দ্বিতীয়ত, যাদের মনোপজ হয়ে গেছে। বারবার প্রস্রাব পাওয়াকে অনেকেই ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে জানেন। তবে কেবল ডায়াবেটিসই নয়, কিডনির যে কোনো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে এটি। ▪ স্বচ্ছ হলদেটে প্রস্রাব মানে আপনার শরীর ঠিকঠাক কাজ করছে। সব ঠিক আছে। ▪  সকালে ঘুম থেকে উঠলে বা দীর্ঘ সময় পানি না খেয়ে জার্নি করলে গাঢ় হলদেটে প্রস্রাব রঙের প্রস্রাব হতে দেখা যায়। এর মানে সামান্য ডিহাইড্রেটেড। পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ালেই সমাধান হয়। 


  --:: পেটের রোগ সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-১৬৭  ▌বিরক্তিকর পেটের সমস্যা:

 এর প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা বলেন যে তাঁদের পায়খানা পরিপূর্ণ বা তৃপ্তিকর হয় না, মলের সঙ্গে অতিরিক্ত মিউকাস যায়, খাওয়ার পরপরই শৌচাগারে দৌড়াতে হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত ঢেকুর ওঠা, তলপেট থেকে শুরু করে পেটের যেকোনো জায়গায় ব্যথা, যা মলত্যাগ করার পর আংশিক বা পুরোটা প্রশমিত হয়, বমি বমি ভাব, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদিও হতে পারে। চিকিৎসা কী? জীবনাচরণ বা খাদ্যাভাসের পরিবর্তন অনেকটাই উপকার বয়ে আনবে। এর সঙ্গে অল্প কিছু ক্ষেত্রে কিছু ওষুধের প্রয়োজন হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধান সমস্যা হলে আঁশজাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে অন্যান্য খাবার খাওয়ার সময় এবং একবারে অনেক পানি পান করা যাবে না। অতিরিক্ত চা-কফি, দুধজাতীয় খাবার, ডালজাতীয় খাবার এবং ফলের জুস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।


হেল্থ টিপস্-১৬৮  ▌বদহজম, গ্যাস কেন হয়? 

করণীয় কি: কখনো সমস্যা বাধায় অ্যাসিডের উপরে ঠেলে ওঠা, কখনো পাকস্থলি, খাদ্যনালি বা অন্ত্রে ক্ষত দেখা দেওয়ার জন্য এই জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়।  গলব্লাডারের সমস্যা বা লিভারের গোলমাল আবার কখনো সমস্ত পরিপাক ক্রিয়ার পদ্ধতিটা ধীর হয়ে গিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। একে বলে ডিলেড গ্যাস্ট্রিক এম্্প্টিং। এক্ষেত্রে খাবার বহুক্ষণ ধরে পাকস্থলীতে থেকে যায়, পায়খানা পরিষ্কার হতে চায় না। ফলে পেট ভরা ভরা লাগে। গ্যাস, অম্বলও হয় কখনো।  ▪ অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, নিয়মিত হোটেলে খাওয়ার অভ্যেস, রাস্তাঘাটে চপ, ফুচকা, রোল ইত্যাদি খাওয়া যথাসম্ভব কমিয়ে আনুন। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খাবেন। ▪  চলতে ফিরতে টুকটাক স্ন্যাক্্স খাওয়া বন্ধ করুন।  ▪  সবসময়ই পেট খানিকটা খালি রেখে খান। ▪  খাবারের অন্তত ঘণ্টাখানেক পরে শুতে যান। ▪  দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি খান। 


হেল্থ টিপস্-১৬৯  ▌ফুড পয়জনিং হলে কী করবেন? 

যদি কোনো খাবার খেয়ে বারবার বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেটব্যথা শুরু হয়, তাহলে বুঝতে হবে ‘ফুড পয়জনিং’ হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খেলে এগুলো থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। যদি সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হয়, তবে এ থেকে পানিশূন্যতা হতে পারে। কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। শরীরের যেকোনো অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় এটি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রতিরোধের উপায়: * রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না। * যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কয়েক দিন ধরে ফ্রিজে রাখা আছে এমন খাবার খাওয়াও ঠিক না। * খাবার ঠিকমতো ঢেকে রাখুন, নয়তো বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে। আক্রান্ত হলে ডাবের পানি, স্যালাইন, শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-১৭০  ▌গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা করণীয় কি: 

গ্যাস্ট্রিক বা আলসারকে পেপটিক আলসার বলে। পেটের ওপরের দিকে সারাদিন অল্প অল্প ব্যথা থেকে শুরু, হঠাৎ তীব্র ব্যথা পেপটিক আলসারের ব্যথা হিসেবে পরিচিত। যাঁরা নিয়মিত খাবার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন, তাঁদের পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধের কারণে বেশি অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। অনিদ্রা, অতিরিক্ত টেনশন, ভাজাপোড়া খাবার, ধূমপান ইত্যাদিও বাড়তি অ্যাসিড তৈরি করে। প্রতিরোধ: নিয়মিত খাবার গ্রহণ, ভাজাপোড়া খাবার পরিহার, দুশ্চিন্তা পরিহার, পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ অর্থাৎ অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসা: পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত অ্যান্টাসিড এবং এ জাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন।  সময়মতো চিকিৎসা না করালে ▪  পাকস্থলী ফুটো হয়ে যেতে পারে। ▪  রক্তবমি হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-১৭১ ▌পেট খারাপ কেন হয়? হলে কী করবো?

 ▪  ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। উৎস দূষিত পানি এবং খাবার। ▪  দিনে তিনবারের বেশি টয়লেটে যেতে হলে, ফুটিয়ে ঠা-া করা পানিতে ও আর এস পাউডার অথবা সাধারণ লবণ চিনি মিশিয়ে বারেবারে খেতে হবে। ▪  ভাইরাসের দরুণ পেট খারাপ হলে মোটামুটি ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থা আয়ত্তের মধ্যে চলে আসার কথা। ▪  খাবার খাবেন ভালো করে খিদে পেলে, তবে শাক, বেশি সবজি, ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার এবং তৈলাক্ত খাবার খাবেন না। হালকা মাছের ঝোল ভাত, চিকেন স্ট্যু, স্যুপ, টোস্ট, চিড়ে সিদ্ধ, মুড়ি, ফলের রস, ডাব, শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন। ▪  পানি খাবেন ফুটিয়ে। ফ্রিজের খাবার না খেয়ে টাটকা তৈরি করে খাওয়াই ভালো। বাইরের খাবার মোটেই খাবেন না। কফি, কোল্ডড্রিঙ্কস, চকোলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি ক-দিন বাদ থাকবে। কাঁচকলা, পেঁপে খাওয়া যেতে পারে। বাসনও গরম পানিতে ধুয়ে নেওয়া দরকার। 


হেল্থ টিপস্-১৭২  ▌ খিদে কমে যাওয়া: 

গ্যাস, অম্বল হলে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, সাধারণ থেকে জটিল জ্বরে অল্পবিস্তর খিদের কম-বেশি হয়েই থাকে। কেন খিদে কমে? ▪  জন্ডিস   ▪  জ্বর   ▪  গ্যাস অম্বল    ▪  কোষ্ঠকাঠিন্য    ▪   অবসাদ ▪  কিছু ওষুধ, যেমন, ডিকলিক, স্টেলবিড, লিব্রাক্স জাতীয় অ্যান্টি কলিনার্জিক ড্রাগ, অবসাদে ব্যবহৃত কিছু ওষুধ    ▪   দুশ্চিন্তা, অশান্তি, উদ্বেগ   ▪  ধূমপান  ▪  কিছু মানসিক অসুখ   ▪  পাকস্থলীর ক্যান্সার ইত্যাদি।  খিদে কমলে কী করবো? ▪  অল্প পরিমাণে হলেও দিনের প্রতিটি খাবারই খাওয়ার চেষ্টা করুন। ▪  পানি, শরবত, ফলের রস, সু্যূপ ইত্যাদি তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ▪  খিদে না হওয়ার সঙ্গে গা-গুলানো ভাব থাকলে প্রস্রাবের রং এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়েছে কি-না খেয়াল রাখুন। ▪  কোষ্ঠকাঠিন্য  দেখা দিলে রাত্রে খাবার খাওয়ার পর দু-তিন চামচ ইসবগুলের ভূষি পানিতে মিশিয়ে খান নিয়মিত। ▪  কোনো কারণে অশান্তি বা টেনশন বাড়ছে কিনা খেয়াল রাখুন। 


 হেল্থ টিপস্-১৭৩ ▌ পেটব্যথা হলে কী করবেন?

 ▪  আন্ত্রিক: মূলত নাভির চারপাশে মোচড় দিয়ে ব্যথা হবে। কখনো সমস্ত পেটই ভার হয়ে থাকবে এবং টাটাবে মাঝেমধ্যে। অথবা ব্যথা ক্রমাগত চলতে পারে। সঙ্গে বমিভাব বা বমি, পায়খানার বেগ বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। জ্বরও থাকতে পারে অল্পস্বল্প। ▪  গ্যাসট্রাইটিস বা হজমের গ-গোল : বুক এবং পেটের সংযোগস্থলে ঠিক মাঝখানে তীব্র ব্যথা, ব্যথা ঠেলে বুকের দিকে উঠছে, চাপ দিচ্ছে বুকে। শরীরে অস্বস্তি, চোঁয়া ঢেকুর, বমিভাব থাকতে পারে, বমি এবং ঘামও হতে পারে। ▪  প্যানক্রিয়াটাইটিস : নাভির ঠিক উপরে মাঝপেট বরাবর মারাত্মক ব্যথা। সঙ্গে বমিভাব থাকতে পারে।  পেট ব্যথার কারণ আন্ত্রিক বলে মনে হলে বমি, পায়খানা হয়ে গেলে কষ্ট কমবে। কাজেই বমি এবং পায়খানা হতে থাকলে হতে দিন। বন্ধ করার ওষুধ খাবেন না।  ▪  গ্যাসট্রাইটিসের ব্যথাতেও নিজে থেকে বমি হয়ে গেলে অম্বল এবং অস্বস্তি ভাব কমবে। 


হেল্থ টিপস্-১৭৪  ▌আমাশা হলে করনীয়: উপসর্গ 

▪  প্রথমদিকে তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়। কোমর ব্যথাও সঙ্গে থাকে অনেক সময়। পায়খানার সঙ্গে আম পড়ে। বারেবারে পায়খানার বেগ হয়। কিন্তু গেলে সেভাবে হয় না। ▪  পরের দিকে পুরো তলপেট জুড়েই ব্যথা হতে থাকে। অনেক সময় পেটের ডানদিকে ঠিক অ্যাপেনডিসাইটিসের মতো তীব্র ব্যথা হয়। ▪  রোগ আরো বেড়ে গেলে বারেবারে পাতলা পায়খানা হতে থাকে, সঙ্গে আম থাকে প্রচুর। রক্তও পড়ে কখনো।  হলে কী করবেন? ▪  সমস্যা চালাকালীন লো-রেসিডিউ ডায়েট অর্থাৎ কম ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে। রুটি, শাকসবজি খাওয়া একটু কমিয়ে দেবেন কয়েকদিন। হালকা সহজপাচ্য খাবার, যেমন মাছ-ভাত, ছানা, দই, চিড়ে, মুড়ি, ফল ইত্যাদি খাবেন। ▪  পানি খাবেন ফুটিয়ে।  ▪  বাসনপত্রও খাওয়ার আগে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধোবেন। ▪  শুধু আমাশা নয় যে কোনো পেটের অসুখ এড়াতে চাইলে বাজারের কাটা ফল, খোলা খাবার, বাসি খাবার ইত্যাদি বর্জন করতে হবে। 


 হেল্থ টিপস্-১৭৫  ▌ বমি হলে করনীয়: 

সাধারণ বদহজম, গ্যাস, অম্বলে যেমন হয়,  তেমনি মেয়েদের হয় গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে। বমি হতে পারে মাইগ্রেনে, ব্রেন টিউমারের কারণে।  আবার বমি হয় অসংখ্য ওষুদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়। কেন বমি হচ্ছে কী করে বুঝবেন? ▪ বদহজম, অম্বল, গ্যাসের জন্য বমি বা বমিভাব হলে পেটে অস্বস্তি, উপর পেটে ব্যথা, চোঁয়া ঢেকুর থাকবে। বমিতে টক গন্ধ থাকতে পারে।   ▪ রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে সকালের দিকে গা বমি ভাব থাকতে পারে। বমিও হয় কখনো।  ▪ খেতে খেতে বা খাওয়ার পরই বমি হয়ে গেলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের কথা মাথায় রাখতে হবে। ▪  এ ছাড়া গলব্লাডারের সমস্যায়, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি নানান জ্বর বা বড়ো কোনো অসুখে, এমনকি পেট অনেকক্ষণ খালি থাকলেও বমি হতে পারে।  ▪ খাওয়া কমিয়ে দিন। বা যতক্ষণ অস্বস্তি রয়েছে একেবারেই কিছু খাবেন না। ▪  গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা থাকলে ডাক্তরের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না। 


হেল্থ টিপস্-১৭৬  ▌যাত্রাপথে বমি ভাব থেকে সহজে মুক্তির উপায়: 

 মানুষের শরীরে ৩টি অংশ গতি নির্ণয় করতে পারে এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। এই তিনটি অংশ হলো চোখ, অন্তঃকর্ণ এবং ত্বক। এদের 'সেন্সরি রিসেপ্টর' বলা হয়। যখনই এই ৩ সেন্সরের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, তখনই মূলত এই বমি ভাব দেখা দেয়। জেনে নিন, এই সমস্যা থেকে বাঁচার কিছু সহজ উপায়। ১। গাড়িতে বসে সামনের দিকে না তাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকাবেন। ২। যাত্রাপথের গতির বিপরীতে তাকানোও নিষেধ। ৩। তেলের গন্ধ কাটাতে ভাল গন্ধের এয়ারফ্রেশনার কাজে দিতে পারে। ৪। চলতি পথে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে পারলে ভাল হয়। ৫। গাড়ির ভেতর মোবাইল ফোন বা ট্যাব ব্যবহার না করাই ভাল। ৬। যে সিটে কম ঝাঁকুনি, (গাড়ির মাঝামাঝি) তা বেছে নিতে হবে। ৭। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে। ৮। বমির ট্যাবলেট কিনে খেতে পারেন।


হেল্থ টিপস্-১৭৭  ▌ বুক ধড়ফড় কেন করে? 

▪  কর্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া  ▪  করোনারি আর্টারি ডিজিজ  ▪  হার্ট ফেলিওর ▪  হার্টের ভাল্বঘটিত অসুখ   ▪  উচ্চ রক্তচাপ  ▪  হাইপার থাইরয়েডিজম  ▪  রক্তাল্পতা  ▪  প্যানিক অ্যাটাক ▪ ব্রঙ্কোডাইলেটর, থাইরক্সিন  ইত্যাদি ওষুধপত্রের প্রভাব ইত্যাদির কারণে বুক ধড়ফড় করে।  হলে কী করবেন? ▪  খুব বেশি বুক ধড়ফড় সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকব্যথা, মাথাঘোরা, ঘাম, সারা শরীরে অস্বস্তি ইত্যাদি কোনো উপসর্গ থাকলে পৌঁছে যান ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট আছে এমন হাসপাতালে। ▪  আর কোনো কষ্ট নেই, শুধু বুক ধড়ফড় করছে এরকম হলে পরপর কয়েকটি জিনিস করে দেখতে পারেন। যেমন,  ▪  ঘনঘন ঠা-া পানির ঝাপটা দিন মুখে। ▪  জোরে শ্বাস টেনে দম ধরে রাখুন খানিকক্ষণ। ▪  নাক এবং চোখ যে বিন্দুতে এসে মিশেছে আঙুলের চাপে জায়গাটা আস্তে আস্তে মালিশ করুন। ১০ সেকেন্ড করবেন। ▪  বুক ধড়ফড় কমানোর জন্য বিটা ব্লকার জাতীয় ওষুধ খাবেন না। 


হেল্থ টিপস্-১৭৮  ▌ডায়রিয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়:

 শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। তাছাড়া রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, আধাসিদ্ধ বা কাঁচা খাবার খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লক্ষণ: ১. ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়া। ২. ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে বমি হয়। পরে অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়। ডায়রিয়া হলে করণীয়: ১. রোগীকে বারে বারে খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার খাওয়ান এবং শিশুর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতে জিংক ট্যাবলেট খাওয়ান। ২. রোগীকে স্বাভাবিক ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। ৩. শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি খাবার স্যালাইন খাওয়ান। ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায়: ১.খোলা ও বাসি খাবার পরিহার করুন। মাছি, ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে খাবার ঢেকে রাখুন। ২. খাওয়ার আগে, পায়খানার পর ও খাবার পরিবেশেনের পূর্বে সাবান দিয়ে ভাল করে দু’হাত ধুয়ে নিন। ৩. পানি ফুটিয়ে পান করুন।


 --:: পায়ুনালী ও মূত্রনালী সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-১৭৯ ▌ অসম্পূর্ণ বা বাধাগ্রস্ত মলত্যাগ: 

কিছু লোক আছেন যাদের পায়খানা ক্লিয়ার হয় না, অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমে বসে থেকেও পায়খানা স¤পূর্ণ হয় না। ছেঁড়া ছেঁড়া পায়খানা (ঋৎধমসবহঃবফ ংঃড়ড়ষ) হয়, অর্থাৎ একটু পায়খানা হয় তারপর অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর আবার একটু হয়। এরপরও মনে হয় পায়খানা ভেতরে রয়ে গেছে। এ রোগে মহিলা রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে যাদের সন্তান সংখ্যা বেশি।  চিকিৎসার জন্য রোগীদের মল নরম করার ওষুধ খাওয়ার উপদেশ দেয়া হয়। এতে যদি কাজ না হয়, তাহলে অপারেশন করা প্রয়োজন হয়। এ অপারেশনের নাম ঝঞঅজজ (ঝঃধঢ়ষবফ ঞৎধহং ধহধষ ৎবপঃধষ ৎবংবপঃরড়হ)। অপারেশনটি মলদ্বারের ভেতর দিয়ে করতে হয়। এ জন্য দুটি (ঝঃধঢ়ষরহম রহংঃৎঁসবহঃ) ব্যবহার করতে হয় এ অপারেশনে পায়ুপথের ভেতরে যেখানে মল আটকে থাকে সেই মাংসটুকু কেটে ফেলতে হয়। অপারেশন প্রক্রিয়াটি জটিল।


হেল্থ টিপস্-১৮০ ▌ অর্শ হলে করণীয়: 

পায়ুপথে বেশ কিছু রক্তবাহী শিরা উপশিরা ফুলে উঠে অর্শের জন্ম দেয়।  ▪  বংশগত কারণে অনেকের মধ্যে অর্শের প্রবণতা থাকে।  ▪  দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠবদ্ধতা চললে অর্শ হতে পারে।  ▪  লিভার সিরোসিসেও অর্শ হয়। অর্শের চারটে পর্যায় আছে। ▪ প্রথম অবস্থায় শুধু রক্তপাত হয়। কোনো মাংসপি- বেরোয় না। ▪ দ্বিতীয় পর্যায়ে বেরোয় কিন্তু নিজে থেকে আবার ঢুকে যায়। ▪ তৃতীয় পর্যায়ে বেরোনোর পর হাত দিয়ে ঠেললে ঢুকে। ▪ চতুর্থ পর্যায়টিকে বলে প্রোলাপস পাইলস, মাংসপি- সর্বক্ষণ উৎপাতের মতো ঝুলতে থাকে শরীরের বাইরে। ব্যথাও থাকে খুব।  কী করবেন? ▪ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং পানি খান প্রচুর পরিমাণে। তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার বন্ধ করে দিন। প্রাণিজ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম খেতে পারেন। তবে পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন ছোলা, ডাল, সয়াবিন, রাজমা ইত্যাদি খাওয়া বাড়ালে উপকার হবে বেশি। সবগুলের ভুষি খেতে পারেন। 


হেল্থ টিপস্-১৮১ ▌ ফিশ্চুলা হলে করণীয়: 

রোগের কারণ  পায়ুুপথের আশপাশে হওয়া কোনো ফোঁড়া। যথাযথ চিকিৎসা করে ফোঁড়াটিকে সারিয়ে ফেললে সমস্যা দেখাই দেয় না। যাঁরা তা করেন না তাঁদের ক্ষেত্রে ফোঁড়া ফেটে গিয়ে একটা নালিপথ তৈরি হয়ে যায়। একেই বলে ফিশ্চুলা। উপসর্গ ▪  রস বা পুঁজ পড়া। ▪  কখনো পায়খানাও বেরিয়ে আসতে পারে নালিপথ দিয়ে।  ▪  রক্ত পড়ে না, ব্যথা থাকে না। ▪  অনেক সময় একাধিক মুখ থাকে ফিশ্চুলার, গাছে পানি দেওয়ার পানির ঝোরার মতো দেখতে হয় বলে এর নাম ওয়াটার ক্যান পেরিনিয়াম।  চিকিৎসা: ▪  পায়খানা থেকে এসে স্টিজ বাথ নিতে হবে। গোসলের পর নিতে হবে আরেকবার।  ▪  টি বি জাতীয় কোনো অসুখ থাকলে তার চিকিৎসা করাতে হবে। ▪  অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে রস এবং পুঁজ পড়া বন্ধ হলে অপারেশন করে নালিটা কেটে বাদ দিতে হবে। ▪  প্রয়োজনে অ্যাবসেস ড্রেন করতে হবে। অর্থাৎ ফোঁড়া কেটে পুঁজ বার করে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেসিং করে শুকাতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-১৮২  ▌ কাষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়: 

নিয়মিত পেট পরিষ্কার না হলে খুব অস্বস্তি হয়। অস্বস্তির পথ পেরিয়ে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য।  হলে কী করবো? ▪  শাকসবজি, ফল খান বেশি করে। ভাতের বদলে, সুপার সপ থেকে ‘ওটস’ বা লাল আটার রুটি খেতে পারেন। ডাল খান। চর্বিযুক্ত এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার  থেকে সমস্যা বাড়ে। কাজেই ভাজাভুজি, মটন, রান্নায় অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার কমিয়ে দিন। পানি এবং তরল খাবারের পরিমাণ বাড়ান। দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি, ফ্রুট জ্যুস খেতে পারলে ভালো। এর সঙ্গে নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার অভ্যেস করুন। ▪  রাত্রের খাবার কখনো বাদ দেবেন না। খুব বেশি পেট ভরেও খাবেন না। শুতে যাওয়ার ঘণ্টাদুয়েক আগে হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার খান।  ▪  ধূমপান পারলে ছেড়ে দিন।  ▪  চা, কফির পরিমাণ কমান। ▪ হাঁটাচলার পরিমাণ বাড়ান। ▪  প্রতিদিন টয়লেট যাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন। ▪ মল খুব শক্ত হয়ে গেলে ফিসার হওয়ার আশংকা থাকে। 


হেল্থ টিপস্-১৮৩  ▌প্রস্রাবে জ্বালা হলে কি করবেন: 

▪  প্রস্রাবে জ্বালা অনেকটা মেয়েদের একচেটিয়া। পিরিয়ডের সময় অনেকক্ষণ ধরে প্যাড না বদলালে। ঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে।  নোংরা প্যান্টি থেকে।  ▪  প্রস্টেটের সমস্যা দেখা দিলে প্রস্রাব আটকে যাওয়ার ফলে বয়স্ক পুরুষের মধ্যে জ্বালাযন্ত্রণা, সংক্রমণ দেখা দেয় অনেক সময়। ▪  কিডনি বা ইউরেটরে পাথর হলে বারবার  প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। ▪  গরমকালে কম পানি খেলে অনেক সময় সাময়িকভাবে প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। তবে  কী করে বুঝবেন প্রস্রাবে জ্বালার কারণ সংক্রমণ? ▪  প্রস্রাব ধরে রাখতে অসুবিধে হবে। ▪  প্রস্রাবে জ্বালা, তলপেটে ব্যথা, পেটের ভেতরে চুলকানি হতে থাকবে। ▪  রক্ত আসতে পারে প্রস্রাবের সঙ্গে। কী করবো? ▪  প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া শুরু করুন। অন্তত ৩/৪ লিটার। ▪   ডাক্তার দেখিয়ে একটা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করুন। ▪  অধিকাংশ ক্ষেত্রে দিনসাতেকের মধ্যে উপসর্গ পুরোপুরি কমে যায়।


হেল্থ টিপস্-১৮৪  ▌মূত্রনালির ইনফেকশ  (প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা)কি করবেন? 

 লক্ষণ- ১. প্রস্রাবে দুর্গন্ধ। ২. প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া। ৩. প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা। ৪. একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া। ৫. তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা করা। ৬. বমি ভাব বা বমি হওয়া। ৭. সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা কাঁপুনি দিয়ে ঘনঘন জ্বর আসা। কি করবেন? ▪  প্রচুর পানি খাবেন।  ▪  যখনই প্রস্রাবের বেগ আসবে সাথে সাথে প্রস্রাব করে ফেলুন, আটকিয়ে রাখবেন না। ▪  পানির পাশাপাশি তরল খাবার যেমন ফলের জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি বেশি বেশি পান করুন। ▪  পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন সেটি পরিষ্কার কিনা।  ▪  একই কাপড় না ধুয়ে বেশিদিন পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন। প্যান্টি নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ▪  যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করার সময় সবসময় সামনে দিক থেকে পেছনে যাবেন, পেছন থেকে সামনে নয়। 


 হেল্থ টিপস্-১৮৫  ▌ কলোস্টমি কেন করা হয়: 

মলত্যাগের পথ অর্থাৎ পায়ুুপথ ও মলদ্বার যখন কোনো রোগে নষ্ট হয়ে যায় তখন অপারেশন করে এই অংশটি কেটে ফেলে দিতে হয়। তারপর খাদ্যনালীর অবশিষ্ট অংশকে পেটের সাথে একটি ব্যাগ  লাগিয়ে দেয়া হয়Ñ যেখান থেকে পায়খানা বের হবে। ব্যাগটি কখনো কখনো খুলে বাথরুমে পরিষ্কার করে নিতে হয়। ব্যাগ লাগালে সব ধরনের কাজ করতে পারবেন। স্বামী-স্ত্রীর সাথে মেলামেশায় কোনোরূপ নিষেধ নেই। সন্তান ধারণেও কোনো নিষেধ নেই। কিছু কিছু খাবার বেশি গ্যাস তৈরি করে এবং দুর্গন্ধ বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেমনÑ পেঁয়াজ, রসুন (অল্প খাবেন), ডিম, ফুলকপি, মূলা ইত্যাদি।


 --:: কৃমি সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-১৮৬ ▌ কিভাবে কৃমি রোগ মানুষকে কে আক্রমন করে: 

সাধারণত অপরিষ্কার শাকসবজি ফলমূল, নোংরা খাবার, দূষিত পানির মাধ্যমে কৃমির ডিম আমাদের মুখে প্রবেশ করে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় চোপর, হাত-পা ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে বা আঙুলের ভাঁজে লেগে থাকা ডিম খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের পেটে চলে যায়। সেখান থেকে ক্ষুদ্রান্তের এনজাইম বা পাচকরসের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা বের হয়। লার্ভাগুলো পাকস্থলীর ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা লাভ করে। প্রতিরোধ : # জন্মের পর প্রথম ৫ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। # খাবার তৈরি, পরিবেশন এবং খাওয়ার পূর্বে সাবান দিয়ে অবশ্যই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। # পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়া এবং নখ বড় হবার আগেই অবশ্যই কেটে ফেলা। বাড়ির একজনের কৃমি থাকলে সকলেরই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


হেল্থ টিপস্-১৮৭ ▌শিশু কৃমির ওষুধ কখন খাবে?: 

নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী। একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে শূন্য দশমিক ২ মিলিলিটার রক্ত শুষে নেয়। ফলে শিশুরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগে। বড়রাও কম ভোগেন না। এ ছাড়া কৃমির কারণে অ্যালার্জি, ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে  পারে। কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়। কৃমি সংক্রমণ তাই বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা। ১. প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি সেবন করতে পারেন। মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন। সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গরম, শীত, বর্ষা যেকোনো সময়ই কৃমিনাশক খাওয়া যাবে। 


 --:: ঘুম সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-১৮৮ ▌পেটের মেদ কমাতে পরিবর্তন করুন ঘুমের ধরণ:

 রাতে পরিবারের সাথে ভরপেট খেয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে যাচ্ছেন? কিন্তু এতে করেই তৈরি হচ্ছে সমস্যা। ঘুমের মধ্যেও যে মেদ জমতে পারে এ বিষয়টা কি আপনার জানেন?  পেটের মেদ কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা জিমে ভর্তি হয়েও অনেকে তেমন কোন পরিবর্তন পায় না। এজন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম। ১. দেরি করে ঘুমাতে যাবেন না। প্রতিদিন একটা সময়েই বিছানায় যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে ঘুম যেমন গভীর হবে, তেমন তা শরীরের ক্যালরি পোড়াতেও সাহায্য করে।  যত বেশি গভীর ঘুম হবে, তত বেশি কমবে শরীরের মেদ। ২. ঘুমানোর আগে দেখে নিন যে যেই ঘরে আপনি ঘুমাচ্ছেন সেই ঘরটি অন্ধকার রয়েছে কিনা। অন্ধকার ঘর শরীরে মেলাটনিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি মেটাবলিক হারকে প্রভাবিত করে  যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। 


হেল্থ টিপস্-১৮৯ ▌রাতে বার বার ঘুম ভাঙছে?  পরিণাম কী হতে পারে?: 

গবেষণা  বলছে যে রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে যদি ভেঙে যায় ঘুম, তাহলে বুঝতে হবে আপনার গলব্লাডারের কোনো সম্যস্যা হতে পারে। তবে আপনি যদি কোনো বিশেষ কিছু ঘটনা নিয়ে মানসিকভাবে চিন্তিত থাকেন তাহলে এভাবে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আবার মন মেজাজ খারাপ থাকলে বা মাথা গরম থাকলেও এমন হতে পারে।  রাত ১টা থেকে ভোররাত ৩টের ,মধ্যে ঘুম ভেঙে গেলে বুঝবেন আপনার লিভারের কোনো বিশেষ অসুখ হতে পারে। এই ব্যাপারে আরো বলা হয় যে যারা বদমেজাজি ও অল্প কথায় নিজেদের রাগ  কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তাদের এই সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। তাই বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার  আগে এক প্লাস ঠান্ডা পানি পান করুন। মন শান্ত হলে শুতে যান। রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে হঠাৎ করে ঘুম ভাঙলে তা ভালো লক্ষণ নয়।  বুঝতে হবে যে ফুসফুসের কোনো ক্ষতি হতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-১৯০ ▌সকাল না রাত, ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময় কখন?: 

সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই।  নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর যেমন ভালো থাকে তেমনি মন, মেজাজও ভালো থাকে। সেই সাথে কর্মোদ্যমী রাখে আপনাকে। তবে কোন সময় ব্যায়ামের জন্য ভালো হবে এই নিয়ে মানুষ অনেক সময় দোটানায় পড়ে যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ব্যায়াম করার আদর্শ সময়। সকালে ব্যায়াম: সকালে ব্যায়াম করলে সারাদিনের কাজে শক্তি যোগাবে এবং সেই সাথে মন মেজাজও ফুরফুরে থাকবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করলে আপনি বাড়তি সময় পাবেন আপনার জন্য। রাত বা সন্ধ্যাকালীন ব্যায়াম: সারাদিন শরীর সচল থাকার কারণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীর বিজ্ঞানীরা মনে করেন ক্লান্ত দেহই ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়। এতে শরীর আবার শক্তি ফিরে পায়।  মোট কথা দুই সময়ই ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়।


হেল্থ টিপস্-১৯১ ▌রাতে বাঁ দিক ফিরে ঘুমোন: 

১. গর্ভবতীদের বেশিরভাগ সময় বাঁ দিকে ফিরে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। একটাই কারণ, কার্ডিওভাসকুলার সার্কুলেশন ভাল থাকে। রক্তচলাচল ঠিকমতো হলে ভাবী মা ও শিশু দুজনই সুরক্ষিত। শুধু গর্ভবতীরাই নন, সকলেরই উচিত এই নিয়ম মেনে চলা। ২. রক্তকে বিশুদ্ধ রাখার ক্ষেত্রেও বাঁ দিক ফিরে শোওয়া অব্যর্থ। শরীরের বাঁ দিকে লিম্ফেটিক সিস্টেম অনেক বেশি সক্রিয়। ফলে বাঁ দিকে ফিরে শোওয়ার ফলে রক্তে আবর্জনার পরিমাণ কম থাকে। ৩. বাঁ দিকে ফিরে শোওয়ার ফলে ¯পাইনে কম চাপ পড়ে। পিঠের ব্যথা বা কোমরে ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে যা বেশ কার্যকরী। বুঝতেই পারছেন ঘুমটা বেশ আরামেই হবে। ৪. বাঁ দিকে ফিরে ঘুমালে পাকস্থলী ও প্যানক্রিয়াস যথাযথ অবস্থায় থাকে। যাদের হজমের সমস্যা হয়, তাদের জন্য এভাবে ঘুমানোটা বেশ উপকারী। বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটিও কম হয়।


হেল্থ টিপস্-১৯২ ▌কাজের ফাঁকে ঘুম বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা: 

কাজের ফাঁকে একটু-আধটু বিশ্রাম নেওয়ার। কিন্তু সেই বিশ্রামটা যদি পুরোপুরি ঘুম হয়, তা হলে বাড়বে মস্তিষ্কের ক্ষমতা। তা সে ৫ মিনিটের জন্য হলেও হবে। এমনটাই দাবি করছে গবেষকরা। জেনারেল সাইকিয়াট্রি’ নামক মনোবিজ্ঞানের পত্রিকায় বিজ্ঞানীরা সমীক্ষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, যারা দুপুরে অল্প হলেও ঘুমান, অন্যদের তুলনায় তাদের মস্তিষ্ক বেশি কাজ করতে পারে। স্মৃতিশক্তিও বেড়ে যায় অনেকটা। এমনকি মস্তিষ্কের বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলোও দেরি করে দেখা দেয়।  তাতেই দেখা গিয়েছে, যারা দুপুরে ঘুমিয়েছেন, তাদের স্মৃতিশক্তি, সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা, সচেতনতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অন্যদের থেকে বেশি। এ জন্য বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাইলে কাজের ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে দুপুরে ঘুমানো জরুরি।


হেল্থ টিপস্-১৯৩ ▌ রাতে গলা শুকিয়ে যায়? : 

রাতের বেলা ঘুমানোর জন্য ছটফট করলেও ঠিকমতো ঘুম আসে না, চোখ বুজলেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, মনে হয় যেন সারাদিনে মুখে পানি পড়েনি। প্রায়ই এমন হচ্ছে? তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না। যাদের হাঁপানির সমস্যা থাকে, তারা নাকের বদলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেন। সে কারণে মুখের লালা শুকিয়ে যায় এবং জলের তৃষ্ণা পায়। সুগারের একটি লক্ষণীয় উপসর্গ হলো গলা শুকিয়ে যাওয়া। হাই প্রেশারের সমস্যা থাকলেও রাতে ঘাম হয় এবং গলা শুকিয়ে যায়। আবার নার্ভের রোগীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়। অবসাদে যারা ভোগেন, তাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা যায়। স্ট্রোকের পরেও গলা শুকিয়ে যায়। রাতে গলা শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে গেলে ধূমপান বন্ধ করুন। চা কিংবা কফি খান। সর্দির কারণে নাক বন্ধ থাকলে ভ্যাপর নিন। বেশি করে পানি পান করুন।


হেল্থ টিপস্-১৯৪ ▌  রাত জাগা কাজ যেসব মারাত্মক ক্ষতি করছে আপনার স্বাস্থ্যের!: 

যারা নাইট অথবা ইভিনিং শিফটে কাজ  রেন, তাদের ঘুম হয় ছয় ঘণ্টা বা তারও কম। নাইট শিফটে কাজ করলে শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা কম হয়, যার ফলে ভালো ঘুম হয় না। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ২২৬,৬৫২ জন ব্যক্তির মাঝে যারা নাইট শিফটে কাজ করছিলেন তাদের  ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা থাকে অন্যদের তুলনায় ২ গুন। রাতে কাজ করলে ইনসুলিনের কাজ প্রভাবিত হয়। এ কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই দিনে জেগে থাকা এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ায় অভ্যস্ত। এই ব্যাপারটাকে পাল্টে দিয়ে একজন মানুষ যখন দিনে ঘুমান। দেহঘড়ির এহেন বিরুদ্ধাচারের ফলে মুটিয়ে যাবার ঝুঁকি রয়ে যায় অনেক বেশি। মূলত ঘুমের অনিয়মের কারণেই এ সমস্যা দেখা যায়। অন্যদের তুলনায় শিফট কর্মীদের মাঝে বিষণèতায় ভোগার পরিমাণ বেশি হয়। দেখা দিতে পারে আচরণগত সমস্যা। 


 হেল্থ টিপস্-১৯৫  ▌অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া: 

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।  ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়ে, মন সতেজ থাকে আবার কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।  ইনসমনিয়ার কারণ-প্রথম দিকে বিভিন্ন কারণে যেমন- ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট  ব্রাউজিং, পড়াশোনা করা ইত্যাদি কারণে ঘুমে দেরি হয় এবং পরবর্তীতে সঠিক সময়ে আর ঘুম আসে  না। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণ আছে যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যেমন-▪  ডিপ্রেশন বা অবসাদগ্রস্ত, টেনশন, দুঃস্বপ্ন ইত্যাদি ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে।  অতিরিক্ত  চা, কফি ইত্যাদি উত্তেজক পান ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে  পারে। ▪  প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় রুটিন করে বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন।  ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা  আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ▪  ঘুম না এলে বিছানায়  না শুয়ে থেকে বরং বই পড়–ন বা হাঁটাহাঁটি করুন।


হেল্থ টিপস্-১৯৬ ▌সঠিক মাপের বালিশ দেবে প্রশান্তির ঘুম: 

ঘুমের বালিশটি যেমন খুব নরম হলেও চলে না, তেমন আবার খুব শক্ত হলেও তা ¯পাইনাল কর্ডে নানা সমস্যা তৈরি করে। অনেকেই ফোমের বালিশ কেনেন। কিন্তু শরীরের জন্য তা একেবারে উপকারী নয়। বরং আস্থা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর। বালিশ কেনার সময় দেখে নিন যাতে কাঁধ বা ঘাড় না বেঁকিয়েই অর্থাৎ মোটামুটি সোজা ও সমান্তরাল রেখেই ঘুমিয়ে পড়া যায়। বিশেষ কোনও পাশ ফিরে শোওয়ার সময়  কাঁধের সঙ্গে গলার যতটা ফারাক, বালিশের সঙ্গেও কাঁধের যেন ততটাই পাথর্ক্য হয়। অর্থাৎ ঘাড়ের উপরিভাগ ও বালিশের শেষ ভাগ যেন একে অপরকে ¯পর্শ করে থাকে। বালিশের উপর একটা কভার ব্যবহার করুন। কভার বাছাইয়ের সময় বরং বেছে নিন সুতি কাপড়কে। সুতিবস্ত্র ছাড়া অন্য কাপড়ের কভারে গরম লাগতে পারে, তা ত্বকের জন্যও খুব একটা ভাল নয়।


হেল্থ টিপস্-১৯৭  ▌যে কারণে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি দেয়: 

ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’ বলা হয়। জেগে থাকা অবস্থা থেকে হঠাৎ ঘুমাতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক বুঝে উঠতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’। আসলে শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান বুঝে উঠতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়। এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। তবে অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। ¯œায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।


হেল্থ টিপস্-১৯৮  ▌স্লিপ টকিং (ঘুমের মধ্যে কথা বলা) কি করবেন?: 

নিদ্রাবস্থায় অসচেতন হয়ে নিজের সাথে কথা বলাই হচ্ছে, স্লিপ টকিং।  এরা ঘুমের মধ্যে কথা বলাসহ হাসে, গুণগুণ করে বা চিৎকার ও করে থাকে, অনেক সময় এমনও মনে হতে পারে যে অন্যের সঙ্গে কথা বলছে।  স্লিপ টকিং এর বিষয়টি ৩০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয় না এবং প্রতি রাতে একবারের বেশি হওয়াটাও বিরল। ১-১০ বছরের শিশুরা সপ্তাহে কয়েক রাত ঘুমের মধ্যে কথা বলে। যে কারণগুলো দায়ী তা হলো- স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, জ্বর, ঘুম বঞ্চনা, দিনের তন্দ্রা, অ্যালকোহল সেবন, বংশগতি, দুঃস্বপ্ন, মানসিক রোগ, মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা, ঔষধের অপব্যবহার ইত্যাদি। পর্যাপ্ত ও নিয়মিত বিশ্রাম নিলে স্লিপ টকিং এর মাত্রা কমতে সাহায্য করে”। ২। স্ট্রেস স্লিপ টকিং এর তীব্রতা বাড়ায় ও পুনরাবৃত্তি ঘটায়। তাই চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। ৩।  ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।


হেল্থ টিপস্-১৯৯  ▌বালিশের পাশে মোবাইল রেখে ঘুমানোর ঝুঁকি : 

মোবাইল ফোনেই ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রায় একশো ধরনের গ্যাস নির্গত হয়, যেগুলি মানবশরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই সমস্ত গ্যাসের মধ্যে রয়েছে কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসও। এই কার্বন মনোক্সাইড যদি অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করে তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যারা রাত্রে ঘুমানোর সময়ে মোবাইল ফোনটিকে শোওয়ার ঘরেই রেখে দেন, সেইসঙ্গে ঘরের জানলা-দরজাও বন্ধ রাখেন, মোবাইলের প্রভাবে তাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মোবাইলের ব্যাটারি-নির্গত গ্যাসের প্রভাবে মানুষের চোখ, নাক ও গলা জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা রাত্রে ঘুমানোর সময়ে মোবাইলটিকে চার্জে বসিয়ে রাখেন, তাদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কাজেই রাত্রে ঘুমনোর সময়ে চেষ্টা করুন মোবাইলটিকে অন্য ঘরে রাখতে। চার্জ দিনের অন্য সময়ে দিন। 


হেল্থ টিপস্-২০০  ▌ স্লিপ ওয়াকিং (ঘুমের মধ্যে হাঁটা) কি করবেন:  

স্বাভাবিক নিয়মে বিছানায় ঘুমাতে যান। কিন্তু  কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঘুমের ঘোরেই তারা নানা ধরনের কাজকর্ম করা শুরু করে দেন। যেমন- আপন মনে কথা বলা, হাসা অথবা কাঁদা, ঘুম থেকে উঠে বসে পড়া, চোখ খুলে তাকিয়ে থাকা, হেঁটে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যাওয়া, এমনকি সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার ব্যাগ পর্যন্ত গুছিয়ে রাখার মতো কাজ ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে করে থাকে।  বস্তুত, তারা জেগে থাকলেও তাদের মস্তিষ্ক তখনও রয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে। সতর্কতা : এ ধরনের কোনো দৃশ্য চোখে পড়লে সরাসরি ব্যক্তিকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা না করাই ভালো। এতে ব্যক্তির মেজাজ খিটমিটে হয়ে যায়। করণীয় :* এ সময়ে ব্যক্তিকে ধরে পুনরায় বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিতে হবে। *  ¯ি¬প ওয়াকিং-এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা ঘরে থাকতে দেয়া ঠিক নয়। *  প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।