সংগঠনের অর্থনৈতিক ফান্ড কি কি উপায়ে গঠন করা যায়


 ১. সদস্য চাঁদা (Membership Fee)

দলের নিবন্ধিত সদস্যদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়। দলের সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক বা বার্ষিক চাঁদা সংগ্রহ করা। বিভিন্ন স্তরের সদস্য (সাধারণ, সক্রিয়, নেতৃস্থানীয়) ভেদে ভিন্ন হারে চাঁদা নির্ধারণ।
 

২. দান ও জনহিতকর প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে (Donations from Individuals)

সাধারণ জনগণ, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী কিংবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দান। পাশাপাশি সমমনা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি থেকে স্পন্সর নিয়ে বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রকল্প হাতে নেয়া। যার খরচের অবশিষ্ঠাংশ দলে তহবিল হিসেবে জমা হবে।

৩. অনলাইন ফান্ডরেইজিং ( Online Donations)

 প্রবাসী সমর্থকদের কাছ থেকে তহবিল আনতে, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, বিকাশ/নগদ/রকেট বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে অনলাইন চাঁদা সংগ্রহ। বিদেশে বসবাসকারী দলের সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীরা যাতে দলের অর্থনৈতিক ফান্ডে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে  বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী মেনে প্রবাসী অনুদান সংগ্রহ করা যেতে পারে।

 

৪. অনুষ্ঠান/ইভেন্ট আয়োজন (Fundraising Events)

বিনোদনমূলক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, ডিনার,  ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,আলোচনা সভা,  নিলাম, ডিনার পার্টি ইত্যাদি আয়োজন করে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ। বিভিন্ন ধরনের জনসভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইত্যাদির আয়োজন করা যেতে পারে। এইসব অনুষ্ঠানে টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ এবং দান গ্রহণের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান দলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে একটি মিলনক্ষেত্র তৈরি করে এবং দলের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
 

৫. সংগঠনের পণ্য বিক্রি (Merchandise Sales)

সংগঠনের লোগো বা স্লোগানযুক্ত পণ্য যেমন টি-শার্ট, ক্যাপ, ব্যাগ, খাতা, বই বিক্রির মাধ্যমে আয়। সংগঠনের নিজস্ব প্রকাশনা (যেমন: ম্যাগাজিন, বুলেটিন, স্মারক পণ্য) বিক্রি করে আয় করতে পারে। সংগঠনের নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং নেতাকর্মীদের তৈরিকৃত প্রোডাক্ট অনলাইনে অফলাইনে দল কর্তৃক বিক্রির মাধ্যমে আয়।


৬. কৃষি/উৎপাদন উদ্যোগ (Agriculture/Manufacturing)

গ্রামীণ এলাকায় সংগঠনের কর্মীদের সহযোগিতায় কৃষি/হস্তশিল্প প্রকল্প গড়ে তুলে আয়ের উৎস তৈরি করা। সংগঠনের খামার / নার্সারি, দলীয় হস্তশিল্প কেন্দ্র ইত্যাদি গঠন করা। পাশাপাশি সংগঠনের প্রতিটা ইউনিটে কর্মীদের পেশাগত কাজ বা সার্ভিস পরিষেবা  কিংবা তাদের  প্রোডাক্ট  বিক্রিতে সহায়তা করা। এতে সংগঠনের কর্মীরা সংগঠনেরকে তার ওই কাজে আয়ের এক পঞ্চবাংশ দিবে এবং সহযোগিতাকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ সংগঠনের এই অংশের তিন চতুর্থাংশ নিবে। সংগঠনের প্রতিটা ইউনিটে সমবায় ফান্ড গঠন করে এই ধরনের কোন নিশ্চিত লাভজনক কোনো প্রকল্পে  আলোচনা সাপেক্ষে বিনিয়োগ করা। এটা থেকে লভ্যাংশের এক পঞ্চমাংশ বা সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এক ক্ষুদ্র অংশ সংগঠন পরিচালনা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হবে।


 ৭. সহযোগী সংগঠনের সহায়তা ও বিনিযোগ(Support and investment)

সংগঠনের  ছাত্র, যুব, শ্রমিক বা প্রবাসী শাখার মাধ্যমে অর্থ সহায়তা গ্রহণ। পাশাপাশি  সংগঠনের নেতা-কর্মী যারা দলের সহায়তায় একে-অপরকে  বিনিয়োগ দিবেন-নিবেন,  তারা স্বর্ণের বর্তমান দর হিসেবে বিনিয়োগ দিবেন-নিবেন এবং ফেরত দেওয়ার-নেয়ার সময় স্বর্ণের বর্তমান দর হিসেবে ফেরত দিবেন-নিবেন; সঙ্গে এক চতুর্থাংশ লাভসহ। এই লাভের এক পঞ্চমাংশ দল পাবে।  


 ৮. অনুদান / সহায়তা তহবিল (Grants & Endowments)

বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় অনুদান/সহায়তা থেকে। সাধারণ জনগণ, শুভানুধ্যায়ী, সমর্থক এবং বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে স্বেচ্ছায় অনুদান প্রদান করতে পারে।


৯. বিনিয়োগ বা সম্পদ পরিচালনা (Investment or asset management)

সংগঠনের মালিকানাধীন সম্পদ (ভবন, কৃষিজমি, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) থেকে আয় অর্জন ও তা ফান্ডে যুক্ত করা।

১০. নেতাদের অনুদান (Contributions from Leaders & Candidates)

সংগঠনের  নেতা দের নিজেদের তহবিল থেকে অর্থ দিতে পারেন।