লবণাক্ত খাবার যখন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক, লবণ ছিল টাকার বিকল্প

পৃথিবীতে মুদ্রার ধারণা উদ্ভাবনের আগে প্রচলন ছিল বিনিময় প্রথার। এক পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আরেকটি পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত।  রোমান সাম্রাজ্যে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো লবণ।সেই সময় লবণ ছিল অপ্রতুল, ফলে মূল্যবানও ছিল।লাতিন শব্দ ‘স্যালেরিয়াম’ থেকে ইংরেজি ‘স্যালারি’ (বেতন) শব্দটি এসেছে। স্যালেরিয়াম শব্দটির মূলে রয়েছে ‘sal’ যার অর্থ লবণ। সে সময় লবণ এত মূল্যবান কেন ছিল,শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই লবণ ব্যবহার করা হতো না। এটি খাবার সংরক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।সেনারা রেশন সংরক্ষণে লবণ ব্যবহার করতেন। এটি খাবারের পচন রোধ করত।বিশেষ করে মাংস ও মাছ সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করা হতো। 


পাশাপাশি বিলাসিতারও প্রতীক ছিল। ধনী ব্যক্তিরা প্রায়ই সামাজিক মর্যাদা ও সম্পদ প্রদর্শন করার জন্য অস্বাভাবিক লবণাক্ত ভোজের আয়োজন করতেন।বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই উপাদান। যেমন—খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের আশীর্বাদের সময় লবণের ব্যবহার 

দুটি প্রধান "লবণের যুদ্ধ" : একটি হল ১৮৭৭ সালে আমেরিকার টেক্সাসের এল পাসো অঞ্চলের লবণ হ্রদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ এবং অন্যটি হল ইতালির ভেনিস ও জেনোয়া শহরের মধ্যে লবণের ব্যবসা নিয়ে হওয়া যুদ্ধ, এছাড়াও, "লবণ আইন অমান্য আন্দোলন" নামে ভারতের স্বাধীনতার সময় একটি আন্দোলন হয়েছিল , যেখানে মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের লবণের ওপর কর আরোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন

=======

সুখী দাম্পত্যের জন্য ‘আলাদা বিছানার’ তত্ত্ব 

দীর্ঘ মেয়াদি দাম্পত্যে বা সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাতে স্বামী ও স্ত্রীর আলাদা বিছানা, এমনকি আলাদা বাড়ি থাকার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া উচিত। স্বামী ও স্ত্রী আলাদা বিছানার মানে হলো ঘরের ভেতরেই উভয়ে পৃথক বিছানায় ঘুমানো। 

বিষয়টি আমাদের বাঙালিদের কাছে অদ্ভুত শুনালেও ব্যাপারটি জাপানিদের কাছে খুবই স্বাভাবিক। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, জাপানে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ দম্পতি ঘুমান আলাদা ঘরে। শত শত বছর ধরে জাপানে এমন নিয়ম চলে আসছে। জাপানে ফুটন ব্যবহার হয় ঘুমানোর জন্য। এই ফুটন হচ্ছে এক ধরনের বিছানা,যা মাটিতে বিছানো থাকে। মূলত জাপানিরা বিশ্বাস করে পর্যাপ্ত ঘুম আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। যা তাকে পরবর্তি দিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে।  ঘরের কাজ করার জন্য স্ত্রীকে তাড়াতাড়ি খুব সকালে উঠতে হয়, কাজে যাওয়া স্বামীকে আলাদা সময়ে উঠতে হয়। সঙ্গীর বিশ্রাম যাতে ব্যহত না হয়, সে কারণেই তারা আলাদা ঘুমান। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গে ঘুমায়। তাই মা এবং সন্তানরা এক বিছানায় এবং বাবা আলাদা ঘুমোন। এছাড়া তারা মনে করেন, আলাদা বিছানায় সম্পর্ককে উন্নত করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমালে আরও একটা সুবিধা হল, একজনের হাত পা আর একজনের গায়ের উপর পড়ে ঘুম বিঘ্নিত হয় না। একের নাক ডাকায় অন্যের অভিযোগ পোহাতে হয় না। 

এছাড়া জাপানে সম্প্রতি ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ নামের একটি অদ্ভুত বিয়ের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। যেখানে তরুণ-তরুণীরা একসঙ্গে না থাকার শর্তে বিয়ে করছেন। এই ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী আলাদা ভাবেই বসবাস করেন এবং নিজেদের জীবনে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।বিয়ের পর, তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই একসঙ্গে সময় কাটান, অন্য সময় নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করেন। বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের বিয়েকে প্রেমের সম্পর্কের মতোই দেখছেন। প্রেমের সময় যেমন দম্পতিরা একে অপরের বাসায় থাকেন না, সেপারেশন বিয়েতেও স্বামী-স্ত্রী একইভাবে আলাদা থাকেন।অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনিই সঙ্গী থেকে আলাদা রুমে ঘুমায়। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. কলিয়ার বলেন, আলাদা রুমে ঘুমানোর বেশ কিছু সুবিধা আছে।  বড় সুবিধা হলো, এর কারণে তারা একটা নিয়মিত এবং গভীর ঘুমের অভ্যাস গড়তে পারে। ন্যাশনাল বেড ফেডারেশন বলছে, গত এক দশকে আলাদা ঘুমানোর হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এ বিষয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কেডিয়ান নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক রাসেল ফস্টার  বলেন—দুজন আলাদা পরিবারে বড় হওয়া মানুষ হঠাৎ করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। অনেকদিন একই মানুষের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমালে সঙ্গীকে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। তাঁর ছোট ছোট ভুল নিয়ে বড় অশান্তি করে ফেলেন?ছোট ছোট বিষয়গুলো বড় ইশ্যু বানিয়ে ফেল

২০১৭ সালের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা বলছে যে প্রতি চার জনের মধ্যে একজন দম্পতি আলাদা বিছানায় ঘুমান।কিছু সময়ের দূরত্ব আপনার সম্পর্ককে অনেক ভাল করে তুলতে পারে। আপনি আরাম করার সময় পান এবং এর কারণে আপনার রাগও ঠান্ডা হয়। গবেষণা বলছে যে কখনো কখনো দম্পতিদের জন্য কিছু দূরত্ব বজায় রাখা তাদের যৌন জীবনের জন্য ভাল প্রমাণিত হতে পারে। তারা বিরক্ত হয় না এবং ক্লান্তও হয় না। এর ফলে যৌন জীবন উন্নত হতে পারে। আরো আকর্ষণ হতে পারে একে অপরের প্রতি।

==========

বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলকেন্দ্রিক সেই জ্ঞান ও বিনয়ের শিক্ষার বদলে ততদিনে কালো চশমা, হোন্ডা, হকিস্টিকের রাজত্ব চলছে।শহর জুড়ে বইয়ের দোকানের খরা। প্রতি বছর বইয়ের দোকান মারা যেতে যেতে এখন চিলে কোঠায় উঠে গেছে বইয়ের দোকান। যার ফলে শিক্ষা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে নীলক্ষেতের মতো নানান ক্ষেতের নোটের ভেতর। আর পপুলিস্ট রাজনীতির ‘শিক্ষা বিস্তার’-এর ফলে সমাজবর্জিত ও সংস্কৃতিহীন এক ধরনের ডিগ্রিধারী সৃষ্টি হয়েছে। আর যখন শিক্ষার সঙ্গে আধুনিকতা, সংস্কৃতি সম্পন্ন সমাজের যোগ ও ভবিষ্যতমুখী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ থাকে না, তখন শিক্ষিত তরুণরাও নান্দীকারের মঞ্চ নাটকের ওই তরুণদের মতো সমাজ ও সভ্যতা বহির্ভূত বস্তি কালচারের বেয়াদব হয়। তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না গুরুজনের ওপর বেয়াদবি করতে। সার্টিফিকেট পাবার কারখানা তৈরির আগে কি একটি সংস্কৃতিবান সমাজ গড়া প্রয়োজন নয়!

======

গত ৫৩ বছরে দেশের বাজেট ঘোষণা করেছেন ১৩ জন । এদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী,অর্থ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ছাড়াও আছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । আর সবচেয়ে বেশি এক ডজন বাজেট ঘোষণার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এরপর সাইফুর রহমান এবং শাহ এ এম এস কিবরিয়া ।ভ্যাট চালু করে রাজস্ব আয়ের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরীর জন্য স্মরণীয় থাকবেন সাইফুর রহমান। ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ  আগে যে ১৩ জন বাজেট উপস্থাপন করেছেন তারা হলেন তাজউদ্দিন আহমেদ , ড. এ আর মল্লিক , জিয়াউর রহমান, মীর্জা নুরুল হুদা,সাইফুর রহমান, এএমএ মুহিত,এম সাইদুজ্জামান , এম এ মুনিম , ড.ওয়াহিদুল হক,অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, শাহ এ এম এস কিবরিয়া , আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং এ এস এম মাহমুদ আলী ।দেশের প্রথম বাজেট দিয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে যিনি নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তার দেয়া বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটটি ঘোষণা করেছিলেন ১৯৭২ সালের ৩০ জুন।  তিনটি বাজেট পরপর ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান। তিনি যথাক্রমে ১৯৭৬ সালের ২৬ জুন ( ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছর ) , ১৯৭৭ সালের ২৫ জুন ( ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর) এবং ১৯৭৮ সালের ৩০ জুন ( ১৯৭৮-৭৯ ) বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে আবারো পাচ বছর অর্থনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন সাইফুর রহমান। একজ কড়া অর্থমন্ত্রী হিসেবেই তার পরিচিতি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ১০ বার বাজেট দিয়েছেন সাইফুর রহমান। যিনি পেশাগত জীবনে একজন চাটার্ড একাউনটেন্ট কিন্তু দেশের মানুষের কাছে শ্রদ্ধা পাচ্ছেন সৎ রাজনীতিক হিসেবে। সাইফুর রহমানের সাফল্যের টুপিতেও আছে একডজন বাজেট ঘোষণার সাফল্যের পালক। 

=====

মীর আব্দুল আলীম লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ভিক্টোরির প্রেসিডেন্ট, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ৩১৫/অ-১ এর জোন চেয়ারপারসন, আল-রাফি হাসপাতাল লিমিটেডে এর চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছেন। মীর আব্দুল আলীম জীবনমুখী লেখক, মহাসচিব, কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ। www.mirabdulalim.com, Banasree, Block-D, Road-8/3, House-1, 01733361111

============

আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাঁর বাজেটের অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যাগ্রেসিভ থাকলেও সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের ব্যাপারে ছিলেন কনজারভেটিভ। প্রতি বাজেটেই তিনি সঞ্চয়পত্রের সুদ কমাতেন। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবের পর পাসের আগে সংশোধনীর সময় যত নেতা ভাষণ দিতেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র মতিয়া চৌধুরী সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর বিরোধিতা করতেন। অন্যদিকে সাইফুর রহমান ও আবুল মাল আব্দুল মুহিতের যুক্তি ছিল, এ সুদের হার সরকারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। আর মতিয়া চৌধুরীর যুক্তি ছিল, “আমি এ সমাজের নিম্নমধ্যবিত্ত, ছোট চাকুরে, সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং বিশেষ করে স্বামীহারা বা বয়স্ক নারীদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানি; একটা সময়ে তাঁদের একমাত্র সম্বল সঞ্চয়পত্র।”


মতিয়া চৌধুরী যে শ্রেণিদের কথা উল্লেখ করতেন, তারা সমাজের সবচেয়ে অসহায়—উড়তেও পারে না, আবার মাটিতে মিশে যেতেও পারে না।

অথচ এই শ্রেণিরা সারা জীবন তিল তিল করে যা সঞ্চয় করে—শেষ বয়সে কোনোমতে বেঁচে থাকার আর একটু ওষুধ-পথ্য কেনার জন্য—প্রতিটি সরকারই তার ওপর খড়গ চালায়। এবারও যথারীতি তা-ই হয়েছে।

==========

কিয়োটো সত্যিই সুন্দর শহর—শুধু ভিড় ঠেলে দেখতে হয়।

জাপানের ঐতিহাসিক শহর কিয়োটো একসময় ছিল শান্তি, ঐতিহ্য আর নান্দনিকতার প্রতীক। এখন সেটি পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়ে … গিয়োন ছিল জাপানের ঐতিহ্যবাহী গেইশা পাড়ার প্রতীক।গিয়োনের সরু রাস্তাগুলোয় এমনভাবে ভিড় করছে যে অনেক সময় বাসিন্দাদের নিজের বাড়িতেই ঢুকে পড়ছে পর্যটক।গেইশাদের পিছু নেয়া পর্যটকরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছে যে সিটি কর্তৃপক্ষ মোবাইল নোটিফিকেশন পাঠাতে বাধ্য হয়েছে—‘‘গেইশাদের বিরক্ত করবেন না।’’২০১১ সালে জাপানে আন্তর্জাতিক পর্যটক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ মিলিয়ন। ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৭ মিলিয়নে। সব মিলে জাপান এখন অন্যতম ‘হট স্পট’।, ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস? চল জাপান যাই!’টোকিওর আকাশছোঁয়া ভবন, ওসাকার নাইটলাইফের আলাদা আবেদন আছে। কিন্তু কিয়োটো মানেই যেন ইতিহাসে ফেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুদ্ধমন্ত্রী এই শহরকে বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তাই এখনো অক্ষত রয়েছে প্রাচীন মন্দির আর শ্রাইন। ১২০০ বছরের ইতিহাস ।শিনকানসেনে করে দ্রুতগতিতে আসা মানুষজন দিনে প্রায় দেড় লাখ।

==============

মনীষার চিঠি 

নেপালে জন্ম নেয়া অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা, অনেক জনপ্রিয় মুভির সুন্দরী অভিনেত্রী তিনি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন নিজ স্বাস্থ্য ও ক্যারিয়ারকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়।ফেসবুকের পরিচয়ে বিয়ে – অল্প দিনেই বিবাহিত সংসারে ভাঙ্গন এবং ওভারিতে ক্যান্সার ধরা পড়ায় তিনি প্রায় নিঃশেষ হয়ে পড়েন।প্রায় পাঁচ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মনীষা একজন ‘ক্যান্সার ক্রুসেডার’হিসাবে জিতেছেন। সব কিছু ছাপিয়ে নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত করেছেন এই অভিনেত্রী। ইন্টারভিউর ওপর ভিত্তি করে লেখাটি তৈরি—---

জীবনের এমন কিছু ঘটনা হঠাৎ ঘটে যায় যা পুরো চেনা পরিবেশকেই বদলে দেয়। ২০-২৫ বছর আগের কথা। আমি এমন একটি জীবন কাটাতাম যা অনেকের কাছেই ছিল স্বপ্নের মতো।আমি ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসাবে জায়গা করে নিয়েছি। পাঁচটি ভাষায় প্রায় ৮০টি মুভিতে আমি অভিনয় করেছি। স্বপ্নে যা দেখতাম তারচেয়েও অনেক বেশি পেয়েছি। আমি অনিয়ন্ত্রিত জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম। আমার এই জীবনধারা আমাকে অনেক খারাপ সঙ্গ জুটিয়ে দিলো। বিরতিহীন ভাবে আমি একের পর এক বাজে সম্পর্ক তৈরি করলাম। আমি এক অশান্তিময় এলোমেলো জীবনে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম। এভাবে আমি যখন বাঁধনহারা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, তখন এমন এক ঝড় জীবনে এসে পড়লো ,যা আমার স্বপ্নের জগতকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিল। আমি আমার সব কিছুই হারা্লাম। পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখলাম ক্যান্সার আমার দেহে বাসা বেঁধেছে। যা দিনে দিনে গুরুতর আকার ধারণ করছিল।আমার মা আমাকে দ্রুত আমেরিকার নিউ ইয়র্কে স্লোয়ান ক্যাটেরিং হসপিটালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেতাম যখন আমাকে নিউপোজেন ইনজেকশনটি দেয়া হতো। এটি আমার শ্বেত রক্তকণিকা সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করতো। ব্যথায় অস্থির হয়ে মাকে বলতাম, ‘এতো কষ্টের চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।ক্যান্সারের কারণে আমার মাথার সব চুল পড়ে গেল।আয়নায় যখন নিজেকে দেখতাম তখন নিজেকে এলিয়েনের মতো মনে হতো।আমি আমার দিনগুলোকে জীবনের শেষদিন মনে করতে লাগলাম এবং ভয়ঙ্কর ও অজানা মৃত্যুভয় আমাকে আক্রান্ত করে ফেললো। তখন আমার মনে প্রশ্ন এলো, যদি সত্যিই আমার জীবনের দিনগুলো শেষ হয়ে আসে তাহলে যে জীবন আমি কাটিয়েছি তা নিয়ে কি আমি গর্বিত হবো? আমার মনে উত্তর পেলাম, অবশ্যই না। আমি নিজেই আমার জীবনকে নষ্ট করেছি। আমি অনিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছি।আমার অসুখের মধ্য দিয়ে আমি মৃত্যুকে প্রায় ছুঁয়ে দেখেছি। এই বিষয়টি আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এখন প্রতিটি সূর্যাস্ত, প্রতিটি হ্যান্ডশেক আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  ক্যান্সারের সময় প্রতিদিন আমাকে ভয় তাড়া করে বেড়াতো ক্যান্সার থেকে পুরো মুক্ত হতে আমার সাড়ে চার বছর লেগেছে। আমাকে আবার একটা নতুন জীবন দান করেছেন। এখন এমন একটি দিন যায় না, যেদিন আমি মনে করি না যে আমি মৃত্যু থেকে বেচে যাওয়া ব্যক্তি। এখন প্রতিটি দিন আমার শুরু হয় শপথের মধ্য দিয়ে এবং আমি মনে করি এই জীবন আমার শ্রেষ্ট উপহার। জীবনের কয়েকটি জিনিসকে আমি বেশি গুরুত্ব দিতে শিখেছি। সমস্যা, হতাশা, অপ্রাপ্তী, এমন কি যে কোনো দূর্ঘটনাকেও আমি জীবনের উপহার মনে করি। খুশিমনে মেনে নিই।এক সময় লাগামছাড়া বিশাল সংখ্যক বন্ধু আমার ছিল। এখন আমি অনুভব করি কেবল যার সঙ্গে গভীর মানসিক বন্ধন আছে কেবল তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করি।  আপনার জীবনে ২০ কোটি ফলোয়ার আর ২০ হাজার বন্ধুর প্রয়োজন নেই, দুই তিনজন ফলোয়ার আর দুইজন প্রকৃত বন্ধু থাকলেই যথেষ্ট।এই কঠিন সময়ে আমি আরেকটি বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি তা হলো নিঃস্বার্থ সেবা দেয়া। শপথ  নিয়েছি দ্বিতীয় জীবনের সুযোগ যনি পাই তবে আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে সেবা করার চেষ্টা করবো। সবার প্রতি আমার বক্তব্য হল- জীবন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি যাই থাক না কেন, আমাদের জীবনে কোনো না কোন সময় বিস্ময়কর বা কিছু ঘটবেই। যার জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত থাকি না। তবে এসব পরিস্থিতিতে আমাদের স্থির হয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে হবে।  পুরো বিষয়টিকেএক নতুন সম্ভাবনার প্ল্যাটফরম হিসাবে ব্যবহার করতে হবে।  প্রতিটি সংকটের মধ্যেই কোনো না কোনো শিক্ষা ও ইতিবাচক সম্ভাবনা থাকে।


=========

‘আমরা অনেকেই অনেক সময় সবার মন যুগিয়ে চলতে গিয়ে নিজের প্রকৃত চাহিদা, অনুভূতি এমনকি আত্মপরিচয়কেও ত্যাগ করে থাকি। ইংরেজিতে এই ধরনের ব্যক্তিত্বকে বলা হয়— পিপল প্লিজার।পিপল-প্লিজার’ শব্দটি নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়। সমাজ যেভাবে মেয়েদের সামাজিকীকরণ করে, সেখানে নিজের প্রয়োজনকে গৌণ করে অন্যের সন্তুষ্টিকেই অগ্রাধিকার দেয়ার একটি মানসিক কাঠামো তৈরি হয়। মনোবিশ্লেষক ডোনাল্ড উইনিকটের তত্ত্ব অনুযায়ী, শিশুকালে যদি অভিভাবকরা শিশুর প্রকৃত আবেগ ও চাহিদা গ্রহণে অক্ষম হন, তাহলে শিশু নিজের আসল সত্তাকে চেপে রেখে মিথ্যা আত্মপরিচয় তৈরি করতে বাধ্য হয়। অবচেতনভাবে নিজের ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকে অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী ঢেলে সাজানোর এক দীর্ঘ অভ্যাস— যার ফলে ভেতরে তৈরি হয় ফাঁপা এক শূন্যতা।সবার মন যুগিয়ে চলতে থাকলে হারিয়ে ফেলতে পারেন নিজের অস্তিত্ব

========

 ‘কখনো হাল ছেড়ো না, আজকের দিনটি  অন্ধাকার কিন্তু কাল বা পরশু মেঘলা আকাশে সূর্য উঠবে।’

‘ব্যর্থতা’ ও ‘জ্যাক মা’ শব্দ দুটো এক সময় পরিপূরক মনে হলেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং লেগে থেকে সক্রিয় চেষ্টার মাধ্যমে তিনি সারা পৃথিবীতেই একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেছেন। জ্যাক মার প্রকৃত নাম মা ইউন। তিনি জন্মেছেন ১৫ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে চায়নার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল হোয়াং ঝুতে। জ্যাক মার দাদা ছিলেন চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধী । কমিউনিস্টরা এক সময় জ্যাক মার দাদাকে শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে ফাঁসি দেয়। তাদের ছয় সদস্যের পরিবারের এত গরীব ছিল যে, বছরে একবার মাত্র মুরগি খাওয়ার সুযোগ হতো তাদের। ১৯৭২ সালে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চায়নায় এলে হোয়াং ঝু এলাকায় আসেন। এতে করে এই এলাকায় পর্যটক বেড়ে যায়। প্রচুর বিদেশি অতিথি সেখানে ঘুরতে আসতেন। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে তিনি ইংরেজি শিখতে চাইতেন। তিনি তার সাইকেল নিয়ে সকালে বেরিয়ে পড়তেন। পার্কে গিয়ে দেখতেন কোনো বিদেশি আছেন কি না। তিনি বিনা পয়সায় তাদের গাইড হিসাবে কাজ করতেন। তিনি হোটেলগুলোতে যেতেন। বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতেন এলাকা ঘুরিয়ে দেখার জন্য। তার লক্ষ্য ছিল বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলে তার ইংরেজি বলার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। তার এই আগ্রহ দেখে অনেকেই তাকে পছন্দ করতেন। তার ইউন নামটি উচ্চারণ করতে কঠিন মনে হয় বলে এক বিদেশি মেয়ে তাকে ‘জ্যাক’ নামে ডাকা শুরু করে। তিনি তখন থেকে নিজেকে জ্যাক হিসাবে পরিচয় দিতে থাকেন। ছেলেবেলায় প্রাইমারি স্কুল পরীক্ষায় জ্যাক মা ফেল করেন। একবার নয়,দুইবার! উচ্চ মাধ্যমিকে এসে ফেল করলেন তিনবার। উচ্চ শিক্ষার আশায় তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করেন মোট দশবার। কিন্তু দশবারই ফেল।তিন বছরে তিনি কমপক্ষে ত্রিশ বার চাকরির আবেদন করে ব্যর্থ হন। সবখান থেকে তাকে বলা হত, ‘তুমি ঠিক যোগ্য নও।’তবে কোনো অবস্থাতেই জ্যাক মা হাল ছেড়ে দেন নি। তিনি যা করে গিয়েছেন তা হলো চেষ্টা।  উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি প্রথমে একটি অনুবাদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন কিন্তু সেখানে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তবে তার অনুবাদ অগ্রহের কারণে একজন অনুবাদক হিসাবে চায়নিক কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পান। সেখানে এক বন্ধুর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিত হন জ্যাক মা। প্রবল আগ্রহ তিনি ইন্টারনেটে চায়না সম্পর্কে খুঁজতে গিয়ে কিছুই পেলেন না। কারণ চায়না তখন জগত থেকে আলাদা। এই ঘটনা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি চায়নায় এসে ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করতে চাইলেন। দেশে এসে ইয়োলো পেজ জাতীয় একটি ওয়েবসাইট শুরু করেন। সেটিও বিক্রি করে দেন।নিজ এলাকায় ফিরে আসেন এবং ইন্টরনেটের মাধ্যমে দ্রব্য কেনাবেচার চিন্তা করেন। শুরু করেন আলিবাবা ডট কম। সবাই বলেছিল এটা হচ্ছে এ যাবৎকালের সবচেয়ে স্টুপিড আইডিয়া। কিন্তু সে হাল ছাড়েনি।’ নতুন উদ্যাক্তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চান। কিন্তু উদ্যোক্তা হতে যে চেষ্টা সেটা তারা করেন না। তারা চমৎকার একটি আইডিয়া নিয়ে রাতে ঘুমাতে যান কিন্তু পরদিন সকাল বেলা আবার পুরানো কাজে অফিসে রওনা হন।’

তরুণদের প্রতি জ্যাক মার পরামর্শ, ‘আমি তরুণদের বলবো, বিশ বছরের আগে একজন ভালো ছাত্র হও। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করো।ছোট একটি কোম্পানিতে কাজ কর।বড় কোম্পানিতে কাজ করলে সেখান থেকে শেখার সুযোগ কম থাকবে। বরং ছোট কোম্পানিতে কাজ করলে তার খুঁটিনাটি যেমন জানতে পারবে । এই সময় কোন কোম্পানিতে তুমি কাজ করলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোন বসকে তুমি অনুসরণ করছো সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে  তোমাকে এমন সব কাজ করতে হবে যেটাতে তুমি ভালো। সেখানে ব্যর্থও হতে পারো। তাই এই সময় দেখতে হবে যে জিনিসটি তুমি পারো সেটাকে কীভাবে আরো বড় অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। বয়স ষাটের পর তরুণদের পেছনে বিনিয়োগ করো। তাদেরকে কাজে লাগাও।’কারণ তারা তখন তোমার চেয়ে ভালো করবে। তবে ‘কখনো হাল ছেড়ো না, আজকের দিনটি কঠিন হতে পারে, কাল হয়তো আরো খারাপ কিছু ঘটতে পারে কিন্তু পরশু ঠিক মেঘলা আকাশে সূর্য উঠবে।’



============

নারীর পেশিবহুল শরীর হওয়া ঠিক, না বেঠিক? উপকারিতা অপকারিতা কি কি?

‘অতিরিক্ত পেশিবহুল’ বলে ট্রান্সজেন্ডার নারী অ্যাথলেটদেরও আক্রমণ করা হয়ে থাকে—বিশেষ করে যাদের টেস্টোস্টেরন প্রাকৃতিকভাবেই বেশি।‘অতিরিক্ত পেশিবহুল’ মানে ‘পুরুষালি’। নারীরা এখনো পুরুষের মতো দেখতে হওয়ার ভয়ে কাঁপে, এবং এই ভয় আজও নারীদের ব্যায়াম বা শরীরচর্চার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা পুরুষদের ক্ষেত্রে পেশিবহুল সৌন্দর্যের বহু রূপ স্বীকার করি—দীর্ঘদেহী ম্যারাথন দৌড়বিদ থেকে শুরু করে বিশালদেহী কুস্তিগির পর্যন্ত। নারী অ্যাথলেটদের মধ্যেও একধরনের দ্বিচারিতা থাকে—একদিকে পারফরম্যান্সের জন্য প্রয়োজনীয় দেহ, অন্যদিকে সমাজে ‘সুন্দর’ দেহের মাপকাঠি। ফলে অনেকেই ব্যায়ামে সংযমী থাকেন, ‘অতিরিক্ত পেশিবহুল’ হয়ে যাওয়ার ভয়ে,তাই একজন নারীর পেশিবহুল শরীরকে অনেকে 'পুরুষালী' বা 'অস্বাভাবিক' মনে করতে পারেন। তবে আধুনিক বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ফিটনেসের প্রবণতা বাড়ার সাথে সাথে নারীর পেশিবহুল শরীরকে শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এবং ক্রীড়া জগতে এটি অত্যন্ত প্রশংসিত।পেশিবহুল শরীর মানেই বেশি শক্তি। দৈনন্দিন কাজকর্মে সুবিধা হয়, খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রমে ভালো পারফরম্যান্স আসে। হাড় ও পেশির ঘনত্ব বাড়লে দৈনন্দিন কাজ (যেমন: ভারী জিনিস তোলা, শিশু লালনপালন) সহজ হয়। হাড় ও বার্ধক্যে পেশি ক্ষয় রোধ করে স্বাধীন চলাচল ক্ষমতা বজায় রাখে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।প্রাকৃতিকভাবে নারীর শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পুরুষের চেয়ে অনেক কম থাকে,তাই অতিরিক্ত পেশি অর্জনের জন্য অনেক সময় কঠোর ডায়েট বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যায়াম করলে সাধারণত এর ঝুঁকি থাকে না।পেশিবহুল চেহারা পেতে প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সাপ্লিমেন্টারি প্রোটিন নিতেন দেবরাজ। শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার কারণেই মূলত সমস্যার সূত্রপাত।দেবরাজের দুটি কিডনিই ৯০ শতাংশ বিকল হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যা রয়েছে তার ফুসফুসেও।



======

বাফেল ঘাস— অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আগাছা না জাতীয় সম্পদ?

তুলার মতো ফুল ফোটা লম্বা ঝোপযুক্ত এই ঘাসটি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্দেশীয় শুষ্ক ও আধাশুষ্ক এলাকাগুলোতে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে।কৃষকরা বাফেল ঘাস পছন্দ করেন। কারণ এটি তাদের গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর, খরা সহনশীল এবং আগুনের পরও দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। এছাড়া এটি পতিত জমি ঢেকে মাটি ক্ষয় ও ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাফেলকে ‘জাতীয় আগাছা’ হিসেবে তালিকাভুক্তির ভিত্তি তৈরি করে।তবে কুইন্সল্যান্ডের কিছু কৃষক মনে করেন, বাফেল ঘাস আসলে ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।এটি লাখ লাখ কেজি গরুর মাংস উৎপাদনের ভিত্তি,

===============

টোকিওতে এমন একটি রেস্তোরাঁ আছে, যেখানে ভুল করা মানে ভুল নয়। বরং ভুলই এখানকার বৈশিষ্ট্য। রেস্তোরাঁয় গিয়ে আপনি ডাম্পলিং অর্ডার করলে পেতে পারেন মিসো স্যুপ। গ্রিলড ফিশ অর্ডার করলে হয়তো চলে আসবে সুশি। এখানকার ৩৭ শতাংশ টেবিলে পরিবেশন করা হয় অর্ডারের চেয়ে ভিন্ন খাবার। তবুও ৯৯ শতাংশ গ্রাহকই সন্তুষ্ট। ভুলই স্বাভাবিক এখানে—কারণ এই রেস্তোঁরার পরিবেশনকারীরা সকলেই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত।তারা ভুলে যাওয়ার রোগে আক্রান্ত। রেস্তোরাঁটির প্রতিষ্ঠাতা জাপানি টেলিভিশন পরিচালক শিরো ওগুনি। ডিমেনশিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর শাখা খোলা হয়।২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১১ কোটির বেশি হতে পারে। 

====

প্রায় ৫০ কোটি বছর আগের এক অদ্ভুত সামুদ্রিক শিকারির জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। মোসুরা ফেন্টোনি নামের এই ক্ষুদ্র অথচ ভয়ংকর প্রাণীটি লম্বায় ছিল মাত্র ছয় সেন্টিমিটার। কিন্তু এর মাথায় ছিল তিনটি তীক্ষ্ণ চোখ—দুই পাশে দুটি ও একটি ঠিক মাঝখানে। যেন কোনো রহস্যময় অতীত থেকে উঠে আসা ত্রিলোচনের দানব, যা গভীর সমুদ্রের বুকে শিকার খুঁজে বেড়াত।সম্প্রতি কানাডার বার্গেস শেল অঞ্চলে পাওয়া ৬১টি জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে এই নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মুখের গঠনও ছিল বিস্ময়কর। মাত্র ছয় সেন্টিমিটার লম্বা হলেও প্রাণীটির শরীরজুড়ে ছিল শিকারের নিখুঁত প্রস্তুতি—তিনটি চোখ, ধারালো দাঁতযুক্ত গোলাকার মুখ ও কাঁটাযুক্ত পাখনা। মোসুরা ফেন্টোনি আসলে বিলুপ্ত আর্থ্রোপড গোষ্ঠী রেডিওডন্টের সদস্য। এদের শরীর ছিল ২৬ খণ্ডের, যার মধ্যে ১৬টি খণ্ডে ছিল শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য গিলস। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের এই জটিল গঠন কাঁকড়া বা কিছু জলজ পোকামাকড়ের মতোই।মোসুরা ফেন্টোনি সম্ভবত সাগরের বুকে অনেকটা রশির মতো এঁকেবেঁকে সাঁতার কাটত। এরা অপেক্ষাকৃত ছোট প্রাণীদের শিকার করত। এদের চোখের বিশেষ গঠন আধুনিক ড্রাগনফ্লাইয়ের চোখের মতো, যা দ্রুত নড়াচড়া করা শিকারকে নির্ভুলভাবে ধরতে সাহায্য করত।মোসুরা ফেন্টোনি এখন প্রদর্শিত হচ্ছে টরন্টোর রয়্যাল অন্টারিও মিউজিয়ামের ‘ডন অফ লাইফ’ গ্যালারিতে।


==============

হাত-পা কাটা গেলে আবার গজাবে— এ ধারণা এখনো আমাদের কাছে রূপকথার মতো। কিন্তু মেক্সিকোর জলাধারে ছোট্ট এক প্রাণী অ্যাক্সোলটলের কাছে এটি একেবারে বাস্তব। ছোট শরীরের এই প্রাণীটি আমাদের অক্ষমতার চোখে আঙ্গুল রাখে— সে যা পারে, আমরা তা পারি না।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অ্যাক্সোলটলের দেহে এমন একটি রাসায়নিক সংকেত শনাক্ত করেছেন, যা শরীরে কাটা অঙ্গ কোথায় ও কীভাবে গজাবে, সে নির্দেশ দেয়। সংকেতটির নাম রেটিনয়িক অ্যাসিড— যা মানব ভ্রূণের হাত-পা বা মাথা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু জন্মের পর মানুষ আর এ সংকেত গ্রহণ করতে পারে না। অ্যাক্সোলটল ব্যতিক্রম। তার শরীর এই সংকেত গ্রহণ করে জীবনভর।বিজ্ঞানীরা যখন প্রাণীর শরীরে উজ্জ্বল জিন ঢুকিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন, তখন দেখা যায়, এই প্রাণীর কোষ নিজের পরিচয় ভুলে গিয়ে আবার ভ্রূণ-অবস্থায় ফিরে যায়। এরপর আবার নতুন করে অঙ্গ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।গবেষণার অন্যতম সদস্য ক্যাথরিন ম্যাকাসকার বলেন, অ্যাক্সোলটলের ক্ষেত্রে অঙ্গ গজাতে কয়েক দিন লাগে, মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে কয়েক বছর। কিন্তু এই গবেষণাগুলোই ভবিষ্যতের চিকিৎসাব্যবস্থা বদলে দিতে পারে।

আজ যার হাত নেই, কাল তার হাতে হয়তো আবার কলম ধরা সম্ভব হবে। 


===============

ডিম পাড়ে, দুধ দেয় কিন্তু স্তন নেই! পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত স্তন্যপায়ী বলে পরিচিত অস্ট্রেলিয়া ও নিউগিনিতে পাওয়া প্ল্যাটিপাস ও ইকিডনা একমাত্র ডিম পাড়া স্তন্যপায়ী, যাদের মনোট্রিম বলা হয়।প্ল্যাটিপাসের মতো চ্যাপ্টা ঠোঁট, জালযুক্ত পা আবার বীভরের মতো লেজ। এদের শরীর কাটাযুক্ত ও এর পা পেছনের দিকে ঘোরানো, যা মাটি খোঁড়ার কাজে লাগে।সম্প্রতি ‘ক্রাইরোরিকটিস ক্যাডবুরি’ নামে ১০ কোটি বছরের পুরনো একটি মনোট্রিম জীবাশ্মের হিউমারাস বা বাহুর ওপরের হাড় স্ক্যান করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায়, এ গোত্রীয় প্রাণীদের হাড়ের গঠন আধা-পানির প্রাণীর মতো— ত্বকের দেয়াল মোটা ও কেন্দ্রীয় গহ্বর ছোট। 

================

১৪ থেকে ১৬ শতকের সময়টা ছিল ‘কালিকটের স্বর্ণযুগ’। কলিকট শহরকে বর্তমানে কোঝিকোড় বলা হয়। দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরল রাজ্যের  বৃহত্তম মহানগর অঞ্চলকালিকট "গরম মশলার শহর" এবং "ইউনেস্কোর সাহিত্যের শহর" হিসাবেও পরিচিত। এটি বালুকাময় সৈকতের একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্বর্গ হিসাবে পরিচিত।বন্দরটি কল্লাই নদী (Kallayi River) এবং আরব সাগরের তীরে অবস্থিত। এটি কেরালা রাজ্যের মালাবার উপকূলে অবস্থিত একটি প্রাচীন বন্দর শহর। কালিকট একসময় দক্ষিণ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল এবং এখানে দেশি-বিদেশি জাহাজ চলাচল করত। আগে বহু দশক ধরে বহু মানুষ চেষ্টা করেছে ‘মশলার দেশ’ ভারতে পৌঁছানোর। আর এ যাত্রায় বহু নাবিক হারিয়েছে প্রাণ। বহু দেশ হারিয়েছে জাহাজ ও তাদের বিনিয়োগ।ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ সালে কালিকট বন্দরে এসে পৌঁছান, যা ইউরোপ থেকে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৭৬৫ সালে মহিশুরের সুলতান হায়দার আলী কালিকট আক্রমণ করেন। তখন শহর ও বন্দরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ভারতের দক্ষিণে কেরালা রাজ্যের এই বন্দরটি বর্তমানে অনেকটাই ব্যবহারের অনুপযোগী।এই অঞ্চলে সে সময় আবররা ব্যবসা করতে যেত। ফলে কলিকট অচিরেই আরব বংশোদ্ভূত বণিকদের একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়। ভাস্কো দা গামা ১৪৬৯খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগালের সাইনিসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সে সময়ে একজন প্রখ্যাত নাবিক ছিলেন।তাঁর পিতার উৎসাহে তিনি জ্যোতির্বিদ্যা এবং নৌচালনবিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করেন।১৪৯২ সালে পর্তুগালের নৌ অফিসার পদে যোগদেন।১৪৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই জুলাই, গামা ১৭০জন নাবিক ও চারটি জাহাজ নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে পর্তুগালের লিসবনের নিকটবর্তী টেগাস নদী থেকে যাত্রা শুরু করেন।২৪শে এপ্রিল এঁরাভারত মহাসাগরে পাড়ি দেওয়ার জন্য জাহাজ ছাড়েন।ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে ২০শে মে তিনি ভারতের কালিকট বন্দরে এসে পৌঁছান।কালিকট ছিল সে সময়ে আরব সাগরের তীরবর্তী দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত বন্দর।ত্রয়োদশ থেকে চতুর্দশ শতকের মধ্যে এই শহর নির্মিত হয়। 

প্রাচীন ভারতের অন্যতম প্রধান বন্দর ছিল মুজিরিস। কলিকট থেকে এটি প্রায় ১৪০ কিমি দক্ষিণে। বন্দরটি ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে পেরিয়ার নদীর মোহনায় পলি জমে যাওয়ার ফলে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে। বণিকেরা নতুন সুযোগ ও সুবিধার খোঁজে জামোরিনের অধীনস্থ অঞ্চলে চলে আসেন। , ব্যবসায়িরা কলিকটের বর্ধিষ্ণু বন্দরে ভিড় করতে থাকেন এবং অচিরেই এটি ভারতের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হয়ে ওঠে।

কলিকট কেবল একটি প্রধান বন্দর হিসেবেই নয়, বরং পূর্ব এশিয়া থেকে আগত পণ্য ও অন্য মসলা যেমন লবঙ্গ, দারুচিনি ইত্যাদির জন্য একটি ‘ট্রান্স-শিপমেন্ট পয়েন্ট’-এ পরিণত হয়। আরব বণিকেরা মূলত ইউরোপীয় বাজারের জন্য পণ্য সরবরাহ করতেন। এ সময় তারা শুধু কলিকটেই এসে মালাবার থেকে মরিচ ও আদা, তামিলাকাম অঞ্চল থেকে পুঁতি, গয়না, তুলা ও লিনেন, পূর্ব এশিয়া থেকে দারুচিনি ও লবঙ্গ এবং চীন থেকে রেশম ও চীনামাটির পাত্র সংগ্রহ করতেন। এরপর তা বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দিতেন।চীনের বিশাল বাজারগুলো কলিকট থেকে সেবা পেত এবং বর্তমান কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেড়ে যায়। কলিকটে নিয়মিত বড় বড় চীনা জাহাজের আগমণ হতো। এগুলোকে ‘ধনরত্ন ভর্তি জাহাজ’ বলা হতো।আরবদের ওপর ইউরোপীয়দের বিরাগ ছিল নানা কারণে। প্রথমত তারা দ্রব্যের উচ্চ মূল্য রাখত। ধর্মীয় দ্বন্দ্বের কারণেও তারা বিরূপ ছিল কেননা সে সময় ইউরোপে খ্রিস্টানরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডে লিপ্ত ছিল।কলিকট থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য আরব সাগর পেরিয়ে ধৌ (বিশেষ ধরনের পালতোলা নৌকা) দ্বারা পৌঁছে যেত লাল সাগর ও পারস্য উপসাগরের বন্দরগুলোতে। সেখান থেকে উটের কাফেলার মাধ্যমে এই পণ্য মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়া হতো। তারপর সেগুলো ভেনিসে পাঠিয়ে ইউরোপীয় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হতো।কলিকটে আরবদের পক্ষে চীনা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহাবস্থান কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পঞ্চদশ শতকের শেষভাগে কলিকটে থাকা চীনা বণিক ও জনবসতিকে আরবদের দ্বারা সহিংসভাবে উৎখাত করা হয়। 

==========


যদি আপনার একটি ক্ষুব্ধ সমর্থকগোষ্ঠী থাকে এবং আপনি তাদের সামনে কাউকে ভয়ানক ‘শত্রু’ হিসেবে কাউকে হাজির করতে পারেন, তাহলে নীতির ধার ধারতে হবে না। শুধু তাদের ভয় আর ক্ষোভকে উসকে দিতে পারলেই চলে।


==============

মন খারাপ অবস্থায় কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক আছে এমন ভাব দেখালে সেটা সাময়িক সমাধান। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পেতে সবকিছু থেকে একটু বিশ্রাম নিন। পারলে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন। বই পড়ুন, গান শুনুন, নিজেকে সময় দিন। নিজের ভেতরে ডুব দিন। তুলে নিয়ে আসুন আপনার ভেতর লুকিয়ে থাকা না বলা ভাবনাগুলো, ডায়েরিতে লিখে ফেলুন।মন খারাপের সময় না ঘুমিয়ে জেগে থাকলে মন আরো খারাপ হবে। তাই রাত না জেগে ঘুমিয়ে পড়ুন, এতে মন ফ্রেশ হবে। ঘুম থেকে উঠে হালকাবোধ করবেন।

==========

১৯৭৭ সালের মার্চ পর্যন্ত, ভারতের প্রায় ৮০ লাখ পুরুষকে জোর করে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। শুধু ১৯৭৬ সালেই ৬০ লাখ পুরুষকে বাধ্য করা হয় অস্ত্রোপচারে। এই সময়ে ব্যর্থ অস্ত্রোপচারে মৃত্যু হয় প্রায় ২ হাজার মানুষের। উত্তাওয়ার মতো মুসলিমপ্রধান এলাকাগুলো, হরিয়ানার মেওয়াট অঞ্চলের উত্তাওয়ার গ্রামটি শুরু হয়েছিল এক ভয়াবহ কর্মসূচি—জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ।মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্মহার বেশি হওয়ায় তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল।গ্রামের অনেক পুরুষ পালিয়েও সপ্তাহের পর সপ্তাহ বাড়ি ফেরেনি।ভারতে আজ আর জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নেই। প্রজনন হার কমে এসেছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জরুরি অবস্থার সময়ের সেই দমনমূলক সংস্কৃতি আবার ফিরে এসেছে এক ভিন্ন রূপে,জীবনকে উপভোগ করুন। এসব মন খারাপকে মনে বাসা বাঁধতে দেবেন না।

===================

অস্ট্রেলিয়ার এক ক্ষুদ্র পতঙ্গ— বোগং মথ, প্রতি বছর বসন্তে এই বাদামি রঙের পতঙ্গ প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল থেকে ঠান্ডা পাহাড়ি গুহার খোঁজে।অস্ট্রেলিয়ান আল্পসের গুহায় পৌঁছে তারা দল বেঁধে নিশ্চল থাকে পুরো গ্রীষ্মে। শরতের শুরুতে ফেরার পথে প্রজনন সম্পন্ন করেই জীবনচক্র শেষ করে এরা।সেই দীর্ঘ পথচলার স্মৃতি— যা তাদের কোনো শিক্ষক শেখায় না  সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এরিক ওয়ারান্টের নেতৃত্বে এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই মথরা শুধু আকাশের তারা দেখেই তাদের গন্তব্য ঠিক করে।  মানুষের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি আলো দেখতে পায় এই পতঙ্গ, যা মিল্কিওয়ে পর্যন্ত দেখতে সক্ষম করে। সেই আকাশই যেন তাদের জন্য এক জীবন্ত দিকনির্দেশক।


যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ছড়িয়ে দেয়া হবে লাখ লাখ মাছি


স্ক্রুওয়ার্ম , ২০২৩ সাল থেকে প্যানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা, বেলিজ ও এল সালভাদর—এই সাতটি দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই পরজীবী। সম্প্রতি মাছিটির উপস্থিতি ধরা পড়েছে দক্ষিণ মেক্সিকোতেও। এতে সমস্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।এই মাছিগুলো মৃতদেহে নয়, বরং জীবিত প্রাণীর ক্ষতস্থানে ডিম পাড়ে। একটি স্ত্রী মাছি একবারে ২০০ থেকে ৩০০টি ডিম দিতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই ডিম ফুটে বের হয় মাংসখেকো লার্ভা, যা ক্ষতের ভেতর ঢুকে প্রাণীর টিস্যু খেতে থাকে। কয়েকদিন পর এই লার্ভারা মাটিতে পড়ে গিয়ে গুটি (পিউপা) আকারে রূপান্তরিত হয় এবং পরে পূর্ণবয়স্ক মাছিতে পরিণত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে, আক্রান্ত পশু দুয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যেতে পারে।২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ৩৫ হাজারের বেশি সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। আক্রান্ত প্রাণীর মধ্যে ৮৩ শতাংশই গরু। শুধু গৃহপালিত পশুই নয়, হরিণ, পাখি ও ইঁদুরের মতো বন্যপ্রাণীরাও এই সংক্রমণের শিকার হতে পারে। স্ক্রুওয়ার্ম প্রজাতির পুরুষ মাছিকে গামা রশ্মি দিয়ে বন্ধ্যা করে তোলা হয়। এসব পুরুষ মাছি স্ত্রী মাছিদের সঙ্গে মিলিত হলেও, নিষ্ক্রিয় শুক্রাণুর কারণে ডিম নিষ্ফলা থাকে, ফলে নতুন লার্ভার জন্ম হয় না। যেহেতু স্ত্রী স্ক্রুওয়ার্ম মাছি জীবনে মাত্র একবারই প্রজননে অংশ নেয়, তাই একবার বন্ধ্যা পুরুষ মাছির সঙ্গে মিলনের পর আর কোনো কার্যকর প্রজনন সম্ভব হয় না। যত বেশি বন্ধ্যা পুরুষ ছেড়ে দেয়া হয়, তত দ্রুত প্রাকৃতিক জনসংখ্যা হ্রাস পায়। নিয়মিত বন্ধ্যা মাছি ছাড়লে স্ক্রুওয়ার্মের প্রাকৃতিক সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। প্যানামায় একটি মাত্র ‘ফ্লাই ফ্যাক্টরি’ রয়েছে, যেখান থেকে সপ্তাহে প্রায় ১০ কোটি মাছি উৎপাদন করে মধ্য আমেরিকায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হুমকি বাড়ায় টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্তের কাছাকাছি মুর এয়ারবেসে তৈরি করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ফ্লাই ফ্যাক্টরি।পুরো প্রকল্পের সম্ভাব্য খরচ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। 



===========

২০২৫ সালের ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে একধরনের অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালিয়েছে, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে। হোয়াইট হাউসের এই চিঠি ঢাকায় এসে পৌঁছানোর পরপরই সরকারের সর্বোচ্চ মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অথচ গত তিন মাস ধরে ব্যবসায়ী নেতারা বারবার অনুরোধ করে আসছিলেন—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত ও কার্যকর আলোচনা ছাড়া এই সংকট ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের বাদ দিয়ে সরকারি আমলাদের নেতৃত্বে আলোচনার উদ্যোগ ছিল দুর্বল ও অপরিকল্পিত। শুধু স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) সুবিধা চাওয়ার উপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অর্থনৈতিক পরাশক্তির মন বদলানো সম্ভব নয়—এই বাস্তবতা সরকার অনুধাবন করতে পারেনি।

বর্তমানে যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসছে, তা আগের ১৫-১৬ শতাংশের সাথে যুক্ত হয়ে কার্যকরভাবে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের পোশাক খাতকে সম্পূর্ণ অনিয়মিত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এদিকে ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক হার ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অথচ বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়েই ঘোরাফেরা করছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূরণ করতে বাংলাদেশ হয়তো কিছু আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক ছাড় দিতে পারে—যেমন আমেরিকান কৃষিপণ্য, গাড়ি, বা এয়ারক্রাফট—এই সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের পোশাক খাতের লাখো নারী শ্রমিক। এদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, যাদের আয় নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ডারের উপর। এই নতুন শুল্কের কারণে অর্ডার কমে গেলে, অনেক কারখানাই কর্মী ছাঁটাই কিংবা মজুরি কমাতে বাধ্য হবে। ফলে এই নারী শ্রমিকরা খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চরম সংকটে পড়বেন।এই সংকটের গভীরে রয়েছে সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্বল কূটনৈতিক কৌশল। যেখানে ভিয়েতনাম ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগেভাগেই সমঝোতা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে, সেখানে বাংলাদেশ লম্বা সময় ধরে নীরব ছিল। এমনকি বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয়হীনতা, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দৃশ্যমান লবিইং উদ্যোগ না নেওয়া, এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব আজকের এই বিপর্যয়ের মূল কারণ।এর মধ্যে বাংলাদেশকে তিনটি কাজ একসাথে করতে হবে: প্রথমত, জরুরি আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নিশ্চিত করতে হবে;দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণে উদ্যোগ নিতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে ‘বাণিজ্য ঘাটতি’ যেমন কমাতে পারেনি বাংলাদেশ, তেমনি দেশটির প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে চুক্তি করতেও ‘দুর্বলতা’ দেখছেন তারা।তা না হলে ভিয়েতনাম, চীন এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের কাছে বাজার হারানোর শঙ্কা ভর করেছে রপ্তানিকারকদের অনেকের মধ্যে।এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করে চুক্তি প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শও এসেছে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে।যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা বাণিজ্য উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিলে নতুন দফার আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন বাণিজ্য সচিব। ট্রাম্প প্রশাসন আরেকটি প্রস্তাবের খসড়া দিয়েছে। সেখানে শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় দেশটির সাউথ এশিয়া ন্যাশন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার ও সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারকে দায়িত্ব দিয়েছে ইউএসটিআর (এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগী ভারত, পাকিস্তানের শুল্কারোপ বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক কম হয়েছে নতুন সিদ্ধান্তে। দাম তুলনামূলক কম হলে ক্রেতারা সেখানে চলে যাওয়ার শঙ্কা তাদের। তাহলে তো বলবই নেগোসিয়শনে ‘দুর্বলতা’ ছিল,”দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘দরকষাকষিতে’ বাংলাদেশের বড় মাত্রায় ‘দুর্বলতা’ আগে থেকেই বলে তুলে ধরেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‍্যাপিড) চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন“আমাদের কিন্তু সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় মাত্রায় দুর্বলতা আছে। আমাদেরতো আসলে কোনো এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) নাই। আমাদের কোনো বাণিজ্য চুক্তি নাই কোনো দেশের সাথে।

“তার মানে আমরা তো ওই সমঝোতার মধ্যেই কোনো সময় ছিলাম না। এটা আমাদের একটা দুর্বলতা।”

 ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয় সেখানে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয় বাজেটে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।

তবে তাতে ট্রাম্পের মন গলানো যায়নি। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ যে অনেক বড়, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।অশুল্ক নীতি ও বাণিজ্য বাধার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদী ও অত্যন্ত স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের শুল্ক বিশ্লেষণ করে ছয় শতাধিক পণ্যে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এসব কাগজে-কলমে থাকলেও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যে আমদানি বাড়াতে হবে তার বাস্তবিক প্রতিফলন দেখা যায়নি এই তিন মাসে।চলতি অর্থবছরের বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়।

“ব্যক্তি খাতকে তো আমরা জোর করেতো আর আমদানি বাড়াতে পারি না। তার যেখান থেকে সুবিধা হয় সেখান থেকে আমদানি করবে। সরকার কিছু আমদানি করে। সেটা সরকার কিন্তু বলেছে যে আমরা গম বেশি আনব বা সরকারের কিছু কেনাকাটা আছে যেটা তারা বলেছে যে সেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনার চেষ্টা করব।

“কিন্তু বাংলাদেশের তো অন্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আছে সেখানেওতো ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এফটিএ করার জন্য ‘প্রস্তুত না’ তুলে ধরে অর্থনীতির এ বিশ্লেষক বলেন, “সরকার যেটা করতে পারে সেটা হল ফিসকাল পলিসি। সেটা সে করেছে। বিভিন্ন পণ্যে শূন্য শুল্ক করেছে। এখন যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে যে তুমি আমার ক্ষেত্রেও শূন্য করেছ, অন্যদেরও তো শূন্য করেছ, তো আমার কি লাভ হইল।

তো আমরা যদি ফ্রি ট্রেড করতাম (এফটিএ) তাহলে ফ্রি ট্রেডে আমরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা আমরা দিতে পারি। সেটা তো আর আমরা করি নাই বা আমরা প্রস্তুত না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত একটা দেশের সাথে এত কমপ্লায়েন্স এনশিওর করে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা।”

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পদক্ষেপ না নিলেও বাকিসব চেষ্টা করে যাওয়ায় ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শূল্ক আরোপের ‘ন্যায্যতা’ থাকে না বলে মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

, “এটা ঠিক যে আমাদের এখানে ঘাটতি মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার, আর ভিয়েতনামে ১২৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ভিয়েতনামকে মোটামুটি কনশেসন দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম ডেফিসিট বা ঘটতি, তবুও আমাদের ওপর এত শুল্ক দেওয়ার কোনো জাস্টিফিকেশন থাকে না।

 এর সঙ্গে যোগ হবে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির বিষয়টিও। তারা যদি দরকষাকষি করে তাদের ঘাড়ের ওপর থেকে শুল্কের বোঝা কিছুটাও কমাতে পারে তাতে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশ।


“ভিয়েতনাম আমাদের নতুন ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল এসবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের জায়গা হবে কিন্তু পোশাকের ক্ষেত্রে খুব বেশি হবে না। কারণ তার সক্ষমতা কম। সক্ষমতা ওই পরিমাণ করতে পারবে না যে আমার অর্ডার সে নিয়ে যাবে।

“কারণ চীনের যদি বেশি থাকে তাহলে চীনের অর্ডার ভিয়েতনামে মুভ করবে, আমার অর্ডার ভিয়েতনামে মুভ করার সম্ভাবনা থাকবে না।”

তবে বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বেড়ে তাদের বাজার সংকুচিত হয়ে পড়বে। সেই ছোট হয়ে যাওয়া বাজারে বড় প্রতিযোগিতায় পড়বে বাংলাদেশ বলে তুলে ধরেন


ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভিয়েতনাম নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে। তাদের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, এপ্রিলে যা ছিল ৪৬ শতাংশ।

ভিয়েতনাম এখন নাইকি, অ্যাপল, গ্যাপ, লুলুলেমন-এর মত বড় কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে

সেখানে নাকি একটা নন ডিসক্লোজার ক্লজ ছিল। তো যাইেই হোক তো সেটার জন্য এখানে কোন টিমও করা হয় নাই স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যারা ছিল তাদেরকে নিয়ে।”

ফলে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্বলতাই দেখে ২ শতাংশ শুল্ক কমানোকে আমলেই নিচ্ছেন না তিনি।কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা কিন্তু সমঝোতা করতে পারতাম। কেননা ভিয়েতনামের সঙ্গে তো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ডিল করেছে।”

তবে ভিয়েতনামের শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে তারা যেসব শর্ত আমলে নিয়েছে তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘এফোর্ট’ করা সম্ভব ছিল না বলেও তার মত।

তিনি বলেন, “ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সব পণ্যে বিনাশুল্কে আমদানির সুযোগ দিয়েছে

বলেন, “ভিয়েতনাম যে রপ্তানি করে সেই রপ্তানির বড় একটা অংশ আসে কিন্তু চীন থেকে। মানে চীন থেকে তারা তুলা-সুতা কাপড় এগুলো সব আমদানি করে তাদের কারখানায় নেয়।

“ট্রাম্প সেখানে কিন্তু বলেছে যে যদি ট্রান্সশিপমেন্ট করে চীন থেকে যদি ইম্পোর্ট করে তাহলে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে। ওটাও কিন্তু একটা বিষয়, আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। এটা খুবই ‘কমপ্লেক্স একটা কেস’।”

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে উড়োজাহাজ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তিনি তুলে ধরেন।“আমাদের কাছে তারা কিছু জিনিস চেয়েছে, সেটা হল শুল্ক কমানো। পর্যায়ক্রমে শুল্ক, ভ্যাট, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি এগুলো যেন আমরা কমাই। সে ধরনের প্রস্তাব তারা করেছে।“সরকারি খাতে যেসব খাদ্যশস্য কেনা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আমেরিকাকে একটু প্রাধান্য দেব। এভাবে আমরা আসলে আমেরিকান ট্রেডটা বাড়াবো। আমাদের সামরিক সরঞ্জামের একটা বড় অংশ আসে আমেরিকা থেকে। সে সমস্ত ক্ষেত্রও আমাদের বিবেচনায় আছে।” সময়ের জন্য ইউএস লবিস্ট নিয়োগ করতে পারি অতিরিক্ত। অর্থ্যাৎ বাণিজ্য উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং তাদের সকল ‘এফোর্ট’ এর বাইরে লবিস্ট নিয়োগ করতে পারি।”


===================


২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম লেটার গ্রেড পদ্ধতি শুরু করা হলো, পরীক্ষায় যোগ হলো ৪০ শতাংশ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। সারা দেশে ৭৬ জন এ+ পেল সেবার, পাস করল ৩৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী। ২০০৮-এ আবার শুরু হলো সৃজনশীল ধরনের পরীক্ষা। সে এক তেলেসমাতি কাণ্ড! নানা পথ ঘুরে আবার ২০২১ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম আর অভিজ্ঞতাভিত্তিক পড়ানো! সরকার বদল হয়, বছর ঘুরে, আর কর্তাবাবুরা শিক্ষায় নতুন নতুন ভেলকি দেখিয়ে দেন। অপ্রস্তুত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের ওপর আকাশ থেকে পড়ে সরকারের খেয়ালখুশি মতো অদক্ষ বিশেষজ্ঞদের হাতে গড়া শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক আর মূল্যায়ন পদ্ধতি।



===========================

আওয়ামী লীগ মূলত পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে জন্ম নিয়েছিল এবং পরে নিজেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নামে রূপান্তরিত করে। ১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগের শাসনের প্রধান সমালোচনাগুলো নিম্নরূপ—

ক. ১৯৭৪ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু বিরোধী দলগুলো কয়েকটি সংসদীয় আসনে কারচুপির অভিযোগ করেছিল।

খ. ১৯৭২ সালে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি, যদিও আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ব্যক্তি তাজউদ্দীন আহমদ, যিনি শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এ প্রস্তাবের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল ছিলেন বলে জানা যায়।

গ. পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সংসদে তাদের দাবি সত্ত্বেও কোনো সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়নি।

ঘ. ১৯৭৪ সালে প্রান্তিক ও দরিদ্র, বিশেষ করে কৃষি শ্রমিক শ্রেণী, সরবরাহ সংকট এবং ক্রয়ক্ষমতার হ্রাসের কারণে খাদ্য অধিকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। এ ফলে প্রান্তিক শ্রেণীর অনেক সদস্য দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিল।

ঙ. আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব প্রথমে বিরোধীদের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সংকট অব্যাহত থাকায় তিনি পরে একটি একদলীয় ব্যবস্থা গঠন করেন এবং ‘বাকশাল’ নামক দলের বাইরের সবার জন্য নাগরিক অধিকার সীমিত করে দেন।

১৯৭৫-৯০: মুশতাক, জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের রাজনৈতিক শাসন

ক. শেখ মুজিবের হত্যার অল্প সময় পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে আওয়ামী লীগের চারজন বিশিষ্ট নেতার আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে, 

খ. খন্দকার মুশতাক, আওয়ামী লীগের আরেকজন ডানপন্থী আমেরিকাপন্থী নেতা, অল্প সময়ের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেন। কিন্তু শিগগিরই সেনাবাহিনীর মধ্যে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে, যার ফলে সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান, ক্ষমতায় আসেন। উচ্চাভিলাষী জেনারেল জিয়া ক্ষমতার শীর্ষ থেকে তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। 

গ. কিন্তু পরে জিয়াও একটি অভ্যুত্থানে নিহত হন এবং জেনারেল এরশাদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি প্রায় একইভাবে তার নিজস্ব জাতীয় পার্টি গঠন করেন। 

১৯৯০-২০০৮: দ্বিদলীয় রাজনীতির যুগ

এই উভয় দলই মূলত ধনী শ্রেণীর দ্বারা পরিচালিত হতো, যারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সুবিধা ভাগাভাগি করত এবং রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ব্যবহার করে নিজেদের সমৃদ্ধ করত।

২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চারটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিদলীয় গণতন্ত্র বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। 

বাংলাদেশে ব্যর্থ গণতন্ত্র: ২০০৮-২৪

২০১৪ সালের পর দুই অভিজাত দলের মধ্যে সমঝোতা সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ফলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো কমবেশি একদলীয় আধিপত্যের কারচুপিযুক্ত নির্বাচন ছিল।

কিন্তু অবশেষে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটায় এবং প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশীর্বাদে ছাত্রদের একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

প্রাপ্ত শিক্ষা

তাই প্রধান শিক্ষা হলো—গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ‘ক্ষমতা সবসময় স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হওয়া উচিত’, ‘প্রতি-ক্ষমতার’ (Counter Power) এবং সংগ্রামের সুযোগ সবসময় উন্মুক্ত রাখা উচিত।

==============


এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬,৫০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। প্রায় ৫৫% বর্জ্য প্রতিদিন অপসারণের বাইরে থেকে যায়। যা যন্ত্রতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশের দূষণ ঘটিয়ে চলেছে। দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে চলেছে মশা মাছি বাহিত রোগ-জীবাণুর।   ঢাকা শহরের কোন রাস্তায় একজন মানুষ স্রেফ ৫ মিনিটের জন্য নাকে হাত বা অন্য কিছু দিয়ে  না  ঢেকে উন্মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিয়ে হেঁটে যেতে পারবেন না। এমন বেহাল অবস্থা। কিছু কিছু স্থান আছে এমন, নির্মল বায়ু তো দূরের কথা জানালা দিয়ে বাতাস আসলে দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না।  ২০১৬ সালে ঢাকা, উত্তর ও দাক্ষন সিটিতে মোট ১১ হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ম্যানহোলের বর্জ্যও হতে পারে বায়ো-ফার্টিলাইজারের মূল উৎস। যা বাইরের দেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ পেতে পারে কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা। নগরবাসী দূষণ কমাতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলবে। এখন সেগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। আবার অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠা নগরে অনেক বাড়ীর অপ্রবেশ্য গলির মধ্যে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কিছুতেই প্রবেশ করতে পারেনা। তাই ঐ স্থানগুলি যেমন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তেমনি পরিণত হয়েছে মশা উৎপাদনের কারখানায়।বর্জ্য পদার্থ হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে সকল দেশ শীর্ষস্থানী তার মধ্যে চীন ১,১৮, ৬৪৫ মেগা ওয়াট, যুক্তরাষ্ট্র ৭১,৭১৪ মেগা ওয়াট, জামার্নী ৫৭,২০০ মেগা ওয়াট, যুক্তরাজ্য ৪১.৭৯৪ মেগা ওয়াট এবং ভারত ৪৫, ৭৯৫ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিবছর উৎপাদন করে থাকে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬,৫০০ টন বর্জ্য ও ১২টি মেগা শহর বা সিটি করপোরেশনে প্রায় ১৭,০০০ টন বর্জ্যকে ইনসিনেরেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রায় ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন উৎপাদন সম্ভব। দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পাইপ নালার ওপর রয়েছে ৩৩ হাজার ৩৩৩টি ম্যানহোল।এমনভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে একটি নান্দনিক স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণোজ্বল বাংলাদেশ।

================


বাংলাদেশে তামাকপণ্য সহজলভ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, দেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে মৃত্যু হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৩ জন মানুষের।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০০৬–০৭ সালে নিম্নস্তরের সিগারেটের বাজার শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ, যা ২০২০–২১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ শতাংশে। অর্থাৎ, সস্তা সিগারেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তো বাড়ছেই, পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। যেমন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক প্যাকেট প্রিমিয়াম সিগারেট থেকে সরকার পেয়েছে ১২১.৫ টাকা, অথচ একই প্যাকেট নিম্নস্তরে ছিল মাত্র ৩৩.৩ টাকা।ফিলিপাইন ২০১২ সালে ‘ঝরহ ঞধী জবভড়ৎস অপঃ’ বাস্তবায়নের পর তিন বছরে সিগারেট বিক্রি কমেছে ২৮.১%, ধূমপানের হার ২৮.৩% থেকে নেমে এসেছে ২২.৭%-এ এবং রাজস্ব তিনগুণ বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে সিগারেটের প্রকৃত মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হলে ধূমপানের হার কমে এবং রাজস্ব আয় ৯ গুণ বেড়ে যায়।২০২৫ সালের প্রথমার্ধে সিগারেট বিক্রি ৫৩৮ কোটি শলাকা কমলেও সরকার রাজস্ব পেয়েছে গত বছরের তুলনায় ৩২০ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ, কর বাড়ালে বিক্রি কমে—কিন্তু রাজস্ব বাড়ে।

======

জন্মালে মৃত্যু হবেই। কবির ভাষায় ‘প্রতিদিন মৃত্যু মৃত্যু খেলা করে। সবাই চলে যাবো এই প্রকৃতি ছেড়ে।এক উজ্জ্বল তারকাকে হারালো। জাতি হারালো তার এক আউটস্টেনডিং সিটিজেনকে। 

=======


লিখলেই কি লেখক? খেললেই খেলোয়াড়? গাইলেই শিল্পী?


অনেকে জানেনই না যে বিক্রমপুরের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন। অথচ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে পড়তে হয়েছে রেডিওর আবিষ্কারক মার্কনী। জগদীশ চন্দ্র ৮ মাইল পর্যন্ত কোনো তার ছাড়া কথা পাঠাতে পেরেছিলেন। তাহলে আবিষ্কার তো হয়েই গেল। চিন্তা করেন, আপনি কাওরান বাজার থেকে মাইক্রোফোনে আস্তে করে ‘হ্যালো’ বললেন , সেটা অন্য আরেক যন্ত্রে শোনা গেল বেইলি রোডে। তো আবিষ্কারের বাকি থাকলো কি? ব্যাচারার হাতে আর এগুনোর টাকা ছিল না। ব্যস, ধনাঢ্য বিজ্ঞানী মার্কনী আবিষ্কার করলেন রেডিও। তা-ও জগদীশেরই সহায়তায়। জগদীশ চন্দ্র বসু ‘গাছের জীবন আছে’ এটিও আবিষ্কার করেছিলেন।

======


তারা তাদের সারাজীবনের উপার্জিত বৈধ টাকার একটা বিশাল অংশ মানবতার কাজে ব্যয় করেছেন। গায়িকা শাকিরার ডোনেশনের টাকায় আফ্রিকায় বহু স্কুল হয়েছে। সেসব স্কুলে হাজারো শিশু পড়াশোনা করে। ছোটকালে আমরা ঢাকায় যাত্রাপালার এক সুপারস্টারের নাম শুনেছিলাম। প্রিন্সেস লাকী খান। তার যাত্রামঞ্চে উদাম দেহের উদ্দাম নাচের এত ভিউ (ভিউয়ার) ছিল যে শাবানা-ববিতা-কবরীর প্রেক্ষাগৃহ হার মেনেছিল। ইতিহাস তথাকথিত প্রিন্সেসকে কি মনে রেখেছে? ইতিহাস মনে রেখেছে শাবানা ববিতাদেরই।

=====

ডিনামাইটও আবিষ্কার করা হয়েছিল ভালোর জন্য। মাটির নিচের খনিজ তোলার জন্য পাথুড়ে পাহাড় ফাটাতে। নোবেল প্রাইজের জনক আলফ্রেড নোবেল এই ডিনামাইটের আবিষ্কারক।

========

১৫ বছরের অধিক একদলীয় শাসনের অবসানের পর নাটকীয় কোনো রাজনৈতিক পটপরিবর্তন না হলে, বাংলাদেশের বড় দল হিসাবে বিএনপি'র বড় সুযোগ আছে সরকার গঠন করার।

 দেশে ৫০টির অধিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। দল মূলত: মধ্যপন্থী । চিরায়তকাল ধরেই এদেশের মানুষ উদারনৈতিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও কখনো ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তেমন বড় কোনো অঘটন ঘটে নাই, বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতা ছাড়া।

দীর্ঘ আন্দোলনের পরিযাত্রায় বিএনপি'র ভোট ব্যাংক বা জনসমর্থন যে এখনো অটুট আছে, তার প্রধানতম কারণ সম্ভবত তাদের নীরব ভোটার। যারা হয়ত মাঠের রাজনীতিতে এতো বেশি সক্রিয় নন, তবে নীরবে সমর্থন রে গেছেন। 


২০০৮ এ নিরষ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সুযোগ ছিলো আপামর জনগণের দল হিসেবে গড়ে উঠার এবং নতুন ধরনের রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠার। কিন্তু পরপর তিনটি একপাক্ষিক ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, নিজ দলে গণতন্ত্রের চর্চার অভাব, দলীয় কার্যক্রমকে অল্পসংখ্যক নেতার ইচ্ছাধীন করে ফেলে আমলা-নির্ভর রাষ্ট্র গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কি নির্মম প্রতিদান পেলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। এখন তারেক রহমান ২.০ সংস্করণে বাস্তবিক অর্থেই গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয় কিনা-সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

==========

সেকালে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলে ‘বিদেশ যাওয়া’ বলতে নিজ বাড়ি থেকে দূরবর্তী কোনো জেলায় বা যমুনা নদী পার হওয়া বোঝানো হতো। ছেলের বাবা গ্রামের লোক দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর আয়োজন 


২৩টি মন্ত্রণালয় এবং ৩০ টিরও বেশি সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত এই কর্তৃপক্ষ দেশকে স্মার্ট (?) বাংলাদেশ বানানোর ঘোষণা দিয়ে যা করছে তা যেন সেই আরিচা ঘাটে চাকরির নামে বিদেশ যাওয়ার অবস্থা! 

রংপুর অঞ্চলে কাউকে সম্মান জানাতে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করা হয়)। ঠিক জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মর্যাদা বুঝাতে এই দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রায়শই এভাবে পরিচয় দেন ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’। মানে সব দপ্তরের উপর এর অবস্থান!

২০২২ থেকে ২০২৭ সাল নাগাদ ৮৬ লাখ শ্রমশক্তির প্রশিক্ষণ নামে যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে তা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে বিগত ৩ বছরের অগ্রগতির তথ্য না থাকায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দক্ষতাই এখন প্রশ্নের মুখোমুখি।

বাংলা পাটিগণিতে তৈলাক্ত বাঁশে উঠা-নামা বিষয়ক এক রম্যগণিতের সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমে আমরা কি এগোচ্ছি? নাকি পেছাচ্ছি?  এগোলে  নাকি পথটাই হারিয়ে ফেলেছি? ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এইসব পোশাকি কথাবার্তা ছাড়া দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন নেই। ১৬ টি শিল্প দক্ষতা পরিষদ গঠন করা হলেও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংযোগ এবং কর্মসংস্থানে কোনো অগ্রগতির তথ্য নাই। 


নদীতে টুপ করে ফেলে দিয়ে চুবানোর গল্প বাংলাদেশে বেশ প্রসিদ্ধ!দক্ষ জনশক্তি হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের সেই শক্ত পাটাতন। বাংলাদেশের কর্মক্ষম বিপুল জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন ছাড়া দেশের বর্ধিত বেকারত্ব দূর করা সম্ভব নয়।  সম্ভব নয় জনগণের মধ্যে পাহাড়সম অর্থবৈষম্য দূর করা। বাংলাদেশকে এই অদক্ষতার চক্র থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজন বিদ্যমান দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের মৌলিক পুনর্গঠন।

=============

বহু আগে যখন আরবের মানুষের প্রধান বাহন ছিল উট, তখন একটা প্রথা চালু ছিল। ‘অতিথি’ বা ‘মুসাফির’ প্রথা। কোনো যাত্রীর যাত্রাপথে রাত নেমে এলে তিনি কোনো অচেনা বাসায় রাতটা কাটানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারতেন। এতে সেই বাসার মালিকও ভীষণ খুশি হতেন। কারণ তাদের কালচারে অতিথি বা মুসাফিরের আগমন ছিল ভাগ্যের প্রতীক। মুসাফিররা ছিলেন সম্মানিত ব্যক্তি। তো এক রাতে এক আরবের বাসায় এক অচেনা অতিথি এলেন। বাসার মালিক অতিথিকে সানন্দে থাকতে দেন ও চমৎকার ডিনারে আপ্যায়ন করেন। সারা রাত আড্ডা দেন তারা। অতিথিকে তার জীবনের কোনো এক স্মরণীয় ঘটনা বলতে বলেন গৃহকর্তা। অতিথি ১০ বছর আগে এক বৃদ্ধকে তার খুন করার লোমহর্ষক কাহিনী রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই গল্প শোনেন গৃহকর্তা। রাত পেরিয়ে ভোর হয়। ব্রেকফাস্ট শেষে অতিথিকে বিদায় দেয়ার সময় গৃহকর্তা বলেন, ‘শুনুন আপনি ১০ বছর আগে যাকে খুন করেছিলেন, তিনি হচ্ছেন আমার পিতা। আমি এই কয় বছর ধরে খুনীকে খুঁজছি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। আজ পেয়ে গেলাম। তবে আজ আপনি আমার অতিথি, তাই ছেড়ে দিচ্ছি। অতিথি দুঃখ প্রকাশ করলেন। দু‘জনে হ্যান্ডশেক করে বিদায় নিলেন। গল্পটা বলার উদ্দেশ্য হলো- বীর আরবদের মূল্যবোধ একসময় কিংবদন্তি ছিল।  

ছোটকালে একটা ইংলিশ মুভি দেখেছিলাম- টুডে ইট’স মি, টুমোরো ইউ। বাংলায় লেখা ছিল- ‘আজ আমার, কাল তোমার।’ 


ইসলামের খলিফা হযরত আলী, তার ছেলে হাসান ও হুসাইন একত্রে ৩-বোনকে বিয়ে করে সম্পর্কে "ভায়রা-ভাই" হয়েছিলেন!

=====================

হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাদিআল্লাহু আনহু মোট ৯-টি বিয়ে করেছিলেন। (যদিও নবির জীবনকালে তিনি আবুল হাকাম বা আবু জাহেলের কন্যাকে বিয়ে বিয়ে করতে চান কিন্তু নবির হস্তক্ষেপে হযরত ফাতিমা স্ত্রী থাকাকালীন কোন বিয়ে করতে পারেননি! আর পরবর্তীতেও তার  একসাথে ৪-জনের বেশি স্ত্রী ছিলনা)। তন্মধ্যে নবম স্ত্রীর নাম হল "মাহয়াত বিনতে ইমরাউল কায়স"। তিনি বনু কালব গোত্রের কন্যা। বনু কালব গোত্রের পক্ষ থেকে তাঁর বাবাকে উমর রাদিআল্লাহু আনহুর কাছে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ছিলেন খ্রিস্টান। তারপর ইসলাম গ্রহণ করেন। আলী রাদিআল্লাহু আনহু তাঁর কন্যা মাহয়াতকে বিয়ে করেন। তাঁর গর্ভে একজন কন্যা জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু তিনি ছোটবেলাতেই মারা যান। মাহয়াতের দুই বোন ছিল - "জাইনাব" আর "রিবাব"। আলী রাদিআল্লাহু আনহুর পুত্র হাসান রাদিআল্লাহু আনহু "জাইনাব"কে আর হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু "রিবাব"কে বিয়ে করেন। অর্থাৎ তারা বাপ-ছেলের পাশাপাশি ভায়রা ভাইও ছিলেন। (বাপ,ছেলে,ভাই সকলেই ভায়রা ভাই)

(সূত্র : ইমাম ইবনুল জাওজি, মিরআতুজ জামান ফি তাওয়ারিখিল আ'য়ান: ৪৭৯ পৃষ্ঠা)!

==================

১৭বছর বয়সে মিশরের রানী হয়েছিলেন।

তিনি ৯টি ভাষা জানতেন।

ইতিহাস ভূগোল শরীরবিদ্যা রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি প্রাণিবিদ্যা রসায়ন ইত্যাদি সমস্ত কিছুই তিনি জানতেন।

নিঃসন্দেহে তিনি প্রভাবশালী রানী ছিলেন মিশরের। এবং তিনি মিশরের আদিবাসী না হয়েও মিশরের সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী নারী ছিলেন, মাত্র ২২ বছর রাজত্ব করার পর সাপের কামড়ে তিনি মারা যান।

তার মৃত্যু আজও রহস্য।

নিজের ভাইকে বিয়ে করেন এই সম্রাজ্ঞী, তাকে নদীর জলে ডুবিয়েও মারেন।

তার বাবা যখন মারা যান তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর। নিজেও কিশোরী, তার ২ ভাইও তখন কিশোর। সেই সময় বাবার মৃত্যুশোক কাটিয়ে তিনি ১৮ বছর বয়সেই সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তার ২ ভাইকেই বিয়ে করবেন। এবং তাদের বিবাহ করেনও।

তবে এর পিছনে ছিল অন্য কারণ।

তিনি চেয়েছিলেন ভাইদের সঙ্গে তিনিও সিংহাসনের সমান দাবিদার হবেন। তাই সহজ পন্থা হিসেবে তাদের বিবাহ করার পথ বেছে নেন।

তবে এটা খুব অবাক বিষয় ছিলনা। কারণ তার পরিবারে তার বাবা মা ছিলেন সম্পর্কে ভাইবোন। আবার তার অনেক তুতো ভাইবোনও নিজেদের মধ্যে বিবাহ করেন।

সেই সময়ের মিশর রাজ পরিবার বিশ্বাস করত তাদের পরিবার দেবতার আশীর্বাদ ধন্য। মূলতঃ রাজরক্ত যাতে পবিত্র থাকে সেই জন্য রাজ পরিবারে নিজেদের ভাই বোনের মধ্যে বিবাহ চালু ছিল।

যাইহোক তিনি নিজের ২ ভাইকে বিবাহ করে সিংহাসনে নিজের দাবি সুনিশ্চিত করার পর কিন্তু এক ভাই তথা পতি তাকে  সিংহাসনের দাবি থেকে সরিয়ে দেন।

এতে সম্রাজ্ঞী কিন্তু দমে যাননি। তিনি ক্ষমতা ছাড়তে রাজি ছিলেননা।

তাই মিশরের এই বিখ্যাত সম্রাজ্ঞী হাত মেলান জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে। তারপর ভাই তথা স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সেই সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রার কাছে যুদ্ধে হেরে যান তার ভাই।

ক্লিওপেট্রা আর তাকে বাঁচিয়ে রাখার রাস্তায় হাঁটেননি। নীল নদের জলে ভাই তথা স্বামীকে ডুবিয়ে হত্যা করেন অতি সুন্দরী সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা।

বলা হয় ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে অনেক শক্তিধর রাজাকে সেই সময় এক এক করে বশবর্তী করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্র সংক্রান্ত অনেক গোপন তথ্যও নিজেকে ব্যবহার করে আদায় করে নিতেন ক্লিওপেট্রা।

ঠিক এভাবেই তিনি এন্টনি নামক সিজারের এক সেনানায়কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং নিজের সঙ্গে মিশরের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছিলেন।

বলা হয় তিনি unknown nine দ্বারা chosen one হিসেবে বসেছিলেন মিশরের সিংহাসনে কোন এক বিশেষ লক্ষ্য পরিপুরণের জন্য, সেই লক্ষ্য পরিপূরণ হয়ে যাওয়ার পরেই তিনি সর্পাঘাতে মারা যান।

কিভাবে মারা যান তিনি আজও রহস্য ময়।

তার মৃত্যুর পর রোমে এবং মিশরে অদ্ভুতভাবে christianity জোরদার ভাবে চালু হয়ে যায়।