মেয়েদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো কী কী?
1. গম্ভীর গলায় পুরুষরা যা বলে তা মেয়েরা মনে রাখে।
2. মেয়েরা অনেক ভালো শ্রোতা।
3. তাদের চোখ অনেক কথা বলে, এবং এটি তাদের হৃদয়ের দরজা।
4. তারা ইঙ্গিত দিয়ে এবং পরোক্ষভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। পুরুষরা সোজা, এত ঝামেলায় না গিয়ে সোজাসুজি বলে দেয়!
5. যে মুহূর্তে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিন্তিত হবেন সেই মুহূর্তে তারা আপনার মায়ের মত হবে। (এটি অবশ্য মেয়েটা কেমন এবং তার মেজাজের উপর নির্ভর করে!)
6. নারীরা চেহারা মনে রাখার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে ভালো।
7. অন্যরা যখন তাদের কারো সাথে তুলনা করে তখন নারীরা তা পছন্দ করে না, কিন্তু তারা ক্রমাগত তাদের মনের মাঝে অন্য মহিলাদের সাথে নিজেদের তুলনা করে।
8. দুই নারীর বন্ধুত্ব দুই পুরুষের বন্ধুত্বের মত এত শক্তিশালী নয়।
9. নারীরা পুরুষদের তুলনায় সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় নেয় কিন্তু একবার তারা সিদ্ধান্ত নিলে তাদের তা মেনে চলার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
10. মহিলারা সমস্যা সমাধানের জন্য মস্তিষ্কের উভয় দিক ব্যবহার করে এবং পুরুষরা কেবল বাম অংশ ব্যবহার করে।
11. মহিলারা অনেক ভালো ভাবে প্রতারণা করতে পারে এবং তারা কারণ দেখাতে পারে (পুরুষরাও এমন করে কিন্তু ধরা পড়লে তা ব্যাখ্যা করতে পারে না)
12. যখন নারীরা কোন বিষয়ে বিরক্ত হয় তখন তারা তাদের সমস্যা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করে এবং যদি আপনি ধৈর্য ধরে তাদের সমস্যা শুনেন তাহলে তারা আরও ভাল বোধ করেন।
13. নারীরা তাদের সঞ্চয়ের জন্য দৈনন্দিন ব্যয়ের হিসাব রাখে।
14. পুরুষদের ১১ বারের তুলনায় মেয়েরা প্রতি মিনিটে ১৯ বার চোখের পলক ফেলেন।
15. মাত্র ২% নারী নিজেকে সুন্দর বলে বর্ণনা করে।
a. এমনকি সুন্দর চেহারার মেয়েরাও বলে থাকেঃ "আমি জানি আমি দেখতে ভালো নই।"😒
16. পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মুখে স্বাদ বেশি।
17. মেয়েদের হৃদস্পন্দন পুরুষদের হৃদস্পন্দনের চেয়ে দ্রুত।
18. মেয়েরা বছরে গড়ে ৩০ থেকে ৬৪ বার এবং পুরুষরা ৬ থেকে ১৭বার কাঁদে। (হিন্দি সিনেমা এবং সিরিয়াল এর জন্য বেশি দায়ী।)
19. মেয়েরা কি পড়বেন তা নির্ধারণ করার জন্য তাদের মোট জীবনের ১ বছর (কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি) কাটিয়ে দেন!
20. মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে ২২০০০ শব্দ বলে গড় পুরুষদের তুলনায় (১৩০০০) বেশি।
মিথ্যাবাদী চেনার মনোবিজ্ঞানে কোনো উপায় আছে কি?
সাধারণ কিছু বিষয় আছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় কথা বলার সময় মিথ্যা বলে কিনা
১. মিথ্যা কথা চোখে চোখ রেখে বলা মুশকিল, মিথ্যা কথা বলার সময় ব্যাক্তি সাধারণ চোখ সরিয়ে নেয়,চোখের পলক স্বাভাবিক থেকে কম বা বেশি ফেলে,
২. মিথ্যা কথা বলার সময় গলার স্বর এ পরিবর্তন করে, স্বাভাবিক এর থেকে উচু - নিচু থাকে,যেখানে থামার কথা না সেখানে থামবে না,আবার যেখানে থামার কথা সেখানে থামবে না,
৩. শরীর স্বাভাবিক রাখতে চায়,কিন্তু মাঝে মাঝে একটু বেশিই সোজা করে ফেলে,
৪. মিথ্যা বলার সময় মুখে বা নাকের কাছে হাত দিতে পারে,
৫. স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি দ্রুত নিঃশ্বাস নেয়,
৬. একই শব্দ বারবার বলতে পারে বা তোতলাতে পারে,
৭. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তথ্য দিতে পারে,টপিক চেঞ্জ করার চেষ্টা করবে,
৮.কথা বলার সময় চুলে হাত,বারবার ঢোক গিলতে পারে,
৯.সে কথা বলার সময় হঠাৎ কোনো একটি প্রশ্ন করুন,কোনো সহজ প্রশ্ন যেমন "আজ কয় তারিখ" যদি দেখেন একটু ভরকে গেছে তাহলে সেটা মিথ্যা বলার কারণে,
১০. মিথ্যা বলছে সন্দেহ হলে কথাটা আবার বলতে বলবেন, সত্যিই মিথ্যা বললে আগের কথার সাথে এ কথার খুব সামান্য মিল থাকবে।
জীবনের সেরা উপদেশ
১. টাকার রোজগারের পিছনের দৌড়াবেন দেখবেন দুনিয়া আপনার পিছনে ছুটেছে
২. নিজের কথা নিজের ভিতরের গোপন রাখবেন, মনে রাখবেন যতক্ষণ আপনার কথা আপনার ভিতরের থাকবে ততক্ষণ আপনি নিরাপদ
৩. কোন কাজকে ছোট মনে করবেন না,উপোস করে থাকলে আপনাকে কেউ খাবার দিতে আসবে না
৪. একটা সময় সন্তানও তার পিতামাতার কাছে বোঝা হয়ে যায় আর চেষ্টা করবেন বোঝা হয়ে উঠার আগেই সরে আসতে
৫. কাউকে ভালবাসলে কিংবা কাউকে ভাল লাগলে তার ভাল দিক এবং খারাপ দিক দুটোকেই ভালবাসতে শিখবেন,আপনি তার ভালটাকে ভালবাসবেন আর তার খারাপটাকে ভালোবাসবেন না এমন কিন্তু হতে পারে না
৬. জীবনের বন্ধবান্ধবদের উপর কম বিশ্বাস করবেন অনেকসময় আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই আপনার সাফল্যকে ঈষার চোখে দেখবে
৭. চুপ থাকার চেষ্টা করবেন আর সবসময় কোলাহল জায়গায় এরিয়ে চুপচাপ জায়গায় বসে আধ্যাত্মিক ভাবনা ভাববেন
৮. ধর্মান্ধ হবেন না,ধর্ম আপনার অন্তরের থাকুক, সবসময় মনে রাখবেন ধর্ম আপনাকে নীতিবান করতে সাহায্য করবে কিন্তু আপনাকে কন্ট্রোল করবে বাস্তবতা
৯. ফেসবুকের কারো সাথে কমেন্টের তর্কতর্কি করবেন না সেখানে তর্কতর্কি করাটা একধরনের বোকামী কারণ ফেসবুকহলো বর্তমান সময়ের ইন্টারনেটের পায়খানা
১০. আপনাকে যারা ভালবাসের তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন
১১. মাঝে মাঝে শত্রুর সাথেও সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন কারণ এই দুনিয়ায় কায়দা করে বেঁচে থাকতে হয়
১২.বই পড়ার অভ্যাস করবেন কারণ আপনার পরিপূর্ণতার জন্য জ্ঞান আবশ্যক
প্রস্রাব ধরে রাখা যায় না কেন?
আমাদের ব্লাডারের ৪০০-৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। ব্ল্যাডারে বেশি প্রস্রাব জমা হলে তা ক্রমাগত ফুলে যেতে থাকে। এবং আমাদের মস্তিষ্ক থেকে অনুভূতির সৃষ্টি হয় এবং আমরা তা শরীর থেকে নিঃসরণের চেষ্টা করি। তবে যদি বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে থাকতে থাকতে ব্লাডারের মাসল দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে একটা সময় আপনার অজান্তেই প্রস্রাব বেরিয়ে আসবে।
আপনি যদি বেশিক্ষণ প্রসাব আটকে রাখেন নিন্ম সমস্যা দেখা দিবে -
* নিয়মিতভাবে দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে থাকলে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত হবেন। কারণ ইউরিন ধরে রাখার ফলে ব্লাডারে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেবে। এর কারণে সহজেই নানা অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন আপনি।
* অনেকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে ব্লাডার বড় হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ইউরিন একটু সময়ও ধরে রাখতে পারবেন না। প্রস্রাব করতেও সমস্যা হবে।
* বেশিক্ষণ ইউরিন চেপে রাখলে পরে প্রস্রাব করার সময় আপনার ব্লাডার পুরোপুরি খালি হবে না। কিছুটা ইউরিন ব্লাডারে থেকে যাবে। আর এতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেবে।
একজন মানুষ কতবার টয়লেটে যাবেন, তা ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করে। তবে একজন সুস্থ-সবল মানুষের দিনে ছয় থেকে আটবার টয়লেট যাওয়া উচিত।
সুন্দর করে কথা বলার কিছু টিপস বা কৌশলঃ
শরীর ও মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা শিখুনঃ হাসিমুখে কথা বলা শিখুন আর শরীরী ভাষার দিকে নজর দিন। কথা বলার সময় হাত কোথায় রাখছেন, ঘাড় কতটুকু বাঁকাচ্ছেন কিংবা ভ্রু কতটুকু ব্যবহার করছেন—সবটাই খেয়াল রাখুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখুন। যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তাঁর দিকে না তাকিয়ে কথা বলা অসম্মান ও অভদ্রতা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরী ভাষা সংশোধনে সময় নিন। টানা পাঁচ সপ্তাহ এমন চেষ্টা করুন, নিজের মধ্যে পরিবর্তন দেখবেন।
আঞ্চলিকতার টান পরিহার করা শিখুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পেশাদারি যেকোনো কাজে বাংলা ভাষায় সুন্দর করে কথা বলতে নিজের আঞ্চলিকতা পরিহারের চেষ্টা করুন। শুরুতে হয়তো সমস্যা হবে, কিন্তু আঞ্চলিকতা অবশ্যই পরিহার করা যায়। টানা ছয়-সাত সপ্তাহ সময় দিলে আঞ্চলিক টান কথায় কমিয়ে আনতে পারবেন। ইংরেজিতে কথা বলার সময় পরিষ্কারভাবে ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকান উচ্চারণ অনুসরণ করুন। কথার মধ্যে কখন, কীভাবে, কতটুকু বিরতি নিতে হয়, তা নিজেই উপলব্ধি করুন।
বুঝে কথা বলুন, শ্রোতাকেও বুঝুনঃ কথা বলার সময় মুখ আর মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্বয় আনার চেষ্টা করুন। কথা শুরুর আগে কী বলবেন, তা গুছিয়ে নিন, প্রয়োজনে টুকরো কাগজে লিখে নিন। আপনি যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তিনি কথা বুঝতে পারছেন কি না, সেদিকে মনোযোগ দিন। আপনি কী বলছেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার শ্রোতা কী শুনছেন বা কী বুঝছেন। আপনার কথায় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। শ্রোতার মুখ ও শরীরের অভিব্যক্তি দেখে শ্রোতাকে বুঝতে চেষ্টা করুন।
জটিল বাক্য ও নেতিবাচক কথা পরিহার করুনঃ যাঁরা গুছিয়ে কথা বলেন, তাঁরা আসলে কম শব্দে খুব বেশি কাজের কথা বলেন। কথা বলার সময় জটিল বাক্য ব্যবহার করবেন না। শব্দভান্ডার কিংবা বিদ্যার দৌড় কখনোই কথার মধ্যে প্রকাশের চেষ্টা করবেন না। সরল ও সাধারণ শব্দ ও বাক্যে কথা বলার চেষ্টা করুন। খেয়াল রাখবেন, কথা বলার সময় অন্য কারও নামে নেতিবাচক বাক্য কিংবা শব্দ কোনোভাবেই বলবেন না। নেতিবাচক বাক্য ব্যবহারে আসলে নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ পায়। সমালোচনা করতে হলে যৌক্তিকভাবে করুন। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন।
অন্যকে অনুসরণ করুন, শিখুনঃ সুন্দর করে কথা বলার শিল্প রপ্ত করতে টেড–এর বিভিন্ন ভিডিওসহ হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ কিংবা ব্লুমবার্গ বিজনেস ম্যাগাজিনের বিভিন্ন ভিডিও দেখুন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা লাইভ ভিডিও লেকচার দিয়ে থাকেন, সেগুলো দেখুন। ভিডিও থেকে তাঁদের মতো করে কথা বলা, বাক্য ব্যবহার আর শব্দ প্রয়োগ আয়ত্ত করুন। আপনি পেশাজীবনে যাঁর মতো হতে চান, তাঁকে অনুসরণ করতে পারেন।
বিরতি দিয়ে কথা বলুন : কথা বলার সময় একটু বিরতি দিয়ে কথা বললে শ্রোতাদের বুঝতে সুবিধা হয়। বেশি তাড়াতাড়ি কথা বলা খুব বাজে একটি অভ্যাস। এতে শ্রোতাদেরও বুঝতে কষ্ট হয়। বিরতি দিয়ে কথা বললে মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্বও দেয়া যায়। অন্যদিকে ধীরগতিতে কথা বললে শ্রোতারা বিরক্তবোধ করে এবং শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সুতরাং, মধ্যবর্তী একটি মাপ বেছে কথা বললে শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায়। কথা বলার সময় গুরুত্ব অনুযায়ী কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করা যেতে পারে।
বিভিন্ন রকম বই পড়ুন : জ্ঞান অর্জনে বইয়ের বিকল্প নেই। উচ্চারণ শুদ্ধ করতে বইয়ের কঠিন শব্দগুলো জোরে জোরে পড়ে অনুশীলন করা যেতে পারে।
যেভাবে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরবেনঃ
আপনি কেবল একটি সুযোগই পাবেন প্রথম দেখাতেই কোথাও নিজেকে স্মার্ট হিসেবে প্রমাণ করার। যাকে এক কথায় বলে “first impression”। আপনি যদি কোথাও প্রবেশ করার শুরুতেই এলোমেলো বা হেলেদুলে প্রবেশ করেন তবে আপনি প্রথমে সবার চোখে যে আনস্মার্ট বা তথাকথিত খ্যাত হিসেবে প্রতীয়মান হবেন সেটি সম্ভবত আর কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারবেন না আর যদি কাটিয়ে উঠতে চানও তবে আপনাকে এক কথায় অসাধ্য সাধন করতে হবে। তাই অন্যের সামনে নিজেকে স্মার্টলি প্রকাশ করা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা খুব দরকারি।
যেভাবে নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরবেনঃ
নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার প্রথম শর্ত হল যখনই আপনি হাঁটবেন কোন দিকে বেশী হেলে অথবা খুব বেশী দুলে দুলে না হেঁটে সোজা হয়ে হাঁটুন। পিঠ ও ঘাড় টান টান রেখে দৃষ্টি সামনে প্রসারিত করুন। আপনার হাঁটার ধরণ আপনার আত্মবিশ্বাস ও আপনার স্মার্টনেস প্রকাশ নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার আরো একটি ভালো মাধ্যম হলো আপনার বাচনভঙ্গী। কথা বলার সময় জড়িয়ে কথা বলা বর্জন করুন, খুব দ্রুত কথা না বলে প্রতিটি কথার মাঝখানে কিছুটা সময়ের ব্যবধান রাখুন, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন, কথায় কথায় ইংরেজি না বলে সীমিত কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
স্মার্ট হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে গিয়ে সব কথার মধ্যে কথা বলতে যাবেন না। বিশেষ করে যে বিষয়ে আপনার কোন ধারণা নেই সেসব আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে অজানা বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
·মুখটা খুব বেশী গম্ভীর বা ভাব গাম্ভীর্যে ভরপুর না রেখে মুখে আলতো একটি হাসি রাখুন, এটি আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের প্রকাশ ঘটাবে। যদি কখনো অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হন তাহলে কিম্ভূতকিমাকার না হয়ে মৃদু হেসে পরিস্থিতি সামাল দিন। আপনার স্মার্টনেস প্রকাশের এইটি আরো একটি মাধ্যম।
নিজেকে স্মার্ট করতে গিয়ে আপনি যা নন তা করবেন না। নিজের আসল সত্ত্বাকে উপেক্ষা করবেন না, মনে রাখবেন মেকি কোন কিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আপনি যা সেভাবেই নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে স্মার্ট করে উপস্থাপন করুন।
নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে যত বেশি পারেন স্মার্ট লোকজনের সাথে মেলামেশা করুন। স্মার্টনেস (smartnes) মানে এই নয় আপনি স্বয়ংসম্পূর্ণ, প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন আর অন্যের প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
·
· খাবারের পরেই পানি কেন খেতে মানা করা হয়
·
· খাওয়ার পরপরই পানি খেলে বলা হয় পেটে কলেরার জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও এতে করে গ্যাস্ট্রিক বাড়তে পারে এবং বদহজম হতে পারে।
· পানি খাওয়ার সঠিক কয়েকটি নিয়ম —
· ১. ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এই কারণেই তো ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কম করে ২ কাপ জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
· ২. চিকিৎসকেদের মতে খাবার খাওয়ার কম করে ১-২ ঘন্টা পর পানি পান করা উচিত। এমনটা না করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে হজম ঠিক মতো না হাওয়ার কারণে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
· ৩.আয়ুর্বেদ মতে, চুমুক দিয়ে পান করাই হল পানি পান করার সর্বোত্তম উপায়। আমাদের মুখে আমরা প্রচুর পরিমাণে লালা উৎপন্ন করি। ঢকঢক করে পানি পান করলে শুধুমাত্র পানি পান করাই হয়, আমাদের পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছায় না।
· ৪. পানি স্বাভাবিক কিংবা অল্প একটু গরম থাকলে এটি আপনাকে অন্যরকম তৃপ্তির অনুভূতি এনে দেয়। আপনি যদি বরফ-ঠাণ্ডা পানি পান করেন তাতে মুখে তো বটেই পাকস্থলীতেও ধাক্কা দেয়। খাবারের সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি খাওয়া হজম প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত অনুভূতির সৃষ্টি করে।
· ৫. অনেকই আছে যারা পানি পানের সময় একেবারে অনেক মাত্রায় পানি পান করে থাকেন এবং এমনটা করতে গিয়ে পানি প্রায় গিলে গিলে খান। এইভাবে পানি পান করলে শরীরের ভিতর হঠাৎ করে চাপ খুব বেড়ে যায়, ফলে নানাবিধ অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সব সময় অল্প অল্প করে জল পান করতে হবে।
দশটি গোপন টিপস
১.কাউকে কোনো কাজের জন্য জিজ্ঞেস না করে অনুরোধ করুন।
যেমন ধরুন আপনি কাউকে প্রশ্ন করলেন,আপনি কি আমার এই কাজটি করে দিতে পারবেন?
না এভাবে কখনো প্রশ্ন করবেন না।সরাসরি অনুরোধ করবেন যে,দয়া করে আপনি আমার এই কাজটি করে দেন।দেখবেন তখন আর সে আপনাকে না করতে পারবে না।তাই কাউকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়ে নেয়ার এই সাইকোলজি টা একবার ট্রাই করে দেখবেন অনেক কার্যকারী।
২. ইগনোর কারীর সাথে আই কন্টাক্ট করুন।
যখন আপনি কারো সাথে একটানা কথা বলেন এবং সে আপনার কথায় মনোযোগী না হয় অথাৎ আপনাকে ইগনোর করার চেষ্টা করে।তখন কিছুক্ষণের জন্য কথা থামান।কিন্তু চোখ তার চোখেই রাখবেন।চোখ নামাবেন না।এতে দেখবেন সে ইতস্তত বোধ করবে এবং আবার আপনার কথায় মনোযোগ দিবে।
৩.বক্তৃতা দেয়ার সময় সাথে পানির বোতল রাখুন।
অনেকে আছেন অনেক মানুষ এর সামনে কথা বলতে বা বক্তৃতা দিতে পারেন না।গলা শুকিয়ে যায়,কথা ভুলে যান।তারা সাথে করে একটি পানির বোতল রাখতে পারেন।এতে গলা শুকিয়ে গেলে যেমন পানি পান করতে পারবেন,তেমন পানি খাওয়ার এই বিরতিতে আপনার বক্তৃতা ও মনে করতে পারবেন।তাছারা পানি খাওয়ার ফলে,মুড রিফ্রেশ হবে,নার্ভ শিথিল হবে,আর আপনার বক্তৃতাও ভাল হবে।তাই অবশ্যই যারা স্পিচ দেওয়ার সময় নার্ভাস ফিল করেন তারা এই সাইকোলজি টা ফলো করতে পারেন।
৪.ডি মোটিভেশন কে মোটিভেশন হিসেবে ব্যবহার করুন।
ধরুন আপনি কাউকে দিয়ে আপনার কোনো কাজ করাবেন বা অন্য কেউ তাকে দিয়ে কোনো কাজ করাবে তখন তাকে এভাবে বলবেন "যে তুমি তো এই কাজ পারবেই না"।"তোমার দ্বারা হবে না,ছেড়ে দাও"।তখন দেখবেন তার মনে কাজ টা ভাল এবং সুন্দর ভাবে করে দেয়ার আগ্রহ জাগবে,সেটা জেদ করেই হোক,সে চাইবে কাজ টা করে আপনাকে দেখিয়ে দিতে।আর বুঝিয়ে দিতে চাইবে না সে পেরেছে,আপনি ভুল ছিলেন।
৫.দেহভঙ্গি দিয়ে সামনের জনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করুন।
যখন আপনি কারো সাথে কথা বলবেন তখন হালকা করে মাথা, এবং হাত নাড়িয়ে কথা বলবেন।এতে সামনের জন মনে করবে আপনি তার সাথে কথা বলতে আগ্রহ পাচ্ছেন বা আপনার তার সাথে কথা বলতে ভাল লাগছে।এতে দেখবেন যার সাথে কথা বলবেন সে অনেক ফ্রেন্ডলী হয়ে যাবে এবং আপনার সাথে সব কিছু শেয়ার করবে।এই সাইকোলজি টা ভাল সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে।আপনার প্রিয় মানুষ এর সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে এই টিপসটা ফলো করুন।
৬.সকালে চোখের ঘুম ভাঙ্গানোর ট্রিকস।
সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন চোখের ঘুম ভাব দূর করতে উঠে বসে পড়ুন।তারপর দুই হাত উপরে তুলে জোরে বলুন "ইয়ে"।খেলা দেখার সময় অনেকে তাদের এক্সসাইটমেন্ট যেভাবে প্রকাশ করে সেভাবে আরকি।শুনতে অদ্ভুত লাগলেও,এটা আপনাকে সকালে রিফ্রেশ করতে অনেক কাজে দিবে।দেখবেন তৎক্ষণাৎ ঘুম ভাব চলে যাবে।একদিন চেষ্টা করে দেখবেন।
৭.অন্য কাজে মনোযোগী থাকা লোক দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিন।
ধরুন কেউ অনেক মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করছে,যেমন ফোনে অনেক মনোযোগ দিয়ে কারো সাথে কথা বলছে।তখন আপনি আপনার যেকোনো জিনিস তার হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন।যা সে মনে রাখতে পারবেন না আপনি কখন দিয়েছেন।এমন করে নিজের কাজ আপনি তাকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন।আবার উল্টাটাও হয় তার হাতে থাকা যে কোন জিনিস আপনি নিয়ে নিতে পারবেন।এটাও সে মনে রাখতে পারবে না সে কখন দিয়েছে।
৮.যখন কেউ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে আপনি তখন তার জুতোর দিকে তাকাবেন।
রাস্তায় বা বাস গাড়িতে যখন কেউ এক দৃষ্টিতে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে,তখন আপনিও এক দৃষ্টিতে তার জুতোর দিকে তাকিয়ে থাকবেন।চোখ সরাবেন না।দেখবেন তার মধ্যে ইতস্তত ভাব কাজ করবে,লজ্জা কাজ করবে।আর সে তখন আপনার থেকে চোখ সরিয়ে নিবে।রাস্তাঘাটে বিশেষ করে মেয়েরা এই ট্রিকস টা ফলো করতে পারেন।তাকিয়ে থাকা ব্যক্তির দিকে না তাকিয়ে তার জুতোর দিকে তাকিয়ে থাকবেন।
৯.চিন্তা শক্তির মাধ্যমে ক্লান্তি দূর করুন।
যদি আপনার আগের দিন রাতে ভাল ঘুম না হয় আর আপনি অনেক ক্লান্ত থাকেন,তা হলে মনে মনে ভাববেন আপনার ভাল ঘুম হয়েছে আপনি মোটেও ক্লান্ত না।শুনতে আজব লাগলেও,এটা কিন্তু ১০০% কার্যকারী।কলোরাডো কলেজ একটি পরীক্ষা করে "জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি" বই এ প্রকাশ করেছেন যে,আপনি যদি মনে করেন আপনি খুব ভালো ভাবে রেস্ট নিয়েছেন এবং আপনার মধ্যে কোনো ক্লান্তি নেই,তাহলে আপনার ব্রেন খুব ভাল ভাবে কাজ করে।যা ১০০% প্রমানিত।
১০.প্রিয় জনের সাথে দেখা করার সঠিক সময় কোনটা?
মানুষ সব সময় দিনের শুরুর ঘটনা এবং শেষের ঘটনা মনে রাখে।মাঝ খানে সারাদিন যা হয় তা কিন্তু এত একটা মনে রাখে না।তাই সব সময় চেষ্টা করবেন কারো সাথে দেখা কিংবা জরুরি কোন মিটিং,চাকরির ইন্টারভিউ সকালে বা বিকালে করতে।এতে করে আপনার সাথে থাকা মানুষ আপনাকে মনে রাখবে সব সময়।