কথা বলার জড়তা কাটাতে করনীয়

মঞ্চে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের মাঝে কথা বলতে গিয়ে হাঁটু কাঁপতেই পারে। হাত ঘামা, বুক ধড়ফড়, গলা কাঁপা, কথা আটকে যাওয়া ইত্যাদিসহ আরও নানান অভিজ্ঞতা হতে পারে। কারও আবার গলার আওয়াজ পাল্টে যায়।  ‘ভোকাল ফোল্ডস’ নামক এক ধরনের ত্বক-কোষ আমাদের বায়ুনালী পরিবেষ্টিত রাখে। যার কাজ হল এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। জনসমাগমে কিছু বলতে গিয়ে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করলে স্বরতন্ত্রীর চারপাশের পেশি সঙ্কুচিত হয়ে, হয় খুলে যেতে কিংবা বন্ধ হতে চাপ প্রয়োগ করে। ফলে কথা আটকে যায়, বলতে কষ্ট হয়, যা আরও মানসিক চাপ বাড়ায়। এই কারণে শরীর কাঁপে, ঘামতে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘স্প্যাজমোডিক ডিসফোনিয়া’। যে কারণে মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মানসিক অস্বস্তিজনীত সমস্যাগুলোও অনুভূত হতে শুরু করে। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর হয়, কথা আটকে যেতে পারে প্রতিটি শব্দে।  

করণীয়

👄যে কোনো এক হাতের তর্জনী মুখের কয়েক ইঞ্চি দুরে ধরে রাখতে হবে। এবার একটি লম্বা দম টানতে হবে। দম যখন ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইবে তখন দম ছাড়ার সময় পাঁচ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় ধরে ‘উহ হু’ শব্দটি করতে হবে।

👄সাধারণ সময় ছাড়াও জনসম্মুখে দাঁড়ানোর আগে তিন থেকে চার বার এই অনুশীলন করতে পারেন।

👄অনুশীলনটির বর্ণণা শুনতে খামখেয়ালি মনে হলেও এর মাধ্যমে স্বরতন্ত্রী খুলে যাবে। আর লম্বা শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ‘ভোকাল ফোল্ড’ শিথিল হবে। কথার বলার জড়তা কমবে, বায়ু চলাচল সুগম হবে, কণ্ঠ হবে বলিষ্ঠ। কথা বলার সময় জড়তা দেখা দিলে সেখানেও লম্বা দম নেওয়া উপকারী হবে। এতে হৃদস্পন্দন মন্থর হবে।

উচ্চারণের জড়তা কাটাতে মুখের ব্যায়াম

কথা বলার সময় কারো কারো উচ্চারণে সমস্যা হয়। এমনিতে হয়তো ঠিকই আছে, তবে দ্রুত কথা বলতে গেলে আটকে যান কেউ কেউ। কারো আবার নির্দিষ্ট কোন কোন শব্দ উচ্চরণে সমস্যা হয়। এটি খুব জটিল কোনো সমস্যা নয়। একটু সচেতন হলেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু ব্যায়ামের। ব্যায়ামগুলো মুখের। কীভাবে করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-
জিভের সঠিক ব্যবহার:

উচ্চারিত শব্দ বা বাক্যকে কন্ঠ দিয়ে মানুষের কানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জিভের একটা বড় ভূমিকা আছে। মুখের মধ্যে জিভ এর ঠিকঠাক নড়াচড়া এবং কণ্ঠকে সহায়তা করার জন্য জিভের ও কিছু কিছু অনুশীলন করা যেতে পারে-


জিহ্বার ব্যায়াম:

১. একটি পরিষ্কার কাঠপেন্সিল মুখে নিন। দুই পাটির দাঁত দিয়ে সমান্তরালভাবে কামড়ে ধরে বই পড়া শুরু করুন, যতক্ষণ আপনার ভালো লাগে।

২. জিহ্বাকে সামনের দিকে টান টান করবেন, যতটা পারা যায়।

৩. ভেতরের দিকে টেনে নিয়ে যান, যতটা সম্ভব।

৪. মুখ হা করে জিহ্বাকে টান টান করে চারিদিকে ঘুরাতে থাকুন। প্রথমে ঘড়ির কাটার দিকে কিছুক্ষণ। পরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে কিছুক্ষণ।

৫. মুখ বন্ধ করে চারিদিকে জিহ্বাকে ঘুরাতে থাকুন। প্রথমে ঘড়ির কাটার দিকে কিছুক্ষণ। পরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে কিছুক্ষণ।

৬. জিহ্বাকে চুইংগাম-এর মত চিবোতে থাকুন। ডানে বায়ে ঘুড়িয়ে। যতক্ষণ ভাললাগে।

৭. জিহ্বাকে মুখের বাইরে তড়িৎ গতিতে ছুড়ে মারুন। এভাবে করতে থাকবেন কিছুক্ষণ।

৮. মুখ হা করুন, যত বড় করা যায়।

৯. মুখ গোল করে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরান। এভাবে প্রতিদিন কয়েকবার করে করবেন।

১০. দাঁতের ভেতর দিকের অংশকে বাঁ দিক থেকে ডান দিকে জিভ দিয়ে স্পর্শ করা। এক্ষেত্রে ওপরের এবং নিচের দাঁতের মাড়িতে স্পর্শ করতে হবে।

১১. দাঁতের ঠিক নিচে ভেতর দিকে মাড়ির যে অংশ তা জিভ দিয়ে স্পর্শ করতে হবে।

১২. জিভকে সম্পূর্ণ উল্টে আলজিভের দিকে যতদূর নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা করা।

১৩.উপরের যে তালু রয়েছে যাকে আমরা টাকরা বলি তাকে জিভ দিয়ে চাটার মত করে বোলানোর চেষ্টা।


বক্তৃতার স্কেল : 

অনেকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রারম্ভেই হাই-স্কেলে (উচ্চকণ্ঠে) কথা বলা শুরু করে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই স্কেলটা বজায় রাখে। কিন্তু, না। গানের যেমন তাল, লয় আছে, ঠিক তেমনি বক্তৃতারও তাল, লয় আছে। অতএব, সেই তাল, লয় ঠিক রেখে বক্তৃতা করতে হবে। অর্থাৎ বক্তৃতার প্রারম্ভে স্বাভাবিকভাবে খানিকটা শান্ত নমিত কণ্ঠে বক্তৃতা শুরু করতে হবে। তারপর যেখানে জোর দিয়ে কথা বলার মতো, সেখানে একটু উচ্চ কন্ঠে কথা বলবে।বক্তৃতার অন্তিম মুহূর্তে এসে সমস্ত বক্তব্যের মূলভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। কিছুটা আবেগ মিশিয়ে কথাগুলো বলবেন। আর সমাপ্তি বাক্যগুলো খুব মনোহর ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করবে্ন। কেননা বক্তৃতার শেষ লগ্নের কথাগুলোই শ্রোতাদের মনে বেশি দাগ কাটে। বক্তৃতার সময় শ্রোতাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কথা বলবেন।

বিভিন্ন জনসভা অথবা সেমিনারের মঞ্চে ওঠার আগে প্রথম প্রথম বক্তৃতা শেখার একটি চমকপ্রদ শৈলী হলো, কোনো নির্জন প্রান্তরে, প্রভাতে বাড়ির ছাদে, পুকুর বা নদীর ধারে, রাত্রিবেলা বাড়ির সামনের উঠোনে অথবা পড়ন্ত বিকেলে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মন খুলে বক্তৃতা অনুশীলন করা।

 

স্বর প্রক্ষেপণ

প্রতিটি শব্দের উচ্চারণে আনতে হবে স্পষ্টতা। উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী প্রতিটি বর্ণের উচ্চারণ করতে হবে।এটি কোন দ্রুততম সময়ে সম্ভব নয়। বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে নির্ভূল উচ্চারনের নান্দনিকতা শিল্প হয়ে উঠে। 

সাধারণত প্রক্ষেপণ অনুযায়ী স্বরকে কে পাঁচভাগে ভাগ করা হয়।

১) অ্যাবডোমেন বা নাভি থেকে প্রক্ষেপণঃকোন গভীর স্বরে কথা বা গম্ভীর হয়ে বলা কিংবা দীর্ঘনিঃশ্বাস এর সাথে ভেতর থেকে উচ্চারিত কথা আসে নাভি থেকে স্বরক্ষেপণ এর মাধ্যমে।

২) লিপটাং বা মুখ গহ্বর থেকে প্রক্ষেপণঃস্বাভাবিক কথাবার্তা বলার সময় মুখগহ্বর থেকেই স্বর প্রক্ষিপ্ত হয়।একজন অভিনেতা বা আবৃত্তিকার সাধারণত যে স্বরে কথা বলেন সেটি তার ক্ষেত্রে লিপটাং থেকে উদ্ভূত।

৩) হুইসপারিং বা ফিসফিস করে প্রক্ষেপণঃযখন কোন কথা গোপনে বা আবেগে বুঝে আসা গলায় ব্যবহৃত হয় তখন ফিসফিস করে বলা হয়।

৪) ন্যাজাল বা নাকের সংস্পর্শে প্রক্ষেপণঃ দূরের কাউকে ডাকার সময় আমরা একটু নাকঘেঁষা স্বর প্রক্ষেপণ করে থাকি। যাকে ন্যাজাল বলি। আবদারের অভিব্যক্তি বোঝাতে এই স্বরক্ষেপণ প্রয়োজনীয়।

৫) হেড রেজিস্টার বা মস্তিষ্ক ছুঁয়ে নাক-মুখ জিহ্বা দিয়ে প্রক্ষেপণঃ যন্ত্রণা বা আর্তি, অসহ্য ক্রোধ বোঝাতে যে ধরনের স্বরক্ষেপণ করা হয় তা যেন আমাদের নাক,মুখ সব স্থান দিয়ে বেরোতে থাকে। আবার মস্তিষ্কের সঙ্গে তার যেন একটা সরাসরি যোগ থাকে। একে বলে হেড রেজিস্টার।


নাকের সঠিক ব্যবহার:

কন্ঠকে সঠিক রাখার জন্য নাক সব সময় খোলা থাকা প্রয়োজন। আমরা বলতে পারি,নাক যদি না খোলা থাকে তাহলে 'ন'উচ্চারণ সব সময় 'ল'শোনায়। তাই নাকি এর কোনো জটিলতা বা অসুস্থতা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

 

ঠোঁট, দাঁত, মূর্ধার সঠিক ব্যবহার:

কন্ঠের অনুরণন এর জন্য এগুলি রেসোনেটারের এর কাজ করে।তাই যদি কারো দাঁতের সমস্যা থাকে অথবা তার দাঁতগুলো যদি বানানো হয় সে ক্ষেত্রে কণ্ঠস্বরে তা ধরা পড়ে।আবার কারো যদি ঠোঁটে কোন সমস্যা থাকে জন্মগতভাবে সে যদি ঠোঁট কাটা হয় স্বরক্ষেপণ এ অবশ্যই তার প্রভাব পড়বে।

 

কণ্ঠস্বরের অসুখ:

১) ল্যারিনজাইটিস-একে লারিংস এর প্রদাহ বলে। হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, সাইনাসটিস,টনসিল সহ মুখ ও নাক-কান-গলার নানা অসুখে যারা ভোগেন তাদের অতিরিক্ত চিৎকার-চেঁচামেচি বা নেশা বা ঋতু পরিবর্তনের সময় এই রোগ হয়ে থাকে। লারিংস এর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ দেখা যেতে পারে বিকৃত স্বরে কথা বললে বা অতিরিক্ত কথা বললে বা ওষুধ থেকে বা ধোঁয়া,ধুলোর পরিবেশে বসবাস করলে। জীবিকার জন্য যারা স্বরের ওপর নির্ভর করেন যেমন-উকিল,শিক্ষক,পেশাদার অভিনেতা,হকার বা গায়ক-গায়িকাদের সকলেরই কিন্তু স্বরের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

২)ডিসফাসিয়া: মস্তিষ্কে নানা অসুখে গলার স্বর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।মোটর ডিস্ফাসিয়া তে রোগী সব দেখতে পারে বুঝতে পারে লিখতে পারে কিন্তু সেই চিন্তাগুলোকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। আবার সেনসরি ডিসফাসিয়া তে রোগী অপরের কথা বুঝতে পারে না ফলে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে না।

৩)ডিসফোনিয়া-নানা কারণে গলা ভেঙে দিতে পারে বা বসে যেতে পারে। অনেক সময় বেশী জোর দিয়ে কথা বলতে গেলে হঠাৎ করে স্বরের তন্তুতে সংকোচন হয় ফলে কথা বন্ধ হয়ে যেতে পারে একে মোগিফোনিয়া বলে।

৪) ডিসারথ্রিয়া-কথা বলার জন্য যেসব মাংসপেশি যেমন তালু,দাঁত বা অন্যান্য অঙ্গ কাজ করে তাদের কোন বিকৃতি ঘটলে কথা বলার অসুবিধে হয়। ফলে বিকৃত স্বর উৎপন্ন হয়।

 

কন্ঠের যত্ন নিতে গেলে অবশ্যই করণীয় কিছু কর্তব্য:

১) অযথা চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয় এতে ভোকাল কর্ডে চোট লাগতে পারে।

২) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অর্থাৎ ধোঁয়া-ধুলো গলার ক্ষতি করতে পারে। তাই এ থেকে সর্তকতা জরুরি।

৩) ধূমপানসহ সব ধরনের নেশা বর্জন করা জরুরি।

৪) খুব গরম বা খুব ঠান্ডা জিনিস খেলে বা হঠাৎ খুব ঠাণ্ডা বা গরম পরিবেশে গেলে গলা ধরে যেতে পারে। এগুলো থেকে নিজেকে এড়িয়ে চললেই ভালো।

৫)শ্বাস পথে, ল্যারিংসে বা গলা বা মুখের ভেতর কোনো অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।

৬)যারা পেশার জন্য স্বরকে ব্যবহার করেন,যেমন- শিক্ষক, উকিল,হকার,কন্ডাক্টর বা অভিনেতা তাদের নিজেদের গলা কতটা উঠতে পারে অর্থাৎ ভোকাল সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। নিজের সীমার বাইরে গলা তোলা উচিত নয়।

৭) গায়ক বা অভিনেতা বা আবৃত্তিকাররা এসব ক্ষেত্রে সব সময় ট্রেনারের সাহায্য নেবেন।

৮) গলা ভেঙে গেলে সবথেকে বড় চিকিৎসা মনে হয় গলা কে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া। এক্ষেত্রে একেবারেই কথা বলা যাবে না আর অবশ্যই গলায় ভাপ নিতে হবে নুন জলে প্রয়োজনমতো গারগেল করতে হবে।

৯) অনেক সময় আমরা দেখি কিছু জন বিশিষ্ট মানুষদের অনুকরণ করেন। বিশিষ্ট মানুষদের গলার নকল করার প্রয়োজন নেই এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজস্বতা হারিয়ে বিপদের মুখে পড়তে পারেন।


উপস্থাপনা শৈলী

মূলত যিনি উপস্থাপনা করবেন তাকে সবদিক থেকে চিন্তা করে সাবলীল হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আনতে হবে। মঞ্চে এমনভাবে দাঁড়ানো যাবে না যাতে আপনাকে বোকা বোকা লাগে আবার খুব বেশি অহংকারি মনে হয়। সাধারণত উপস্থাপনারে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় যে, মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে, নিজেকে বোকা দেখাচ্ছে বলে ধারণা হতে থাকে, অহেতুক তাড়াহুড়োভাব এবং ভুল হয়ে যায়। সর্বোপরি দর্শকশ্রোতা বিরক্তবোধ করছেন বলে মনে হতে থাকে। আমরা যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি একটু দৃষ্টি দিই তাহলে উপস্থাপনা সাবলীল হবে ।

১. নিজের পোশাক ও অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। কোন ধরনের পোশাক পরবেন, আপনার হাঁটাচলা, নড়াচড়া, কথা বলা সবকিছুতে স্বাচ্ছন্দ্য আছে কি না পরখ করুন। গলা শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পানি খেয়ে নিন। অহেতুক উষ্ণতা বা গরমবোধ যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিন। উত্তেজক খাদ্য পরিহার করুন। অতিরিক্ত মেকআপ না নেয়া সবচেয়ে ভালো। আত্মবিশ্বাসী থাকুন। তবে কখনো জ্ঞানীর ভূমিকা নিতে যাবেন না। 

২. যে বিষয়ে উপস্থাপনা করবেন সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিন। যদি অতিরিক্ত গবেষণার আবশ্যক হয় তা সম্পন্ন করুন। সময় সম্পর্কে সচেতন থাকুন অর্থাৎ কতটুকু সময় ধরে কথা বলা দরকার তা ঠিক করুন। 

৩. কারা এই অনুষ্ঠানের দর্শক শ্রোতা হয়ে এসেছেন? কী জন্য এবং কিসের আগ্রহে তাঁরা এসেছেন? সংখ্যায় তাঁরা কত হতে পারে? তাঁরা কি আপনার ভাষা ও কথা সহজভাবে বুঝতে পারেন অর্থাৎ আপনি কি তাঁদের কাছে আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে নিয়ে যেতে সক্ষম? 

৪. প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠানটি কোথায় আয়োজিত হচ্ছে? সেখানের আসন ব্যবস্থা ও মঞ্চ কেমন? দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে পৌঁছুনোর সুব্যবস্থা আছে কি না? বিদ্যুৎ ও আনুষঙ্গিক সহযোগগুলো আছে কি না? উপস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমগুলো সচল বা কর্যকর আছে কি? প্রোগ্রাম বা অনুষ্ঠান ঘোষিত সময়ে আয়োজন করা গেলে দর্শক-শ্রোতাকে বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা করে যা একজন উপস্থাপকের জন্য একটি ইতিবাচক সুবিধা। 

৫. অনুষ্ঠানের সঙ্গে আপনার উপস্থাপনার বিষয়টি মানানসই আছে কি এবং কিভাবে তা ভেবে দেখা দরকার। দর্শক-শ্রোতা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন তা দৃষ্টিতে রাখা। যদি তেমন হয়ে থাকে তাহলে তাঁদের উজ্জীবিত করার জন্য অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিলে যায় এমন বিকল্প উপস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। 

৬. কিভাবে উপস্থাপনা করছেন? মাইক্রোফোনে? কোনো ওভারহেড প্রজেক্টর বা অন্যকোনো অডিও-ভিজুয়াল ব্যবহার করে থাকলে আগে থেকে তার অপারটিং পদ্ধতি শিখে রাখুন। 

৭. দর্শকশ্রোতাদের কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছেন তার একটি আনুমানিক চিত্র মনে মনে আঁকতে পারেন। অথবা তাঁদের মাঝে যে প্রতিক্রিয়া তৈরিতে উপস্থাপনা করছেন তা অনুমান করুন ও উদ্বুদ্ধ হোন।


দর্শকদের হতবাক করুন

আপনার দর্শকদের হতবাক করার অনেক উপায় আছে, উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি মজার ভিডিও দেখাতে পারেন, একটি প্রপ ব্যবহার করতে পারেন, শ্রোতা সদস্যদের সাথে কথা বলে শুরু করতে পারেন, কিছু উপহাস করতে পারেন ইত্যাদি। কিন্তু নিশ্চিত করুন যে আপনার ধাক্কাটি কাঙ্খিত প্রভাব ফেলবে – আপনি চান দর্শকরা নিযুক্ত থাকুক কারণ তারা সারপ্রাইজটি পছন্দ করেছে বা তারা এটিকে আকর্ষণীয় বলে মনে করেছে এবং আপনি তাদের বিরক্ত করেছেন তাই তারা আপনার যুক্তিতে ত্রুটি খুঁজছেন বলে নয়। আবার, শক আপনার উপস্থাপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার দর্শকদের জন্য উপযুক্ত হতে হবে।

 

ভবিষ্যতে বা অতীতে আপনার উপস্থাপনা শুরু করুন

আপনি অতীত সম্পর্কে কথা বলে দর্শকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারেন – যেগুলি ভাল করা হয়েছিল বা যেগুলি কাজ করেনি সেগুলি থেকে পাঠগুলি ব্যবহার করে৷ উদাহরণস্বরূপ, আপনি শ্রোতাদের মনে করিয়ে দিতে পারেন যে কখন দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছিল বা কখন ভুল করা হয়েছিল যার ফলে দেশটি অর্থনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছিল।

 

একটি প্রবাদ উদ্ধৃত করুন

আপনি যদি একটি শক্তিশালী খোলার বাক্য তৈরি করতে সংগ্রাম করছেন তবে কাউকে উদ্ধৃত করার কথা বিবেচনা করুন। যাইহোক, আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে কারণ আপনি ক্লিচ শব্দের ঝুঁকি নিতে পারেন এবং উদ্ধৃতিটি অবশ্যই অর্থপূর্ণ এবং শ্রোতাদের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে এবং আপনার উপস্থাপনার উদ্দেশ্য। আপনি যদি স্লাইড ব্যবহার করেন তাহলে উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় পাঠ্যের পরিবর্তে একটি ফটো দেখান। এটি দর্শকদের সাহায্য করবে:


একটি গল্প বা কৌতুক বলুন, বা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করুন

আপনার বিষয় কেন তাৎপর্যপূর্ণ তা হাইলাইট করার জন্য আপনি একটি গল্প দিয়ে শুরু করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি বিষয়টি শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের উপর পোষা প্রাণীর সুবিধার উপর হয়, তাহলে আপনি এমন একজন ব্যক্তির সম্পর্কে একটি গল্প বা একটি অধ্যয়ন উপস্থাপন করতে পারেন। শ্রোতারা ঘটনাগুলির তালিকার চেয়ে এই গল্পটির প্রতি আরও ভাল সাড়া দেওয়ার এবং মনে রাখার সম্ভাবনা বেশি।

ব্যক্তিগত গল্প শেয়ার করুন

শ্রোতারা গল্প উপভোগ করেন এবং যখন গল্পটি সরাসরি আপনার, বক্তা সম্পর্কে হয় তখন তারা আরও বেশি আগ্রহী হয়; কারণ তারা আপনার মানবিক দিকটি দেখতে পায়। আপনি যে ভুল করেছেন বা যখন জীবন ঠিকঠাক চলছিল না সে সম্পর্কে একটি গল্প বলার কথা বিবেচনা করুন – যদি আপনার উপস্থাপনার লক্ষ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক হয়। লোকেরা এটির সাথে সম্পর্কিত হবে কারণ আমরা সকলেই ভুল এবং ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা পেয়েছি। শ্রোতারা আপনার সাথে যত বেশি সম্পর্কযুক্ত, তত বেশি তারা জড়িত থাকবে। এই গল্পগুলি হাস্যরসাত্মক ভাবেও বলা যেতে পারে যদি এটি আপনাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং আপনি একটি ব্যক্তিগত গল্প প্রকাশ করছেন বলে একটি রসিকতা বলার তুলনায় ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা কম থাকে।

তাদের সমস্যা বা সুযোগ নির্দেশ করুন

আপনার দর্শকদের ব্যথার পয়েন্টে আপনার আঙুল রাখা তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার আরেকটি উপায় । উদাহরণস্বরূপ, আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন “আপনি কি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে লেগে থাকা কঠিন বলে মনে করেছেন?” শ্রোতারা এখন নিযুক্ত থাকতে চাইবে কারণ তারা সমাধান এবং আপনি যে সুযোগগুলি অফার করছেন তা জানতে চান।

একটি ভিডিও দিয়ে শুরু করুন

একটি পূর্ব-প্রস্তুত ভিডিও একটি শক্তিশালী উপস্থাপনা ওপেনিং প্রদান করতে পারে এবং আপনি কথা বলা শুরু করার আগে লোকেদের মনোযোগ দিতে পারেন। কিছু স্পিকার একটি ভিডিও দেখায় যখন শ্রোতারা আসছে এবং স্থির হচ্ছে – তারা ভিডিওতে প্রতিফলিত করে শুরু করতে পারে।

পরিসংখ্যান

আপনি একটি আশ্চর্যজনক পরিসংখ্যান শেয়ার করে শুরু করতে পারেন যা । তবে নিশ্চিত করুন যে আপনি পরিসংখ্যানের জটিল ডেটা ব্যবহার করবেন না বিশেষ করে ভূমিকাতে; তাতে আপনি দর্শক হারাতে পারেন।


🥵 একটি শক্তিশালী ওপেনিং প্রস্তুত হলে আপনি আপনার উপস্থাপনার বাকি সময় অনেক কম নার্ভাস বোধ করবেন

 


উপস্থাপনা  শুরু করা

অতিথিদের উপস্থিত হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা বার্তা

যেহেতু আপনি একটি মঞ্চের উপস্থাপক। তাই আপনাকে অবশ্যই সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নানা দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনো ধরনের গন্ডগোল সৃষ্টি না হয় এবং আপনাকে অবশ্যই নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে সেই সাথে আপনাকে শক্তভাবে এবং নার্ভাস হলে চলবে না। প্রধান অতিথি দের আসার শুরু হলে এবং তাদের উপস্থিত হওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে যে দিক গুলো ফলো করতে হবে আমরা সেগুলো নিচে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম। প্রধান অতিথি ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন আমরা আজকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অমুক তাকে আমরা আজকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বা স্বাগত জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা এই বিষয় নিয়ে আপনি কথা বলতে পারেন। অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত আছেন এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই ঘোষণা দিতে হবে সেই ক্ষেত্রে প্রধান অতিথির নাম সবার আগে বলতে হবে এরপর পদমর্যাদার ভিত্তিতে জিনিস তার নাম বলতে হবে এরপর ক্রমানুসারে নাম বলতে হবে যদি দেখা যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আছেন, বিশেষ অতিথি আছেন, সেই ক্ষেত্রে প্রধান অতিথির নাম আগে বলবেন এবং বিশেষ অতিথির মধ্যে যদি 3-4 জন থাকে বা দুজন থাকে সে ক্ষেত্রে কার নাম আগে বলবেন কার নাম পরে বলবেন এ বিষয়ে সেরা আয়োজন কমিটির সাথে আপনি কথা বলে নেবেন সে ক্ষেত্রে যেটা হয় সেটা হচ্ছে পদমর্যাদার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আগে-পরে হয় বিষয়গুলোতে বিষয়টা বন্ধুরা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।

নিজের পরিচয় প্রদান

উপস্থাপন শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে আপনার পরিচয় প্রদান করতে হবে। আপনার পরিচয় সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তারা আপনার বক্তব্য শোনার আগে আপনার পরিচয় জানতে চাইবে ।তাই সুন্দরভাবে সৃজনশীল ভাবে আপনার পরিচয় প্রদান করে শ্রোতাদের আপনার বক্তব্য শোনার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।


সুন্দরও স্পষ্ট বচনভঙ্গি
একজন ভোক্তার উপস্থাপনা তখনই শ্রুতিমধুর হয় যখন তার ভাষায় জ্ঞান ও স্পষ্ট  বচনভঙ্গি ঠিক থাকে। স্পষ্ট বচনভঙ্গি আপনার বক্তব্যকে অনেক সুন্দর ও সাবলীল করতে পারে। আপনার বক্তব্য হবে অনেক সাজানো এবং স্পষ্ট বাচনভঙ্গির। যদি আপনার বক্তব্য স্পষ্ট বচনভঙ্গিতে না হয় তাহলে শ্রোতাদের কাছে অনেক বিরক্তিকর মনে হয়। তাই স্পষ্ট বচন ভঙ্গিতে বক্তব্য প্রদান করে সঠিক সময়ের মধ্যে আপনার উপস্থাপনা শেষ করুন। তাহলেই আপনার বক্তব্য সুন্দর এবং সাবলীল হবে।


নিজের মধ্যে আঞ্চলিকতা পরিহার করা
উপস্থাপনা করার জন্য উপস্থাপককে অবশ্যই সাবলীল ভাষায় কথা বলতে হবে। তার ভাষা জ্ঞান ও দক্ষতা অনেক বেশি উন্নত হতে হবে। আপনি যখন বক্তৃতা প্রদান করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে আঞ্চলিকতা পরিহার করতে হবে। সাধু চলিত এবং আঞ্চলিকতা সংমিশ্রণ ঘটা তাহলে আপনার বক্তব্য শুনতে শ্রুতিকুট হবে। স্রোতাদের কাছে আপনার বক্তব্য বিরতিকর মনে হবে। তাই বক্তব্য প্রদানের সময় অবশ্যই আপনাকে আঞ্চলিকতা পরিহার করতে হবে।


উক্তি বা কোটেশন ব্যবহার করা
আপনি যখন উপস্থাপনা করতেছেন আপনার উপস্থাপনাকে স্মৃতিমধুর করতে অবশ্যই মাঝে মাঝে আপনাকে বিখ্যাত কবি বা মানসীদের উক্তি বা কোটেশন ব্যবহার করতে হবে। সুন্দর সুন্দর উক্তি আপনার বক্তব্যকে আরো শ্রুতিমধুর করতে পারে। শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এবং পুরো অনুষ্ঠানের মনোযোগ বক্তার দিকে বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই আপনি উপস্থাপনার সময় উক্তি বা কোটেশন ব্যবহার করতে পারেন।


পর্যাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করা
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান জুড়ে একজন উপস্থাপক অনুষ্ঠানটিকে রোমাঞ্চকর এবং চাঞ্চল্যকর ভাবে সম্প্রচারণ করে তার উপস্থাপনার মধ্যে। উপস্থাপককে অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এই অনুষ্ঠানটি কত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে উপস্থাপকের অবশ্যই সময় জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। পর্যাপ্ত তথ্য এবং উপাত্ত ব্যবহার করে বক্তৃতা প্রদান করতে হবে।


কন্ঠের অনুভূতি প্রকাশ করা
একজন উপস্থাপকের উপস্থাপনার তখনই দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করে যখন তার কন্ঠের অনুভূতি প্রকাশ পায়। উপস্থাপককে উপস্থাপনার পূর্বে কণ্ঠের চর্চা করতে হবে। সুন্দর কন্ঠ এবং বচনভঙ্গি উপস্থাপনাকে সুন্দর সাবলীল এবং চাঞ্চল্যকর তৈরি করে।


শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ তৈরি করা

আপনার উপস্থাপনায় শ্রোতাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর বক্তব্য প্রকাশ করতে হবে। দর্শকের সম্পর্কিত ভালো ভালো তথ্য প্রদান করতে হবে। তাহলেই দর্শকরা অনেক বেশি উৎসাহিত হবে এবং অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে উপস্থাপকের সমস্যা হবে না বরঞ্চ আনন্দ ও উৎসাহের মধ্যে দিয়ে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে পারবে।

ইসলামিক উপস্থাপনা

ইসলামিক উপস্থাপনা প্রদান করতে আপনাকে শুরুতেই লক্ষ্য রাখতে হবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উপর। তাদের অনুমতি নিয়ে আপনাকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে। শুরুতেই আপনাকে সালাম দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে হবে। ইসলামিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার সময় অবশ্যই আল্লাহকে স্মরণ করে আপনি আপনার উপস্থাপনা প্রদান করবেন। অনেক ইসলামিক উক্তি ব্যবহার করে আপনি দর্শকের আকর্ষণের জন্য উপস্থাপনা প্রদান করতে পারেন। নিচে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক উক্তি প্রদান করা হলো।

ছন্দে ছন্দে উপস্থাপনা

এসেছে বৈশাখ ,এসেছে আনন্দ। আমরা বাঙালিরা পহেলা বৈশাখ শুরু করে নানা ধরনের উৎসব উদযাপন করি। সকল উৎসবে উপস্থাপনার জন্য ছন্দ উপস্থাপন করতে পারি। এই সকল ছন্দে আপনাদের বক্তব্য অনেক সুন্দর ও সাবলীল হবে। শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আকর্ষণীয় ছন্দ রচনা করে আপনি আপনার উপস্থাপনা প্রদান করতে পারেন। কোন ধরনের ছন্দ উপস্থাপন করা হলো।


উপস্থাপনা সমাপ্তি করার নিয়ম

সাধারণত আপনারা যে বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করতেছেন অথবা যে বিষয়ে কথা বলেন না কেন সেই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ শেষ করার মাধ্যমেই আপনাকে উপস্থাপন সম্পন্ন করতে হবে। আপনাদের নির্ধারিত সকল কার্যক্রম শেষে অবশ্যই প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি এছাড়াও উপস্থিত সকল সদস্যগনের মতামত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানতে হবে তবে কিছু নিয়ম আছে যে নিয়ম অনুসারেই আপনাকে অবশ্যই সেই নিয়ম পালন করে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটাতে হবে।