--:: ভিটামিন সম্পর্কীত ::-- 


 হেল্থ টিপস্-১  ▌ ভিটামিন ডি-এর জন্য সানবাথ করুন: 

ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় ক্ষয় ইত্যাদি হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলোক রশ্মির মাধ্যমে  মানবদেহের চর্মে উৎপন্ন হয়। এ ছাড়া ভোজ্য তেল, দুগ্ধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য, বিভিন্ন মাছের তেল, ডিমের কুসুম, মাখন, ঘি, চর্বি ও মাংসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি অস্থি ও দাঁতের কাঠামো গঠন করে, রক্ত প্রবাহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের সূর্যের আলোয় প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট থাকতে হবে এবং বোরকা পরা মেয়েদের যতটা সম্ভব জানালার পাশে সকাল ৯টা-১০টায় রোদ পোহাতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-২ ▌কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরে কী সমস্যা হয়?: 

সামান্য আঁচড় বা আঘাতেই ত্বক কেটে গেলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন সি’র (ঠরঃধসরহ ঈ) অভাব রয়েছে। এ ছাড়া রুক্ষ ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। টক জাতীয় খাবার এই ভিটামিন স্থির অভাব মেটাতে সক্ষম। শীতকালে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া বা ফেটে যাওয়া ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। তবে শরীরের ভিটামিন বি-১২-এর (ঠরঃধসরহ ই১২) ঘাটতি হলে যে কোনও ঋতুতেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলে খুশকি হওয়ার অর্থ হল শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব ঘাটতি হয়েছে। এ ছাড়াও বিটামিন বি’র (ঠরঃধসরহ ই) অভাবে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে শরীরে কপারের অভাব। এ জন্য কাজুবাদাম, মাশরুম ইত্যাদি কপারযুক্ত খাবার খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা বা লিভারের সমস্যার কারণেও অকালে চুলে পাক ধরতে পারে। সারাদিন শরীর অবসাদগ্রস্ত থাকা ভিটামিন ডি’র (ঠরঃধসরহ উ) অভাবে হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-৩ ▌ভিটামিন বি১২ কেন প্রয়োজন?: 

ভিটামিন বি১২ আমাদের শরীরের রক্তকণিকা তৈরি, সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য প্রয়োজন। শরীরের ¯œায়ু যেন ঠিকভাবে কাজ করে সেক্ষেত্রে ভিটামিন বি১২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্যামন ফিস, টুনা ফিস, মুরগি, ডিম, পনির, দই এবং দুধে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। কিন্তু সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় গরুর কলিজা থেকে। ডিমে মাছ বা মাংসের মতো ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায় না। ভেজিটেবল বা শাকসবজিতে ভিটামিন বি১২ থাকে না। ভিটামিন বি১২ অভাব হলে- ভিটামিন বি১২ এর পরিমাণ কমে গেলে মাংসপেশির শক্তি কম হতে পারে। আপনি দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন  ভিটামিন বি১২ এর অভাবজনিত কারণে ডিপ্রেসন বা হতাশা, কনফিউশন, মেমোরি সমস্যা এবং ডিমেনসিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে ঘাঁ, মাড়ি অথবা জিহ্বায় ঘাঁ অথবা আলসার দেখা যেতে পারে খাবারে অরুচি, অতিরিক্ত ওজন হারানো, রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-৪  ▌যে ৪ টি লক্ষণে বুঝে নিন আপনি ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন: 

১) ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব দেহে হলে দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়ার লক্ষণটি দেখা দেয়। সামুদ্রিক মাছ, লাল চালের ভাত, বাদাম, ডিম, মুরগীর মাংস, কলা, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাক রাখুন খাদ্য তালিকায়। ২) মুখের ত্বকে লালচে ও আঁশ ওঠা ধরণের র‌্যাশ এবং অতিরিক্ত চুল পড়া  ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন), ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর অভাবজনিত লক্ষণ। মাছ, ডিম, মাশরুম, ফুলকপি, বাদাম ও কলা খাবেন। ৩) ঠোঁটের কিনার ফেটে যাওয়া ভিটামিন বি৩, বি২ ও বি১২ এবং আয়রন, জিংক ও  গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনের অভাবের লক্ষণ। সামুদ্রিক মাছ, ডিম,ডাল, দই, পনির, ঘি এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাবেন। ৪) হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা বি ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের অভাব। সবুজ শাক, চীনাবাদাম, ডাবের পানি, কিশমিশ, কাজু বাদাম ইত্যাদি খাবেন। 


হেল্থ টিপস্-৫ ▌ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ১০টি খাদ্য উপাদান: 

১) পটাসিয়াম:  কলা, আলু ইত্যাদির মধ্যে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। ২) ম্যাগনেসিয়াম: কাঠবাদাম, শাক, শিমের বিচি ইত্যাদিতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। ৩) ক্যালসিয়াম: দুধ, দই, মটরশুঁটি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে। ৪) আঁশ: শাকসবজিতে আঁশ পাওয়া যায়। ৫) ভিটামিন-ই: পালংশাক, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদিতে ভিটামিন-ই রয়েছে। ৬) ভিটামিন-সি: আমলকি, কমলা, মাল্টা, ব্রকলি, জলপাই ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন-সি রয়েছে। ৭) প্রোটিন: মাংস, ডাল, দইয়ের মধ্যে প্রোটিন থাকে। ৮)আয়রন: কাঁচা কলা, কলিজা, লতি, ডালিম ইত্যাদির মধ্যে আয়রন রয়েছে। ৯) ভিটামিন-ডি: ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলোতে। এ ছাড়া সামুদিক মাছে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ১০) ভিটামিন-এ: গাজর, লালশাক, আলু ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন-এ রয়েছে।


হেল্থ টিপস্-৬ ▌ যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে: 

১.অতিরিক্ত মেদ কমাতে পারছেন না-দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাবে মেটাবলিক সিস্টেমের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে খাবারের ক্যালোরি চর্বি হয়ে শরীরে জমা হতে শুরু করে। ২. খিটখিটে মেজাজ-কম প্রোটিন গ্রহণের ফলে আমাদের মন, মেজাজ খিটখিটে হয়। প্রোটিনের উপর আমাদের মানসিক অবস্থারও ওঠানামা হতে পারে। ৩. ক্লান্তি-পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে তা আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। ৪. ত্বক, চুল এবং নখের সমস্যা: ত্বক, চুল এবং নখ প্রাথমিক ভাবে প্রোটিন দিয়ে তৈরি, প্রোটিনের ঘাটতিতে ত্বকে লালচে ভাবসহ আরও নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এটি চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, চুল পড়া এবং নখের সাদা হওয়ার কারণও হতে পারে। যার ফলে ত্বকের বলিরেখা ¯পষ্ট হয়ে ওঠে। হাড় এবং পেশি দুই’ই প্রোটিনের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। 


--:: খাবার সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-৭  ▌সকালে খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা:  

১) খালি পেটে পানি খেলে  সহজে পেট পরিষ্কার হয়। ২) সারা রাত ধরে যে রেচন পদার্থগুলো বা টক্সিনগুলো কিডনিতে জমা হয়, সকালে খালি পেটে পানি পান করলে সেই টক্সিনগুলো মলমূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ৩) সকালে খালি পেটে পানি খিদে বাড়ায় এবং  হজমশক্তিওবাড়ে। ৪) ঘুম থেকে উঠে অনেকের মাথাব্যথা করে। শরীরে পানির মাত্রা কমে যাওয়া মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। সারারাত শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যায় না। তাই সকালে উঠে যদি খালি পেটে পানি পানে মাথার যন্ত্রণা দূর হয়। ৫) যারা ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমাতে চান, তারা অবশ্যই এই অভ্যাসটি বজায় রাখবেন কারণ বেশি পানি পানে শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমবে না। ৬) ঘুমের ক্লান্তি কাটিয়ে শরীরে নতুন এনার্জির সঞ্চার হয়। 


হেল্থ টিপস্-৮  ▌খাওয়ার মাঝে বা খাবার পর পর পানি পান ক্ষতিকর:  

খাবার খেতে খেতে পানি পান করা ঠিক নয়। কারণ, আমরা যখন খাবার খাই তখন পাকস্থলী থেকে পাচক রস নির্গত হয়। পাচক রস খাদ্যকে ভেঙ্গে ফেলে আর হজম হতে সহায়তা করে। কিন্তু পানি খেলে রসটা পাতলা হয়ে যায় এবং এটি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। খাবার  ধীরে ধীরে গ্রহণ করা উচিত। সবচেয়ে ভালো খাওয়ার শুরুর ৫-১০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া। খাওয়ার মাঝে এক-দুই চুমুক পানি পান করা ক্ষতির নয়, তবে গ্লাস গ্লাস পানি পান নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারের আধ ঘন্টা পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। খাবার খাওয়ার মাঝে বা খাওয়ার পর পর পানি খেলে শরীরের যেই সকল আ্যসিড দরকার আমাদের পাচন প্রক্রিয়ার জন্য, তা পাতলা ও দুর্বল হয়ে যায় এবং পেটে ঠিক করে পাচন হয় না-যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই অপকারী। আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি পান করলে, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। এতে হতে পারে ব্রেন সোয়েলিংও। 

হেল্থ টিপস্-৯  ▌ঠাণ্ডা পানি পানের অভ্যাস হতে পারে বিপদের কারণ: 

০১. বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ঠা-া পানি পানের অভ্যাস অস্বাস্থ্যকর। কারণ, এর ফলে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয়, যা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ০২. মাত্রাতিরিক্ত ঠা-া পানি পানের ফলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ঠা-া পানি পানে আমাদের স্বাভাবিক পরিপাকক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। ০৩. শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর ঠা-া পানি একেবারেই পান করা যাবে না। এই সময় ঠা-া পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বিঘিœত হয়। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  ০৪. অতিরিক্ত ঠা-া পানি পান করলে ভেগাস ¯œায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। ফলে আমাদের হৃদযন্ত্রের গতি অনেকটা কমে যেতে পারে।


হেল্থ টিপস্-১০  ▌তারুণ্য ধরে রাখতে পানি :  

সুস্থ হৃৎপি- ও কিডনির জন্য  দৈনিক অন্তত দুই/তিন লিটার পানি প্রয়োজন। পানিকে পথ্য বা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে চিকিৎসকেরা প্রায় ৯৫ ভাগ সফল হয়েছেন। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে হাড় জোড়ার ব্যথা এবং দেহের ব্যথা ৮০ ভাগ কমে যায়।

কোল্ড ড্রিংক খেলে হতে পারে জটিল রোগ: কোল্ড ড্রিংকেই প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। আর চিনি পানি ধরে রেখে শরীরকে ভারী করে দেয়। এই অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি ডায়াবিটিস, লিভারের সমস্যা, হৃৎপিন্ডের সমস্যা, হাঁপানি প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।

হাাসের ডিম না মুরগির ডিম খাবেন?: লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে সাদা দিমের তুলনায়। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে রয়েছে ১৮১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। আর মুরগির ডিমে আছে ১৭৩ কিলোক্যালরি।


হেল্থ টিপস্-১১  ▌প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লেবুপানি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে: 

লেবুতে উপস্থিত সাইট্রাস এসিড দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।  এর জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সর্বদা স্ট্র ব্যবহার করে লেবু পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  লেবুর রস সরাসরি পান করলে তা কিন্তু পেটের ভেতর গিয়ে এসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। এর জন্য সর্বদা  খাবারে মিশিয়ে লেবুর রস পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের লেবু এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সাইট্রাস এসিড সমৃদ্ধ ফল গুলিতে টাইরামাইন নামক এক ধরনের পদার্থ থাকে যা শরীরে প্রবেশ করে মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি করে।  অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু পানি পান করলে রক্তে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বাড়বে। যে কারণে আয়রনের পরিমাণও বাড়বে। যা আসলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।


হেল্থ টিপস্-১২  ▌স্তন্যদায়ী মায়েদের যেসব খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়:  

মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় কোন রকম সি ফুড না খাওয়াই উচিত মায়েদের। বেশি সমুদ্রের মাছ খেলে শরীরে বেড়ে যায় মারকিউরি পরিমাণ। মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় বেশিরভাগ ঘরের রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।  দূরে থাকতে হয় প্রসেসসড ফুড থেকে। মা যদি বাইরের খাবার খায়, তাহলে বাচ্চার অ্যালার্জি হতে পারে। বেশি তেল মশলা খাবার না খাওয়াই উচিত মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময়। ¯পাইসি খাবার বেশি খেলে গর্ভস্থ শিশুর সমস্যা হতে পারে। যে সব মায়েরা স্তন্যপান করান, তাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই উচিত। বেশি চা কফি খেলে মায়ের সাথে সাথে বাচ্চাদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে। শিশুরা বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত মাংস থাকে বেশি পরিমাণ ফ্যাট। অতিরিক্ত মাংস খেলে মায়ের ওজন বেড়ে যায়। তাই মাংস জাতীয় খাবার থেকে কিছুটা হলেও বিরত রাখুন নিজেকে। কমলালেবু পাতিলেবু অথবা টমেটোর মত জিনিস  খেলে বাচ্চার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-১৩  ▌ভুঁড়ি ঠেকাতে মেনে চলুন ৬টি নিয়ম:

 ১. খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়, তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।  যার ফলাফল পেটে ভুঁড়ি। আঁশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। প্রতিদিন হালকা পরিশ্রম করুন। ২। খাবার যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে। মোটা মানুষদের একটা বদ অভ্যাস থাকে দ্রুত গিলে খাওয়া, এটা এড়িয়ে চলুন। ৩. কোমলপানীয়ের কার্বন-ডাইঅক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হবার ফলে ভুঁড়ি হয়।  ৪. চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুগার ফ্রি খাবার খেতে চেষ্টা করুন। ৫। ডিম থেকে শাক-সবজি কোনো  ভাজাপুড়া খাবেন না। মাংস যদি খেতে হয়, সাদা মাংস (মুরগী, খাসির মাংস) মাঝে মধ্যে খেতে পারেন।  ৬। সন্ধ্যার মধ্যেই রাতের হালকা খাবার খেয়ে নিন।


 হেল্থ টিপস্-১৪  ▌পেট ভালো রাখতে যা খাবেন, যা খাবেন না:  

আমাদের খাদ্যনালিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক হজম, পুষ্টির শোষণ ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে থাকে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে যায়। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে যতœবান হতে হবে। যেসব খাবার এড়িয়ে যাবেন: * প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। * চিনি, আঠালো সকল খাদ্য, এবং দুধ খাওয়া যাবে না (মাখন এবং ঘি খাওয়া যাবে)। * ফলের রস এবং শুকনো ফল এড়িয়ে যাওয়া ভাল। * সয়া খাওয়া যাবে না তবে ছোলা এবং মসুর ডাল খাওয়া যাবে।  * কলা, ভুট্টা, আলু ও মটর খাওয়া যাবে না। যা খাবেন:  * গাজর, পেঁয়াজ, মূলা এবং মিষ্টি আলু ও বাধা কপি খাবেন। * কমলা, আপেল, জাম্বুরা ও টমেটো,বাদাম ও দই খাওয়া যাবে।  * বাসমতী চাল, বাদামি চাল ও হলুদ খাওয়া যাবে।


হেল্থ টিপস্-১৫  ▌ভাত খাওয়ার পর যে কাজগুলো করতে মানা: 

১. খাবার খাওয়ার পরপরই অনেকে ফল খায়। এটা একদম ঠিক নয়। কারণ এতে বাড়তে পারে এসিডিটি। খাবার গ্রহণের দু’এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া ভাল। ২. অনেকে দেখা যায় খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই ধূমপান শুরু করে। এটা খুবই মারাত্মক খারাপ অভ্যাস। খাবার খাওয়ার পর ধূমপান করলে তা ১০ গুণ বেশি ক্ষতি করে। ৩. খাবার গ্রহণের পর পরই গোসল করবেন না। কারণ খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। যা পরিপাকতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে। ফলে খাবার হজমের স্বাভাবিক সময়কে ধীরগতি করে দেয়। ৪. খাবার পরপরই ব্যয়াম করা ঠিক নয়। ৬. ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়া খুবই খারাপ অভ্যাস। এর ফলে শরীরে মেদ জমে যায়। ৭. খাবার পরেই অনেকে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান। চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড যা খাদ্যের প্রোটিনকে বাড়িয়ে তোলে। 


হেল্থ টিপস্-১৬ ▌যে খাবারগুলো কখনোই অল্প আঁচে অনেক সময় যাবত রান্না করবেন না: 

১) নুডুলস বা পাস্তা জাতীয় খাবারকে কখনো অল্প আঁচে রাঁধবেন না এবং বেশি সময়ও রাঁধবেন না।  ২) শাক কখনো বেশি সময় রান্না করবেন না। এতে শাকের সমস্ত গুনাগুণই শেষ হয়ে যায়। ৩) আলু ছাড়া অন্য কোন সবজিও বেশি সময় রান্না করার প্রয়োজন নেই। কেবল সিদ্ধ হতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময়ই রান্না করুন। বেশি সময় রাধলে পুষ্টিগুণ চলে যায়। ৪) চিংড়ী মাছ কখনোই বেশি সময় নিয়ে রান্না করবেন না। এতে মাছ শক্ত হয়ে যায়। ৫) অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রেও তাই। সেগুলো শক্ত হবে না, তবে বেশি সময় দমে রাখলে মাছ ভেঙে যাবে ও পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়। ৬) দই বা ক্রিম বা দুধ ইত্যাদিও তরকারিতে ব্যবহার করলে বেশিসময় রান্না করবেন না। এতে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ৭)  কোন ধরণের ফলই কখনো বেশি সময় রান্না বা গরম করবেন না।


হেল্থ টিপস্-১৭ ▌খাওয়ার স্যালাইন সবাই খেতে পারবেন?: 

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীর পানি ও লবণ হারায়। খাওয়ার স্যালাইন সেই পানি-লবণের ঘাটতি পূরণ করে। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেক সময় এই খাওয়ার স্যালাইন খাবেন কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। কেননা তাঁদের লবণ কম খেতে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি গ্লুকোজ বা চিনি খেতেও নিষেধ করেন। কিন্তু খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেটে তো লবণ ও গ্লুকোজের মিশ্রণ থাকে!  তাহলে? খাওয়ার স্যালাইনে পানি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ বা শর্করা থাকে। এখানে গ্লুকোজের প্রধান কাজ, অন্ত্রে লবণ শোষণে সাহায্য করা। প্রতি লিটার খাওয়ার স্যালাইনে গ্লুকোজের পরিমাণ ২০ গ্রামের বেশি নয় এবং এর প্রায় পুরোটাই অন্ত্রে লবণ শোষণে ব্যবহৃত হয়ে যায়। তাই ডায়রিয়ায় স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে শর্করা বাড়বেÑএমন ধারণা ঠিক নয়।.


হেল্থ টিপস্-১৮  ▌ডায়েট করলে কি চুল পড়ে?: 

ওজন কমাতে ডায়েট আর ব্যায়ামের কোনো তুলনা নেই। উচ্চতা, ওজন আর খাবার খাওয়ার অভ্যাসের সঙ্গে ওজন বাড়া বা কমা নির্ভর করে অনেকটাই। সমস্যা হচ্ছে, ওজন কমানোর জন্য অনেক সময় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট আছে এমন খাবার বাদ দেওয়া হয়, যা একেবারেই করা যাবে না। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট মানে হচ্ছে পর্যাপ্ত ভিটামিন আর মিনারেলযুক্ত খাবার। প্রতিদিন যতটা মিনারেল আর ভিটামিন প্রয়োজন, তা না খেলে চুল পড়ে যাবে। চুল ঠিক রাখতে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে হবে। তিন বেলা খাবারে অন্তত শাকসবজি, সালাদ থাকা খুবই জরুরি। তাহলে ওজন কমবে আবার সৌন্দর্য নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, ¯েœহজাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরনের বিন, বাদাম ইত্যাদি শুধু চুল মজবুত করবে তা-ই নয়, শরীরে ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করবে। ভিটামিন সি ওজন কমাতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে চেহারায় ফ্যাকাশে ভাব ফুটে উঠবে না। 


হেল্থ টিপস্-১৯  ▌রাতে যে কারণে কম খাওয়া উচিত : 

সকালে খাবার হাওয়া উচিত রাজার মত, দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত প্রজার মত, আর রাতের খাবার খাওয়া উচিত ভিক্ষুকের মত। এর মানে হল সকালের খাবার ভারী, দুপুরের খাবার হালকা আর রাতের খাবার একদম হালকা। রাতে খাবার পর কিছুক্ষণ পরেই আমরা শুয়ে পড়ি। তেমন কোন কাজ করি না। তার ফলে ক্যালোরিও কম পোড়ে। তাই ভারী খাবার থেকে ক্যালোরি বেশি হবার সম্ভবনা থাকে। যেটা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত লেট নাইটে বা অধিক রাতে খাবার খান, তাদের করনারি হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৫ ভাগ বেশি। রাতের খাবার অবশ্যই সন্ধ্যার মধ্যেই সেরে নেবেন। এর কারণ হলো আমাদের পূর্বপুরুষরা লক্ষ লক্ষ বছর দিনের বেলা খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছে, কিন্তু সন্ধ্যা হলেই ভয়ে গুহায় আশ্রয় নিয়েছে। রাতে না খাবার এ সিস্টেমটা আমাদের ডিএনএ-তে সেট হয়ে আছে।


  হেল্থ টিপস্-২০  ▌শুঁটকি খাওয়া কি খারাপ?: 

শুঁটকি মাছে তাজা মাছের তুলনায় আমিষ, প্রোটিন ও খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। ক্যালসিয়াম ও লৌহের পরিমাণও অনেক। ছোট চিংড়ির শুঁটকিতে লৌহের পরিমাণ বেশি। রক্তস্বল্পতা ও গর্ভবতী নারীরা এটি খেলে উপকারই পাবেন। যাঁরা দুধ খেতে পারেন না বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁরা প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে মাঝে মাঝে শুঁটকি খেতে পারেন।  সতর্কতা: * শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের সময় প্রচুর লবণ দেওয়া হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎরোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। * বাত ও কিডনির রোগীদের বেশি শুঁটকি খাওয়া উচিত নয়। * ইদানীং শুঁটকি সংরক্ষণে ক্ষতিকর কীটনাশক ডিডিটি-জাতীয় উপাদান দেওয়া হয়। তাই রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। * বাড়িতে শুঁটকি সংরক্ষণ করতে হলে মাঝে মাঝে কড়া রোদে দেবেন। 


হেল্থ টিপস্-২১  ▌ছোট মাছ কেন খাবেন: 

ছাড়া ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও উৎস ছোট মাছ। তবে এতে আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে। ছোট মাছে প্রোটিন ও পানীয় অংশ বেশি বলে দ্রুত জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। তাই এসব মাছ কেনার পর দ্রুত রান্না করে ফেলা উচিত। ফ্রিজ থেকে বের করে দীর্ঘ সময় বাইরে না রাখা ভালো। কম তাপে এসব মাছ রান্না করবেন। ভাপে রান্না করলে আরও ভালো। ফার্মের মুরগি কি বিষাক্ত: পোল্ট্রি খাদ্য হিসাবে এমবিএম সবচেয়ে সস্তা’ যা কসাইখানার বর্জ্য নারী-ভুড়ি, চামড়া, হাড়, পা ইত্যাদি জ্বালিয়ে নিয়ে পরে শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। এসব খাদ্যে বিষাক্ত ক্রোমিয়াম থাকে যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ঘন ঘন পোল্ট্রি মুরগি খাবেন না।এ ধরনের মাংস নিয়মিত খেলে তা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। কারণ মুরগিকে দ্রুত বাড়ন্ত করতে এবং সংক্রামক প্রতিরোধে নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়। 


হেল্থ টিপস্-২২  ▌ মাংস খাবেন ক্যালরি মেপে: 

লাল মাংস আমিষের সবচেয়ে উত্তম উৎস। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দিনে ৫৫ গ্রাম এবং পূর্ণবয়স্ক নারীর দৈনিক ৪৫ গ্রাম পর্যন্ত আমিষ খাওয়া উচিত। কাজেই মাংসের সবটুকুই খারাপ নয়। খারাপ হলো এর চর্বি। চর্বি যথাসম্ভব ফেলে দিয়ে আমিষটুকু রেখে খেলে সবচেয়ে ভালো। দরকার খাওয়ার সময় মাত্রাজ্ঞান রাখা, যাতে ক্যালরি বেশি না হয়ে যায়। গরুর মাংসে কোলেস্টেরল থাকে। আপনি যদি ফ্যাটি লিভারের শিকার না হয়ে থাকেন, তাহলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। রেড মিট হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তবে সেটা প্রক্রিয়াজাতকৃত হলে। তাজা মাংস খেলে এই ঝুঁকি কম থাকে।  গরুর মাংসের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ছাগলের মাংস। তবে ভেড়ার মাংসে চর্বির পরিমাণ গরুর মাংসের চেয়েও বেশি, ১৭-২১ শতাংশ। ফলে ভেড়ার মাংস হার্ট এটাক, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন প্রভৃতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের উপস্থিতি আছে ভেড়ার মাংসে। 


হেল্থ টিপস্-২৩  ▌মাংস রান্নার পদ্ধতি: 

* মাংস যতটা সম্ভব পাতলা করে কাটুন। পাতলা করে কাটা স্টেকে চর্বির পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসে। দৃশ্যমান সাদা চর্বির পুরোটাই চেঁছে ফেলে দিন। * রান্নার সময় তেল-ঘি-মাখন যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো। বরং সিরকা বা লেবুর রসে মেরিনেট করে, গ্রিল, কাবাব বা বেক করে রান্না করা ভালো। কাবাব ডুবো তেলে না ভেজে সামান্য তেল ব্রাশ করে ভেজে নিলে আরও ভালো। * সবজি বা সালাদসহযোগে মাংস খান। খাবারে মাংসের পরিমাণ কম খাওয়া হবে, তার জায়গা পূরণ করবে সবজি বা সালাদ। * গরু বা খাসির একেক অংশে চর্বির পরিমাণ একক রকম। যেমন সবচেয়ে বেশি চর্বি আছে গরুর মগজে, দাপনা ও পাঁজরের মাংসে। সলিড অংশে চর্বি কম। * উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হলে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়। তাই অল্প আঁচে রান্না করা বা প্রেসার কুকারে রান্না করা ভালো। এক দিনেই অনেক মাংসের পদ রান্না করবেন না, খাবেনও না। 


হেল্থ টিপস্-২৪  ▌কখন খাবেন ফল? খাবার আগে, নাকি পরে

খালি পেটে ফল খেলে আপনার শরীরে সৃষ্টি হতে পারে নানান সমস্যা। দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের প্রবণতা। ডায়েটেশিয়ানরা দিনে অন্তত একটা ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েই থাকেন। তাই যাঁরা ডায়েটিং করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চে একটা ফল মাস্ট। তবে একদম খালি পেট বা খুব ভারী কিছু খাওয়ার পর ফল না খাওয়াই ভালো। ফল-সবজি আগেই ভালোভাবে ধুয়ে কাটা উচিত। আগে কেটে পরে ধোয়া হলে পানির সাথে অনেক খাদ্য উপাদান বা ভিটামিন বের হয়ে যায়। পাতিলের মুখ খোলা রেখে রান্না করা ঠিক নয়, পরিমিত তেল-মশলা দিয়ে একেবারে রান্না চড়িয়ে ভালোভাবে ঢেকে রান্না করতে পারলে ভালো। অবশ্য চর্বিজাতীয় খাদ্য ঢেকে রান্না করা ঠিক নয়।


হেল্থ টিপস্-২৫  ▌ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঝাল খাওয়া: 

হৃৎপি- সুস্থ রাখে ঝাল খাবার, দেহের খারাপ  কলেস্টোরল দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর আরও রয়েছে সাধারণ সর্দি কাশি ও স্ট্রোক প্রতিরোধের  ক্ষমতা।   মরিচ যা ঝাল খাবারের মূল উৎসে রয়েছে  ক্যাপসেইসিন নামক যৌগ যা দেহে থার্মোজেনিক ইফেক্টের জন্য দায়ী। এই থার্মোজেনিক  ইফেক্ট  দেহের ক্যালরি ক্ষয় করতে বিশেষভাবে সহায়ক।  ঝাল মরিচ রক্তের শিরা উপশিরা নমনীয় করতে সহায়তা করে  এবং উচচ রক্তচাপের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।  গবেষণায় দেখা যায় ঝাল খাবার আমাদের দেহে সেরেটেনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যাতে করে  ভালো লাগা উৎপন্ন হয় মস্তিষ্কে।  

সিগারেটের ধোঁয়া মতো ধূপকাঠির ধোঁয়াও ক্ষতিকারক: ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোষে ও ডিএনএতে জেনেটিক মিউটেশন ঘটাতে পারে,  যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। শ্বাসকষ্টের রোগি, শিশু ও গর্ভবর্তীদের এই ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ।


হেল্থ টিপস্-২৬  ▌ বাড়তি লবণ নিষেধ কেন?: 

লবণের ৪০ শতাংশ জুড়ে থাকে সোডিয়াম। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি ও যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি আছে তাদের কম খেতে হবে সোডিয়াম। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের কম লবন হলে খুবই ভালো, তবে ২৩০০ মিলিগ্রামের ওপরে কখনোই নয়। তো ১৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম আছে পৌনে এক চামচ লবণে। ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে হবে এক চামচ। তার মানে দাঁড়াল, সারাদিনে এক চামচ পরিমাণের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। গড়পড়তা আমরা নাকি দৈনিক ৩০০০ থেকে ৩৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেয়ে ফেলি। এর একটা বড় অংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে। এ ছাড়া লবণ মূলত যোগ করা হয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে। আর কেউ কেউ তো পাতে এরপরও আলাদা লবণ নিয়ে খান। কখনো আমরা নিজের অজান্তেই খাবারে লবণ যোগ করে ফেলি অভ্যাসবশত। যেমন সালাদ তৈরির সময় বা কাঁচা ফল খাওয়ার সময়। 


হেল্থ টিপস্-২৭  ▌ সকালে নাস্তায় অনিয়মে যা ঘটে: 

ভাল ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস থাকলে যে শুধুমাত্র হার্টের কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে, তা নয়। সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন- টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। ঘুম থেকে উঠে মস্তিষ্ক সকালে যথাযথ পুষ্টি না পাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ারও কমতে শুরু করে। যার প্রভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। শরীরে ক্যারেটিন নামে একটি উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। যার প্রভাবে চুল পড়া খুব বেড়ে যায়। 

ভাজা আলুকে না বলুন: ভাজা আলু খাওয়া একটি উচ্চ মৃত্যুঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।  গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যারা সপ্তাহে ২/৩ বারের বেশি ভাজা আলু খায়, তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তাছাড়া আলুর চিপস বা ফ্রান্স ফ্রাই বেষি খেলে হৃদরোগ, স্থূলতা ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভবনা বেশি আছে।


হেল্থ টিপস্-২৮ ▌ঘি-খাওয়ার ৫ উপকার: 

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঘি রাখলে শরীর যেমন ভালো থাকবে তেমনি চেহারা হয়ে উঠবে ঝলমলে। উপকারিতার  ১। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে: যেহেতু ঘি প্রয়োজনীয় ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন ডি, কে, ই,এ সমৃদ্ধ তাই এই উপাদানগুলো প্রতিরোধ-ক্ষমতাসহ আমাদের দেহের নানাবিধ কার্য স¤পাদন করে।  ২। হজম শক্তি বাড়ায়: ঘি একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাড়িয়ে তোলে। ৩। স্মৃতি শক্তি বাড়ায়: ঘিয়ের স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলো চিন্তাশক্তি বাড়িয়ে তোলে। ৪। ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে: ঘিয়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে,ত্বক এবং চুলে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে। ৫। এনার্জি যোগায় ও ওজন কমায়:  ঘিতে আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হার্ট ভাল রাখতে, দৃষ্টি শক্তি উজ্জ্বল রাখতে, ক্যানসার প্রতিরোধে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।


হেল্থ টিপস্-২৯ ▌যেসব খাবার একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়!: 

তরমুজ ও পানি : চা ও দই : দই ও ফল : মাংস ও দুধ : দুধ ও লেবু : দুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক : কোমল পানীয় ও পুনিদা পাতা : কলায় উচ্চ মাত্রার চিনি বিদ্যমান রয়েছে যা শরীরে শক্তি জোগাতে কাজ করে। কিন্তু সকালে কলাসহ কোনো ফলই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।  কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে হতে পারে মৃত্যু!-সাধারণত খবরের কাগজে লেখা ছাপা হয় নানা রকম রাসায়নিক পদার্থে তৈরি করা কালি দিয়ে। সেই কালি সরাসরি পেটে গেলে শরীর খারাপ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। খবরের কাগজে কালি কিছুটা মিশে যায়, কিছুটা আলগা থাকে। যখন কোনো রান্না করা খাবার কাগজে মুড়ে দেয়া হয়, তখন সেই আলগা কালি লেগে যায় খাবারের গায়ে। ফলে সরাসরি সেই মারাত্মক ক্ষতিকর কালি চলে যায় পেটে। দীর্ঘদিন ধরে খবরের কাগজে মোড়া খাবার খেলে শারীরিক ক্ষতি হওয়া নিশ্চিত।


হেল্থ টিপস্-৩০ ▌অ্যালাজি থাকলে খাবেন না এই খাবারগুলি:

 ০১. দুধ: তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আড়াই শতাংশ শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। ০২. গম: শিশুদের যদি গমে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে বার্লি বা অন্যান্য দানাশস্যের ক্ষেত্রেও সেই অ্যালার্জি দেখা যেতে পারে। ০৩. সয়া: সয়াবিনস, সয়া মিল্কে অ্যালার্জি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ বছর বয়সের পর থেকে কমে আসে। ০৪. ডিম: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন থেকে এই অ্যালার্জি হয়। ০৫. ফল ও সবজি: বেগুন, গাজর, টোম্যাটো, পিচ, কলা থেকে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। ০৬. ট্রি নাটস: কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট নাটে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। ০৭. শেল ফিশ: চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই অ্যালার্জি হয় বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের। ০৮. চিনা বাদাম: শিশুদের মধ্যে প্রায়ই চিনা বাদামে অ্যালার্জি দেখা যায়। 


হেল্থ টিপস্-৩১ ▌যেসব খাবারে কমে অ্যাসিডিটি: 

আদা- প্রতিবার খাদ্য গ্রহণের আধা ঘণ্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চলে যাবে। লং -লং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবালে এর রসটা আপনার এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করবে। তুলসী পাতা-এসিডিটি দূর করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। পুদিনা পাতা- প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম দূর হয়। বোরহানী- টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি হয় বোরহানী। তাই এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাঠা-দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরি মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া যোগ করলে অ্যাসিডিটি দূর করতে এটি টনিকের মতো কাজ করে।


হেল্থ টিপস্-৩২ ▌ কি খাওয়া উচিত?: 

ব্রিটিশ জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ইট ওয়েল গাইড নির্দেশিকা অনুসারে # দিনে কমপক্ষে ৫ ভাগ ফল এবং শাক-সবজি খান। # মূল খাবার হিসেবে উচ্চমাত্রায় আঁশস¤পন্ন এবং শ্বেতসারবহুল খাবার যেমন আলু, রুটি, ভাত কিংবা পাস্তা রাখা উচিত। # প্রোটিন ভুলে গেলে হবে না- চর্বিহীন মাংস, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, ডাল, তফু কিংবা লবণহীন বাদাম খেতে হবে। # দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থাকতে হবে। # উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি কিংবা লবণ যত কমানো যায় ততই ভালো কিন্তু যারা নিরামিষভোজী তাদের নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি গ্রহণ স¤পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যারা মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং মাছ খায় তারা পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২ পায় যা স্বাস্থ্যকর রক্ত এবং ¯œায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। উদ্ভিদ-জাত খাবার থেকে আয়রনও কম পাওয়া যায়। তাই যারা মাংস খান না, তারা নিয়মিত গমের রুটি, আটা, শুকনো ফল এবং ডাল খাবেন।


হেল্থ টিপস্-৩৩ ▌কোন খাবারে কত ক্যালরি? ছোট এক বাটি সুজির হালুয়া: 

খাঁটি ঘি এবং চিনি দিয়ে তৈরি ছোট এক বাটি সুজির হালুয়াতে থাকে ৩৭৯ ক্যালোরি। ▫ এক প্লেট ভাত: এক প্লেট ভাত, অর্থাৎ ৮০ গ্রাম ভাতে ২৭২ ক্যালোরি থাকে। ▫ ১টি সিঙ্গাড়া: এক্কেবারে ডুবো তেলে ভাজা আলুর পুর ভরা মাঝারি মাপের শিঙাড়াতে থাকে ১২৩ ক্যালোরি। ▫ এক কাপ দুধ চা: ৩০ মিলিলিটার দুধ, ২ চা-চামচ চিনি দিয়ে তৈরি এক কাপ দুধ চায়ে থাকে ৩৭ ক্যালোরি। যদি দুধ এবং চিনির পরিমাণ আরও বাড়ানো বা কমানো হয় সে ক্ষেত্রে ক্যালোরি পরিমাণের তারতম্যও ঘটে। ▫ লুচি: ১০ গ্রাম ময়দা দিয়ে তৈরি ১টি মাঝারি মাপের লুচিতে ক্যালোরির মাত্রা ১২৫। যদি আপনি ৩টি লুচি খান তবে এর মানে আপনি ৩৭৫ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন। ▫ ১টি চাপাটি এবং ১টি পরোটা: ২০ গ্রামের একটি মাঝারি মাপের আটার চাপাটিতে থাকে ৭০ ক্যালোরি। আর ৩০ গ্রাম আটায় তৈরি একটি বড় চাপাটিতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। 


হেল্থ টিপস্-৩৪ ▌ ক্যালসিয়াম কীভাবে খাবেন: 

একটু হাত-পা ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ বা বয়স হয়েছে বলেই ক্যালসিয়াম খেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কেননা আমাদের দৈনন্দিন নানা খাবারেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। ক্যালসিয়াম নামের খনিজ উপাদানটি আমাদের হাড় ও দাঁত শক্ত করে, ক্ষয় রোধ করে। ¯œায়ুর, হৃৎ¯পন্দন, মাংসপেশির কাজেও ক্যালসিয়াম দরকার হয়। এটির অভাবে হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপোরাসিস রোগ হতে পারে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারগুলো হলো- দুধ, দই, পনির, কাঁচা বাদাম, সয়াবিন, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, কালো ও সবুজ কচুশাক, শজনে পাতা, পুদিনা পাতা, সরিষাশাক, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিংড়ি শুঁটকি, ডুমুর ইত্যাদি হলো উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার। ১০০ গ্রাম দুধে ক্যালসিয়াম আছে ৯৫০ মিলিগ্রাম, একই পরিমাণ পাবদা মাছে ৩১০ মিলিগ্রাম, সামুদ্রিক মাছে ৩৭২ মিলিগ্রাম, শজনে পাতায় ৪৪০ মিলিগ্রাম, ট্যাংরা মাছে ২৭০ মিলিগ্রাম।


হেল্থ টিপস্-৩৫ ▌ফ্রিজের খাবার যেভাবে খাবেন: 

দুধ জাতীয় খাবার বেশিদিন ফ্রিজে রাখা উচিৎ নয়। বেশিদিন এগুলো ফ্রিজে রাখলে খাবারগুলোতে পানি জমতে থাকে এবং বিস্বাদ হয়ে যায়। সব থেকে বড় কথা দুধ জ্বাল দেওয়ার পরেই ফ্রিজে রাখবেন না কিছুক্ষণ বাইরে রেখে ঠা-া হতে দিয়ে তবেই ফ্রিজে রাখবেন। ফ্রিজে সংরক্ষিত মাংস এবং মাছ, একবার ফ্রিজ থেকে বের করে তা আবার ফ্রিজে রাখা উচিত না।  টাটকা শাকসবজি, ফলমূল ফ্রিজে অবশ্যই রাখুন। কিন্তু দু’ থেকে তিন দিনের বেশি নয়। তাহলে তার মধ্যে জন্মায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার জন্য রেফ্রিজারেটর অত্যন্ত উপকারী। তবে সেটা তিন থেকে চারদিনের বেশি নয়। আর একবার ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার কখনোই দ্বিতীয়বার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। রান্না করা খাবার বারবার ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে খেলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ চলে যায় এবং পেঁয়াজ জাতীয় খাদ্য বার বার গরম করলে অনেক সময় ফুড পয়জনিং এর কারণ হয়।


হেল্থ টিপস্-৩৬ ▌ প্রসার কুকারে রান্না করবেন না যেসব খাবার: 

দুধ একটু বলক এলেই উপচে ওঠে। প্রেসার কুকারে তাই দুধ জাতীয় কিছু রান্না একদমই উচিত নয়। কেবল রান্না করাই যে সমস্যা, তা-ই নয়, যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত রান্না করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় মাছের। এ ছাড়া মাছ একটু বেশি রান্না হলেই ভেঙে যায়, নষ্ট হয় তরকারি। মাছ রান্নায় সময় খুব কম লাগে। তাই প্রেসার কুকারে রান্না না করাই ভালো।  ডিম প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করতে চাইলে বড় মাপের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। যেকোনো শাক-সবজি ও ফল বেশি রান্না করলে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। প্রেসার কুকারে এসব রান্না করার চাইতে না খাওয়াই ভালো। সতর্কতা: -প্রেসার কুকারের মুখ আটকে দেওয়ার পর ভালো করে পরীক্ষা করে দেখুন। -ভেতরের বা®প পুরোপুরি বের না হলে কুকারের মুখ খুলবেন না। -চুলা নেভানোর পর অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুকারের মুখ খুলুন।


হেল্থ টিপস্-৩৭ ▌ ১০০ ক্যালরির সাতটি খাবার: 

১. ফ্রুট স্যালাড : মৌসুমি যেকোনো ফল দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ফ্রুট স্যালাড। তবে পরিমাণ যেন ৩৫ গ্রামের বাইরে না যায়। ২. পপকর্ন : লো ক্যালরি এই খাবার সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি ফিলিংও বটে। ৩৫০ গ্রাম মতো পপকর্ন খেতে পারেন নিশ্চিস্তে। ৩. ডিম : প্রোটিন এবং এনার্জির পারফেক্ট কম্বিনেশন ডিম। এছাড়াও ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং হেলদি ফ্যাট।  ক্যালরি কাউন্ট ১০০-র মধ্যে। চাইলে ওয়াটার পোচড ডিমও খেতে পারেন। ৪. স্কিমড মিল্ক (১০০মিলি), বাটার মিল্ক (১৫০ মিলি), ডাবের পানি (১৭৫ মিলি) : নিশ্চিস্তে দিনে একবার এই সবই খেতে পারেন। ৫. আমন্ড (৬টা), খেজুর (৩টা), পেস্তা (১২-১৩টা) : পরিমাণ মতো খেলে অপকার নয়, উপকারই হবে। ৬. পাকা পেঁপে : পাকা পেঁপে স্কিন ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তবে ৩০০ গ্রাম। ৭. পেয়ারা : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ২০০গ্রাম পেয়ারা খেতে পারেন।


হেল্থ টিপস্-৩৮ ▌কিশোর-কিশোরীর খাবার: 

আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন খনিজের সুষম অনুপাতে না থাকলে শরীরের বৃদ্ধি সঠিক হবে না। ইদানীং অনেক কিশোরী ফিগার-সচেতন হওয়ায় খাওয়াদাওয়া করে না বললেই চলে। এ ছাড়া বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী আজকাল সারাদিন বাইরের খাবার খেয়েই ব্যস্ত। এতে তেল-চর্বি, ট্রান্সফ্যাট বেশি, কিন্তু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নেই। ফলে কৈশোরে স্থূলতা বাড়ছে, কিন্তু শরীর ফিট হচ্ছে না। সকালের নাশতা দেহের বিপাকক্রিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রুটি, ডিম বা দুধ, কর্নফ্লেক্স, একটু ফলের রস এগুলো হতে পারে চটজলদি নাশতা মেয়েদের বেলায় আয়রনের ঘাটতি প্রায়ই হয়ে থাকে। নিয়মিত ডিম, মাংস, কলিজা, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে হবে। এ ছাড়া  ছোট মাছ, দুধ, দই, দুধের তৈরি খাবার খেতে হবে নিয়মিত। নানা ধরনের ভিটামিনের জন্য কচুশাক, পুঁইশাক, লালশাক, ধনে পাতাসহ বিভিন্ন দেশি ফলÑআমড়া, কলা, পেয়ারা, আমলকী, লেবু, কমলা খেতে হবে।


হেল্থ টিপস্-৩৯ ▌ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঝাল খাওয়া:

কিন্তু হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে ঝাল খাবার, দেহের খারাপ  কলেস্টোরল দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এর আরও রয়েছে সাধারণ সর্দি কাশি ও স্ট্রোক প্রতিরোধের  ক্ষমতা।   গবেষণায় দেখা গেছে মরিচ যা ঝাল খাবারের মূল উৎসে রয়েছে  ক্যাপসেইসিন নামক যৌগ যা দেহে থার্মোজেনিক ইফেক্টের জন্য দায়ী। এই থার্মোজেনিক  ইফেক্ট  দেহের ক্যালরি ক্ষয় করতে বিশেষভাবে সহায়ক।  ঝাল মরিচ রক্তের শিরা উপশিরা নমনীয় করতে সহায়তা করে  এবং উচচ রক্তচাপের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।  গবেষণায় দেখা যায় ঝাল খাবার আমাদের দেহে সেরেটেনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যাতে করে  ভালো লাগা উৎপন্ন হয় মস্তিষ্কে। তবে অতিরিক্ত ঝাল আপনার শরীরে ক্ষতি করে। যেমন- অতিরিক্ত ঝাল খেলে ঘুম কম হবে। আর ঘুম কম হলে ওজন বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি  রাতে যদি আপনি অতিরিক্ত ঝাল খান তাহলে, গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুকনো মরিচের ক্যাপসাইকিন আলসার তৈরি হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-৪০ ▌ কারণে অকারণে খিদে পেলে করণীয়: 

সময় অসময়ে খাই খাই ভাব শরীরে হরমোন জনিত সমস্যার পূর্বাভাস।  কেউ দুঃশ্চিন্তায় ভুগলেও অতিরিক্ত খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১. একবারে পেট ভরতি করে ভাত না খেয়ে দুই, তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর হেলদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। ২. খিদে পেলেই সঙ্গে সঙ্গে খাবার খাবেন না। বরং খিদে পেলে ১০ থেকে ২০ মিনিট পর খাবার খান। ৩.  খেতে বসে কমপিটিশন নয় বরং কে কত আস্তে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন সেই অভ্যাস করুন। কারণ ঝটপট খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। কিছুক্ষন পর আবার খিদে পেয়ে যেতে পারে। ৪. খাবার খাওয়ার আগে অথবা আধঘন্টা পরে পানি পান করু। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়। আর খিদে পেলেই চিপস, চকলেট না খেয়ে হালকা কিছু পুষ্টিকর ¯œ্যাকস খেতে পারেন। ৫.  অতিরিক্ত ফাস্টফুড না খেয়ে বাড়িতে মনপছন্দ কিছু  বানিয়ে খান। 


হেল্থ টিপস্-৪১  ▌দুগ্ধজাত খাবারে পুরুষের বন্ধ্যত্ব: 

আইসক্রিম, পনির বা মাখন অনেক মানুষেরই দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার অপরিহার্য খাবার। তবে খাবারগুলো যতই সুস্বাদু ও উপকারী হোক না কেন, এ রকম দুগ্ধজাতীয় খাবার পুরুষের বাবা হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। নতুন একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা জানান, পূর্ণ ননীযুক্ত (ফুল ফ্যাট) দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিন খুব অল্প পরিমাণে খেলেও তা পুরুষের প্রজননক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নষ্ট করে দেয়। তাঁরা বলেন, যেসব পুরুষ দিনে কমপক্ষে ৭৬ গ্রাম দুগ্ধজাত খাবার খেয়ে থাকেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের শুক্রাণু দুর্বল হয়ে পড়ে। মাখন বা আইসক্রিম কিংবা পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ  নিয়মিত খেলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে পুরুষের। কারণ দুগ্ধজাত খাবার শরীরে এস্ট্রোজেে নর মাত্রা (স্ত্রী হরমোন) বাড়ায়। যা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করে। আর প্রজনন ক্ষমতা না থাকলে আত্মবিশ্বাসহীন হয়ে মন মানসিকতায় সে পঙ্গু হয়ে পড়ে।


হেল্থ টিপস্-৪২ ▌ দুধ আপনার ত্বকের প্রধান শত্রু? জেনে নিন কারণ: 

দুধ আমাদের হরমোনকে প্রভাবিত করে যা ত্বকে তেল উৎপাদন করে। এই অতিরিক্ত তেলের কারণে পরবর্তী সময়ে স্কিনে ব্রণ হয়। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত দুধ খেলে এই সমস্যা বেশি হয়।কম ফ্যাটযুক্ত দুধেও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু দুধ নয়, অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য যেমন- পনির, ক্রিমেও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। ভালো স্কিন পেতে হলে ধীরে ধীরে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে দুগ্ধজাতীয় খাবারগুলো বাদ দিন। একবারে নয়, তবে ধীরে ধীরে আপনার খাদ্যতালিকা ঠিক করে ফেলুন। সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন, সঠিক পণ্য এবং একটি দুগ্ধমুক্ত ডায়েটের সঙ্গে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ব্রণমুক্ত হবে মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে। প্রয়োজনে আপনি দুধের বিকল্প হিসেবে বাদামের দুধ খেতে পারেন।


হেল্থ টিপস্-৪৩ ▌ রান্নায় কোন্ তেল ব্যবহার করবেন? জেনে নিন: 

কেনার সময় এই তালিকায় থাকা ফ্যাটের মাত্রা কত সেটা লক্ষ করুন। যে তেলে মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি সেগুলোই বাছাই করুন। মনে রাখবেন, যে তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৩৫ শতাংশের নিচে এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ৫০ শতাংশের ওপরে সেই তেল দৈনিক ব্যবহারের জন্য ভালো। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তেলের স্মোক পয়েন্ট। অর্থাত যে তাপমাত্রায় তেল পুড়ে ফ্যাটগুলো ভেঙে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি করে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই রান্নার পদ্ধতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন—অলিভ অয়েলে পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলেও এর স্মোক পয়েন্ট অনেক কম হওয়ায় ভাজাপোড়ার জন্য এই তেল ঠিক নয়। তবে সালাদ ড্রেসিং এবং অল্প আঁচের রান্নার জন্য ভালো। আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে খাবার রান্না করা হয় তাতে বেশি স্মোক পয়েন্ট (১৭৭ থেকে ২৩২ ডিগ্রি) স¤পন্ন তেল কেনাই উপযুক্ত।

সয়াবিন তেল-সয়াবিন তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৩৫ শতাংশের নিচে এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ৫০ শতাংশের ওপরে। এর স্মোক পয়েন্টও অনেক বেশি (২৫৬ ডিগ্রি)। বেশি তাপমাত্রার রান্না, ভাজাপোড়া ইত্যাদি খাবার তৈরির জন্য সয়াবিন তেল বেশি উপযোগী। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন তেল ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ¯œায়ুজনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

সরিষা তেল-সরিষার তেলে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৬০ শতাংশ। ফলে আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। 

সানফ্লাওয়ার তেল-এই তেল প্রচুর পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ। এর স্মোক পয়েন্ট অনেক বেশি (২২৭ ডিগ্রি)। দৈনিক যেকোনো রান্নার জন্য উপযোগী। সানফ্লাওয়ার তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ আছে, যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ও হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে অতিরিক্ত ভাজাপোড়ার ক্ষেত্রে এই তেল  এলডিহাইড নামের ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। 

রাইসব্রান তেল-রাইসব্রান তেল মনো-আনস্যাচুরেটেড ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ। এর স্মোক পয়েন্ট (২৫৪ ডিগ্রি) বেশি হওয়ায় যেকোনো খাবার রান্নায় ব্যবহার উপযোগী। এই তেল রক্তের কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমায়। এ ছাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ব্লাড সুগারের মাত্রাও কমায়। 

জলপাই তেল-জলপাই তেলের বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ, হাড় মজবুত করা, ওজন কমানো, মনকে প্রফুল্ল রাখা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 


হেল্থ টিপস্-৪৪  ▌এক বেলা না খেলে আরো মোটা হবেন: 

অনেকেরই দেহের ওজন কমানোর ইচ্ছায় খাবারের পরিমাণ কমাতে চান। তবে এজন্য নিয়মিত  খাবার না কমিয়ে সকালে বা কোনো একটি বেলার খাবার বাদ দিয়ে দেন, যা বাস্তবে আরো ওজন বাড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে এক গবেষণায়। দেহের ওজন কমানোর জন্য প্রতি বেলাতেই অল্প করে খেতে হবে। ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় উঠে এসেছে, কোনো একবেলা বেশি করে খাওয়া এবং অন্য বেলায় না খাওয়া পাকস্থলির ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মাত্রা প্রভাবিত করে, যা আদতে দেহের ক্ষতি করে। এতে লিভারে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং গ্লুকোজ উৎপাদন অব্যাহত থাকে। ফলে রক্তে যোগ হয় বাড়তি সুগার, যা দেহের ওজন বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এভাবে ধর্মীয় উপবাস শরীরে প্রভাব ফেলছে।


হেল্থ টিপস্-৪৫ ▌ সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব? মুক্তির উপায় জেনে নিন: 

ডায়েট স্বাস্থ্যকর না:  পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হ'ল আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। যেমন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর কার্বস, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি। এছাড়াও, সঠিক সময়ে খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। ওজন বেড়ে যাওয়া: অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় ক্লান্তি ও অবসন্নতা দেখা দেয় খাবার এড়ানো: যদি আপনি আপনার খাবার এড়িয়ে চলেন এবং অনাহারে থাকেন তবে ক্ষুধা আপনার শরীরকে শিথিল হতে দেয় না এবং হরমোনগুলো প্রকাশ করে যা আপনাকে বিরক্ত করে তোলে, যার কারণে আপনার ঘুম খারাপ হয়। অতিরিক্ত রিফাইনড ফুড খাওয়া: রিফাইনড ফুডে অনেক চিনি  থাকে এবং এতে শরীরে শক্তিও যোগায়। তবে এই শক্তি স্থায়ী হয় না বেশি এবং  আপনার ক্লান্তিবোধ অনুভব হবে। মানসিক চাপ: মানসিক চাপ শারীরিক ক্লান্তিও বটে। স্ট্রেস আপনার ঘুম কমিয়ে দেয়, যা পরের দিন আপনার ঘুম ঘুম লাগে।


হেল্থ টিপস্-৪৬ ▌খাবার দ্রুত খাচ্ছেন? জেনে নিন ক্ষতিকর দিক:  

আস্তে আস্তে খেলে যেমন পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় তেমনি স¤পূর্ণ পেট ভরার অনুভূতিও হয়। এতে করে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগেনা। বিষয়টি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক ধীরে সুস্থে খাওয়ার উপকারিতা। ১.আস্তে আস্তে খেলে পরিপাক ক্রিয়া সফল হয়। ফলে হজম হয় খুব ভালো। এতে পুষ্টিগুণও সঠিকভাবে যায় শরীরে। ২. খাদ্যের তৃপ্তি শান্ত মনের পরিবেশ এনে দেয়। ফলে আমাদের মানসিক চাপ কমে যায় অনেকটাই। ৩. আস্তে খেলে চিবাতে হবে বেশি। ফলে হজম স্বাভাবিক পথে হয়। ৪. আস্তে খেলে খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যেস বেড়ে যায়। এতে শক্তি ক্ষয় হয়ে থাকে। ৫. একসাথে প্রয়োজনের বেশি খাওয়ার অভ্যাসও থাকে না আস্তে খেলে। এতে ওবেসিটির একটা সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।


হেল্থ টিপস্-৪৭ ▌ মাছ-মাংস-ডিম বাদে কিসে প্রোটিন আছে?:  

পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রতিদিনের ক্যালরি চাহিদার অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন থেকে পূরণ করা উচিত। খাবারের এই উপাদান মানুষের মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে। শিশুদের শারীরিক বিকাশেও সাহায্য করে। প্রোটিন বা আমিষ মানেই মাছ-মাংস এমন ধারণা অনেকেরই আছে। আসলে মাছ-মাংস-ডিম-দুধ বাদে অন্য উৎস থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। এগুলো তো প্রাণিজ আমিষ।  পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ আমিষ খেতে হবে। যেকোনো ধরনের ডাল ও বীজজাতীয় খাবারে প্রোটিন থাকে।  শিমের বিচি, মটরশুঁটিও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। সঙ্গে বাড়তি পাওনা এগুলোর মধ্যে আছে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন বি ও আয়রন। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। বাদামও প্রোটিনের উৎস হিসেবে খুব ভালো।  এই খাবারে আরও পাবেন উপকারী চর্বি (ওমেগা ফ্যাট) এবং আঁশ। তবে বাদাম লবণ ছাড়া খাওয়া ভালো।


হেল্থ টিপস্-৪৮ ▌ যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়: 

১) অনেকেই পাউরুটি ফ্রিজে রাখেন। এমনটা কিন্তু একদম করতে নেই। তা শক্ত হয়ে যায়। 

২) ফ্রিজে কাটা কুমড়া রাখলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি কাটা কুমড়ো রাখতেই হয়, তবে অবশ্যই তা কোনো প্লাস্টিকে মুড়ে রাখতে পারেন। ৩) অনেকে ফ্রিজে কলা রেখে দেন টাটকা থাকার জন্য। কিন্তু কলা ক্রান্তীয় এলাকার ফল। তাই তা ঠা-ায় সংরক্ষণ করা যায় না। ৪) ফ্রিজে রাখা টমেটোর সেই গুণ থাকে না, যা তাজা টমেটোর মধ্যে থাকে। ৫) আলু একেবারেই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। তা ভীষণভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। একইভাবে পিঁয়াজ কিংবা রসুনও কখনও ফ্রিজের মধ্যে রাখবেন না। ৬) নিজের কফির প্যাকেটটি ফ্রিজে রাখার অভ্যাস থাকলে কিন্তু বড় ভুল করছেন। কফি এমনই এক বস্তু যা পারিপার্শ্বিক সামগ্রীর দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি প্রভাবিত হয়। এতে কফির সুগন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। ৭) কলা ফ্রিজে রাখলে কালো হয়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-৪৯ ▌সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে কিছু বিশেষ খাবার: 

* হালকা গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ঠা-া-সর্দি দূর হয়। লেবুর ভিটামিন সি ও মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মিলে এই সুরক্ষা দেয়। * ধুলাবালি ও ঠা-ায় শ্বাসনালি সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। গরম আদা-চা বা লেবু-চা এই কষ্ট দূর করে এবং জমে থাকা কফকেও তরল করে। * চায়ের সঙ্গে তুলসীপাতা জ্বাল দিয়ে খাওয়া যায়। এতে বিটা ক্যারোটিন ও ইউনিপানি আছে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ব্যাকটেরিয়ারোধী। * সরিষাভর্তা, সরিষাশাক ও কালিজিরার ভর্তা সর্দি-কাশি কমায়। * যাঁরা শীতে কষ্ট পান ও যাঁদের সহজে ঠা-া লেগে যায়, তাদের জন্য একটি পরামর্শ খাওয়ার পানি দু-তিন কোয়া রসুন মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে পান করুন। এটি শরীরকে গরম রাখে এবং ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। * শীতে গরম স্যুপ, গরম চা ঠা-া দূর করতে সাহায্য করে। তবে প্রচুর পানিও পান করতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-৫০ ▌অধিক রাতে খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: 

যারা সকালের নাস্তা খান না এবং অধিক রাতে খাবার খান তাদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষণা। একটানা ১৬ বছর যাবৎ গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন, যারা ক্রমাগতভাবে ব্রেকফাস্ট পরিহার করেন তাদের স্বাভাবিকের চেয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২৭ ভাগ বেশি। গবেষকগণ আরো বলছেন, যারা নিয়মিত লেট নাইটে বা অধিক রাতে খাবার খান তাদের করনারি হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৫ ভাগ বেশি। শুধু সকালের নাস্তা পরিহার এবং রাতে দেরিতে খাওয়ার বিষয়টি নয়, বিশেষজ্ঞগণ নাস্তা ও রাতের খাবারে কি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করা হচ্ছে তাও বিবেচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, শুধু সকালের স্বাস্থ্যসম্মত ব্রেকফাস্ট নয়, হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে পরিমিত খাবার ও ব্যায়াম করা দরকার।


হেল্থ টিপস্-৫১ ▌সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা: 

ডায়াবেটিসে উপকারী- ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম।  শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি- শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ছোলার ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই শুধু রমজান মাস নয়, ১২ মাসেই ছোলা হোক আপনার সঙ্গী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ- যে সকল অল্পবয়সী নারীরা ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার বা ছোলা খান, তাদের হাইপারটেনশনের প্রবণতা কমে যায়।এতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। মেরুদ-ের ব্যথা দূর করে- এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও থাকায় কমায় মেরুদ-ের ব্যথা, ¯œায়ুর দুর্বলতা।


হেল্থ টিপস্-৫২ ▌ খালি পেটে যে খাবার উপকারের বদলে ক্ষতি করে: 

দুধ-সয়াবিন মিল্ক- খালি পেটে দুধ খেলে দুধে থাকা প্রোটিন শরীর  পুরোমাত্রায় গ্রহণ করতে পারে না। সবসময়ে পাউরুটি, বিস্কুটের সঙ্গে খান। চা-কফি-  কখনই খালি পেটে এই চা-কফি খাবেন না। কারণ, চা-এর মধ্যে অ্যাসিডের উপস্থিতি আর কফিতে থাকে ক্যাফেইন। খালি পেটে খেলে এই অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি করে দেয়। খাওয়ার আগে অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। কলা- খালি পেটে কখনও কলা খাবেন না। এতে শরীরে ম্যাগেনসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সোডা-কোল্ডড্রিংক- সোডা-কোল্ডড্রিংকে যে চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার থাকে, খালি পেটে খেলে সেগুলি শরীরের পক্ষে যথেষ্টই ক্ষতিকারক হতে পারে। মশলাদার খাবার- খালি পেটে মশলাদার খাবার খেলে পাকস্থলীর স্বাভাবিক অ্যাসিডগুলির উপর প্রভাব পড়ে। যার কারণে পেটে টান ধরা বা ব্যথা হতে পারে।


হেল্থ টিপস্-৫৩ ▌ কি খাবারে হয় হাড়ের ক্ষয়: 

১। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবারÑদেহ থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিয়ে হাড়কে দুর্বল করে দেয়। চিপস, বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, কাঁচা খাবারে বা সালাদে মেশানো লবণ হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়াও খাওয়ার সময় খাবারের পাতে বাড়তি লবণ খাওয়াও হাড়ের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ২। সফট ড্রিংকস বা নরম পানীয়-সফট ড্রিংকস প্রতিনিয়ত হাড় ক্ষয় করে চলেছে। এ সব নরম পানীয়তে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড যা প্রসাবের মাধ্যমে দেহের ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের করে দেয়। যার ফলে অস্থি ক্ষয়ে যেতে থাকে। ৩। ক্যাফেইন- চা ও কফির ক্যাফেইনও হাড়ের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। দিনে দু’কাপের বেশি চা-কফি পান করা একেবারেই উচিত নয়। ৪। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া- অতিরিক্ত মাংস মানেই অতিরিক্ত প্রোটিন। এই প্রোটিন শরীরে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে, যাকে নিস্ক্রিয় করতে ক্যালসিয়াম কাজ করে থাকে। ফলে হাড়ে ক্যালসিয়াম কম পৌঁছে। এতে হাড়ের ক্ষতি হয়।


হেল্থ টিপস্-৫৪ ▌ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার: 

১। কাঁচকলা-যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা কাঁচকলা খেলে ফলাফল খারাপ হবে। তবে পাকা কলায় যথেষ্ট ফাইবার থাকায় খাওয়া যেতে পারে। ২। মাংস-রেড মিট জাতীয় খাবার-অন্ত্রে বহুক্ষণ থাকে, হজম হতে সময় লাগে; কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ৩। দুধ- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি) কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে অনেকের। কারণ এ ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম। তবে টক দই খুবই উপকারি। ৪। তেলে ভাজা-¯œাকস জাতীয় খাবার-ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, পটেটো চিপস বা ওই জাতীয় তেলে ভাজা খাবার অন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ৫। হিমায়িত খাবার ও বেকারি পণ্য- সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে পানি শুকিয়ে ফেলা হয় এবং এই খাবারগুলিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।


হেল্থ টিপস্-৫৫ ▌ কখন খাবেন ফল? খাবার আগে, নাকি পরে: 

খালি পেটে ফল খেলে আপনার শরীরে সৃষ্টি হতে পারে নানান সমস্যা। দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের প্রবণতা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভরা পেটে অর্থাৎ কোনও খাবারের পর যদি আপনি একটা ফল খান, তাহলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। ডায়েটেশিয়ানরা দিনে অন্তত একটা ফল খেতে বলেন। তাই যাঁরা ডায়েটিং করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চে একটা ফল মাস্ট। তবে একদম খালি পেট বা খুব ভারী কিছু খাওয়ার পর ফল না খাওয়াই ভালো। খাদ্যবিজ্ঞানীরা একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম ফল-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে শাকপাতা ১১০ গ্রাম, ফুল-ফল-ডাঁটাজাতীয় সবজি ৮৫ গ্রাম, মূলজাতীয় ৮৫ গ্রাম ও ফল ১১০ গ্রাম ধরা হয়েছে। ফল-সবজি উভয় ক্ষেত্রে সম্ভব হলে খোসা না ফেলাই ভালো। বেশি পাকা ফলে খাদ্যমান কমে যায়। যেমন- পাকা পেঁপে থেকে আধা পাকা পেঁপে বেশি পুষ্টিমান সম্পন্ন।


হেল্থ টিপস্-৫৬ ▌ মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় লবণ: 

প্রতি গ্রাম অতিরিক্ত লবণ স্থুলতার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। লবণ মানুষের বিপাক প্রক্রিয়া পরিবর্তিত করে। এতে করে শরীর চর্বি গ্রহণ করে বেশি। দেখা যায়, যারা মোটা বা স্থুল, তাদের মূত্র নমুনায় লবণ গ্রহণের হার বেশি। সে অনুযায়ী, প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রতি ১ গ্রাম লবন ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করে। লবণের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন বৃদ্ধি পাবার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওরসহ বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। এছাড়া স্থুলতা থেকে ডায়াবেটিস হতে পারে।

বেশি লবণসমৃদ্ধ খাবারে বেশি ঘুম: ঘুম ঘুম ভাব আর বেশি সময় ধরে ঘুমানোর পেছনে লবনের হাত রয়েছে বলে একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। খাওয়ার পর ঘুম আসার জন্য লিউকোকিনিন নিউরন কাজ করে। লবণ নিউরন তৈরি ও প্রভাবিত করে।


হেল্থ টিপস্-৫৭ ▌যে ৫টি খাবার ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর: 

১) গবেষণা মতে, সাদা চাল-সাদা চালের ভাত যতো খাবেন, ততো বেশি টাইপ-২ ডায়বেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ২) চাইনিজ খাবার-চাইনিজ খাবারে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট, ক্যালরি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট যা হুট করেই দেহের সুগারের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে তোলে।  ৩) বোতলজাত ফলের জুস-বোতলজাত ফলের জুস পান করা এবং সোডা পান করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। কারণ ফলের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালরি, যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ৪) কলা ও তরমুজ-কলা এবং তরমুজের মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। তাই এইগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো। ৫) রিফাইন্ড সিরিয়াল-সুইটেন্ড ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল ধরণের খাবারগুলো ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।


হেল্থ টিপস্-৫৮ ▌ ওমেগা-৩  কোন্ খাবারে পাবেন: 

অনেকে নিয়মিত দোকান থেকে ওমেগা ৩ ক্যাপসুল কিনে খান। কয়েক ধরনের ওমেগা ৩ চর্বি আছে প্রকৃতিতে। এর মধ্যে আলফা লিনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় কিছু উদ্ভিজ্জ খাবার বা তেলে। ইকোসা প্যান্টনোয়েক অ্যাসিড এবং ডোকোসা হেক্সোনোয়েক অ্যাসিড পাওয়া যায় সামুদ্রিক খাবারে। * উদ্ভিদ তেলে ওমেগা-৩ চর্বি আছে। এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো হলো তিসির তেল ও ক্যানোলা তেল। তবে সয়াবিন তেলেও আছে কিছুটা।  *সামুদ্রিক মাছের তেল ওমেগা ৩-এর চমৎকার উৎস। দেশীয় মাছের মধ্যে ইলিশ, রুপচাঁদা ইত্যাদি মাছের তেলে এর পরিমাণ বেশি। *বিভিন্ন ধরনের বাদামে বেশ ওমেগা ৩ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আছে ওয়ালনাট বা আখরোট, পেস্তা ইত্যাদি বাদামে। প্রতিদিন একটু বাদাম ওমেগা ৩ জোগাবে। *মাছের ডিমে ক্ষতিকর চর্বির সঙ্গে ওমেগা ৩ উপকারী চর্বিও আছে বেশ ভালো পরিমাণে। *কিছু বীজজাতীয় খাবারেও ওমেগা ৩ আছে। 


হেল্থ টিপস্-৫৯ ▌এক বেলা না খেলে আরো মোটা হবেন:  

অনেকেরই দেহের ওজন কমানোর ইচ্ছায় কোনো একটি বেলার খাবার বাদ দিয়ে দেন, যা বাস্তবে আরো ওজন বাড়িয়ে দেয়। দেহের ওজন কমানোর জন্য প্রতি বেলাতেই অল্প করে খেতে হবে। কোনো একবেলা বেশি করে খাওয়া এবং অন্য বেলায় না খাওয়া পাকস্থলির ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং গ্লুকোজ উৎপাদন অব্যাহত থাকে। ফলে রক্তে যোগ হয় বাড়তি সুগার, যা দেহের ওজন বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এভাবে ধর্মীয় উপবাসও শরীরে প্রভাব ফেলছে। ভাত বেশিমাত্রায় খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা ৯০% মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। ভাত আলস্যতা বাড়িয়ে দেয় শরীরে। ফলে পরিশ্রম করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যারা রুটি খান তারা বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারেন। ভাত রান্নায় চাল ও পানির অনুপাত এমন মাপে দেয়া হয় যে, চাল ফুটে ভাত হওয়ার সাথে সাথে পানি শুকিয়ে যায়।


হেল্থ টিপস্-৬০ ▌বাসি খাবার খাচ্ছেন? হতে পারে যেসব সমস্যা: 

এমন কিছু বিশেষ খাবার আছে, যা বাসি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। ১. মুরগির মাংস : মুরগির মাংস রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিয়ে বারবার গরম করলে এতে থাকা প্রোটিনের ক¤েপাজিশন অনেকটাই পাল্টে যায়। বদহজম হতে পারে এর থেকে। ২. ডিম সিদ্ধ : ডিমের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকায় একবার গরম করে ফ্রিজে রাখলে তাতে টক্সিন তৈরি হতে পারে, যার ফলে আমাদের সহজেই বদহজম হতে পারে। ৩. আলু : আলু সিদ্ধ করে ফ্রিজে।রাখলে সে ঠা-া আলুতে তৈরি হয় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যার নাম বটুলিজম? গরম করলে এই ব্যাকটেরিয়া অনেক বেড়ে যায়। এর থেকেই হতে পারে হজম, অম্বল ও পেটের নানা সমস্যা। ৪. ভাত : বারবার ভাত গরম করে খেলে সেই ভাতের মধ্যে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয়, যা আমাদের শরীরে ডায়রিয়া পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-৬১ ▌কি খাবেন? ভাত না রুটি?: 

ভাতে রুটির চেয়ে বেশি ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। অন্যদিকে, ভাতের তুলনায় রুটিতে প্রোটিন, ভিটামিন, সোডিয়াম, আঁশ ও মিনারেল বেশি থাকে। তাই যারা হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্য ভাতের চেয়ে রুটিই ভালো।  তাই যাদের ওজন বেশি তারা রুটির উপর নির্ভর করতে পারেন। যাদের বদহজম, ডায়রিয়ার সমস্যা আছে, তারা ভাতের উপর নির্ভর করতে পারেন।  অন্যদিকে, ভাত ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাতের চেয়ে রুটিই উত্তম। রুটি ও ভাতে আয়রনের পরিমাণ সমান হলেও ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ রুটির তুলনায় ভাতে কম।চালের পুষ্টিমান ধান ছাঁটাইর সময় নষ্ট হয়, সর্বশেষ অপচয় হয় ভাতের মাড় নিংড়ানোর সময়। ভাতের মাড়ে ক্যালসিয়াম, লৌহ, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, মেলেনিয়াম-এ ছয়টি উপাদান রয়েছে। পুষ্টি বিবেচনায় আতপ চাল ও ডালের খিচুড়ি ও জাউ রান্নাই উত্তম।


হেল্থ টিপস্-৬২ ▌ পেটপুরে’ ভাত খাওয়া কেন ভালো নয়: 

পেটপুরে ভাত খাওয়াটা আসলে এমন মারাত্মক একটি অভ্যাস, যা আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে মৃত্যুর দিকে! কীভাবে? ১) সারাদিনে গুণে গুণে মাত্র ৩ বেলা খান। কিন্তু তবুও কমে না ওজন?  ভাতে অন্যান্য খাবারের তুলনায় অনেক উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা আপনার শরীরে অযথাই অনেকগুলো ক্যালোরি যোগ করে ফেলে। এই বাড়তি ক্যালোরি বাড়তি ওজন হয়ে জমে যায় শরীরে। আর দুপুরে বা রাতে পেটপুরে ভাত খাবার পর ঘুমিয়ে গেলে তো কথাই নেই! শরীরের সর্বনাশ হয়ে যায়। চায়ের কাপে এক কাপ ভাত, যারা খুব পরিশ্রম করেন তাদের জন্য দুই কাপ ভাতই যথেষ্ট। সাথে খেতে হবে প্রচুর সবজি ও প্রোটিন। ভাতের হাই কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট তৈরি করে দেহে, যা আপনার রক্তনালীগুলোকে ক্রমশ সংকুচিত করে ফেলে এবং এক পর্যায়ে ধমনীতে দেখা যায় ব্লক ও বন্ধ হয়ে যায় রক্ত সরবরাহ। 


হেল্থ টিপস্-৬৩  ▌ যেভাবে ভাত খেলে জমবে না মেদ: 

ভাত রান্নার কৌশলে আনতে হবে পরিবর্তন। গরম ফুটন্ত পানিতে চাল দেওয়ার আগে একটু নারিকেল তেল যোগ করুন। মোটামুটি যে পরিমাণ চাল নেওয়া হচ্ছে তার তিন শতাংশ পরিমাণ তেল হলেই চলবে। হাফ কাপ চালের ভাত রান্না করতে চাইলে এক চা-চামচ তেল যোগ করুন। ভাত হওয়ার পর তা রেফ্রিজারেটরে ঠা-া করুন ১/২ ঘণ্টা। খাওয়ার সময় শুধু গরম করে নিন। নারিকেল তেল মেশানোর কারণে চালের মধ্যে থাকা স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজ ও গ্লাইক্লোজেনে পরিণত হয়। এই গ্লাইক্লোজেনের কারণেই মেদ জমে। এভাবে রান্না করা ভাত খাওয়ায় মেদ জমার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। তবে পান্তা ভাত ধুয়ে নিয়ে খেলে উপকার হবে না, ভেজানো পানিসহই খেতে হবে।  


হেল্থ টিপস্-৬৪  ▌ খাবারের ফরমালিন দূর করবেন যেভাবে: 

খাবার থেকে ফরমালিন অপসারণ করতে চাইলে পানির কল ছেড়ে তার নিচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। কারণ কাঁচা সবজি ও ফলের ত্বকে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। আর পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিন আরো ভালোভাবে খাবারে মিশে যেতে পারে। ভিনেগার বা লেবুর রসে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখেও ফরমালিন দূর করা যায়। 

মোজায় দুর্গন্ধ দূর করতে যা করবেন: ১) সুতির মোজা ব্যবহার করুন। ২) যাদের এমন সমস্যা হয়, তাদের ঘন ঘন চা বা কফি না খাওয়াই ভাল। ৩) মশলাদার (¯পাইসি) খাবার এড়িয়ে চলুন ৪) সপ্তাহে অন্তত একবার জুতার ভিতরে সুগন্ধি পাউডার দিয়ে, ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ৫) মাঝে মধ্যে জুতাগুলোকে রোদে দিন। ৬) একই মোজা দু’দিনে ব্যবহার করবেন না। ৭) নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন। ৮) ভাল করে পা মুছে, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।


হেল্থ টিপস্-৬৫  ▌ডিম পোচ না সেদ্ধ? কোনটায় উপকার বেশি?:  

১) চিকিৎসকদের কথায় ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। সকালের নাস্তায় একটা সেদ্ধ ডিম দরকার। ২) ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। যা কিনা শিশুদের দাঁত, হাড় শক্ত করে। গর্ভবতী নারীদেরও নিয়মিত খাওয়া উচিত সেদ্ধ ডিম। ৩) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সেদ্ধ ডিম।  ৪) অনেকের ভ্রান্ত ধারণা ডিম খেলে নাকি মেদ বৃদ্ধি হয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন উলটো কথা। সেদ্ধ ডিম খেলে শরীর থেকে মেদ ঝরে দ্রুত। ৫) হঠাৎ করে ক্লান্ত বোধ করছেন বা প্রেসার কমে গেছে? এমন হলে শরীরে দ্রুত এনার্জি আনতে ডিম খান। তবে উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা সতর্কও করেছেন। তাদের মতে, সেদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো হলেও বেশি খাওয়া ভালো না। যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাদের বেশি সেদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না। 


হেল্থ টিপস্-৬৬  ▌ দুধ চা ভালো, না  লাল চা: 

দুধ চা কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়ায়। দুধ চায়ে ট্যানিন থাকে যা আমাদের পেটের অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় এবং তার ফলে প্রায়শই কোস্টকাঠিন্য হয়ে থাকে। খালিপেটে চা আমাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনেও অস্বস্তির ভাব এনে দেয় এবং গ্যাস্ট্রাইটিস এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। গ্রীন টি খেলে শুধু মন নয় শারীরিক নানান সমস্যার সমাধান হয়। এমনকি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে এই চা খুবই কার্যকরী। আদা চা কমাবে, মানসিক চাপ: চায়ের সাথে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারিতা বাড়ে কয়েকগুণ। কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা।  আদা হজমেও সহায়ক। পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে আদা চা।


হেল্থ টিপস্-৬৭  ▌ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার: 

১) সবুজ চা : সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে। ২) মাছ: মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। ৩) টক দই : টক দই রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ৪) ডিমের সাদা অংশ :  ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৫) লেবু : জাম্বুরা, কমলা, লেবু এবং লাইমস ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে। ৬)সবুজ শাকসবজি : গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে-সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। ৭) শস্য দানা : শস্য দানা মানুষের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ৮) বাদাম : ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় বিভিন্ন রকমের বাদাম। ৯) মটরশুটি : এতে উচ্চমাত্রায় শর্করা, চর্বিহীন প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে।


হেল্থ টিপস্-৬৮  ▌মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় লবণ: 

লবণ মানুষের বিপাক প্রক্রিয়া পরিবর্তিত করে। এতে করে শরীর চর্বি গ্রহণ করে বেশি। দেখা যায়, যারা মোটা, তাদের মূত্র নমুনায় লবণ গ্রহণের হার বেশি। প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রতি ১ গ্রাম লবন ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করে। লবণের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন বৃদ্ধির হার ভয়াবহ। 

চিনি তামাকের মতো ক্ষতিকর:  চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়। চিনি অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বেই। হানা দেবে ডায়াবেটিস! চিনির মূল্য কম হওয়াতে চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়, যা আরো ক্ষতিকর।


হেল্থ টিপস্-৬৯  ▌দুগ্ধজাত খাবারে পুরুষের বন্ধ্যাত:

 পূর্ণ ননীযুক্ত (ফুল ফ্যাট) দুগ্ধজাত খাবার প্রতিদিন খুব অল্প পরিমাণে খেলেও তা পুরুষের প্রজননক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নষ্ট করে দেয়। মাখন বা আইসক্রিম কিংবা পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ  নিয়মিত খেলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে পুরুষের। কারণ দুগ্ধজাত খাবার শরীরে এস্ট্রোজেনের মাত্রা (স্ত্রী হরমোন) বাড়ায়। যা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করে।

কনডেন্সড মিল্কের নামে কী খাচ্ছি: কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ গুড়ো দুধ, সয়াবিন ও পাম ফ্যাট ব্যবহার করে কনডেন্সড মিল্ক তৈরি অব্যহত রেখেছে। এসব স্টেরিন হজম না হওয়ার কারণে এটি মানবদেহে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। চায়ের দোকানে এই কনডেন্সড মিল্কের চা খেয়ে সব বয়সের মানুষ বিষাক্ত রসায়ন গ্রহণ করছে প্রতিনিয়ত।


হেল্থ টিপস্-৭০  ▌হেঁচকি উঠলে কি করবেন: 

বুক এবং পেটের সংযোস্থলে ডায়াফ্রাম নামের একটি পাতলা পর্দা রয়েছে, যা দু-দিকের প্রত্যঙ্গগুলোকে আলাদা করে রেখেছে। এই পর্দায় কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পর্দা দ্রুত সংকুচিত-প্রসারিত হতে শুরু করে। ফলে দেখা দেয় হেঁচকি। ▪  সাধারণ কারণ : খাবার খুব ঝাল বা টক অথবা ঝাঁঝালো হলে হেঁচকি উঠতে পারে। তবে এটা ক্ষণস্থায়ী। খানিকক্ষণের মধ্যে ব্যাপারটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।  ▪  পেট এবং বুকের কিছু অসুখে হেঁচকি উঠতে পারে। যেমন, ▪  পেট ফাঁপা, গ্যাস; ▪  অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস; ▪  লিভারের কিছু অসুখ, যেমন অ্যাকিউট হেপাটাইটিস, লিভার অ্যাবসেস, হেপাটিক ফেলিওর ইত্যাদি।  হলে কি করবেন? ▪  ঠাণ্ডা পানি খান দু-এক গ্লাস। পারলে তাতে বরফ দিয়ে নিন। ▪  জোরে শ্বাস টেনে শ্বাস বন্ধ করুন। এবার খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি করুন। শ্বাস ছাড়বেন না। দরকার হলে নাক-মুখ চেপে রাখুন। একে বলে ভালসালভা ম্যানিউভার। 


হেল্থ টিপস্-৭১ ▌যেভাবে ভাত খেলে জমবে না মেদ: 

ভাত রান্নার কৌশলে আনতে হবে পরিবর্তন। গরম ফুটন্ত পানিতে চাল দেওয়ার আগে একটু নারিকেল তেল যোগ করুন। মোটামুটি যে পরিমাণ চাল নেওয়া হচ্ছে তার তিন শতাংশ পরিমাণ তেল হলেই চলবে। হাফ কাপ চালের ভাত রান্না করতে চাইলে এক চা-চামচ তেল যোগ করুন। ভাত হওয়ার পর তা রেফ্রিজারেটরে ঠা-া করুন ১/২ ঘণ্টা। খাওয়ার সময় শুধু গরম করে নিন। নারিকেল তেল মেশানোর কারণে চালের মধ্যে থাকা স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজ ও গ্লাইক্লোজেনে পরিণত হয়। এই গ্লাইক্লোজেনের কারণেই মেদ জমে। এভাবে রান্না করা ভাত খাওয়ায় মেদ জমার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। তবে পান্তা ভাত ধুয়ে নিয়ে খেলে উপকার হবে না, ভেজানো পানিসহই খেতে হবে।


  --:: সাধারণ স্বাস্থ্য সম্পর্কীত ::--


হেল্থ টিপস্-৭২ ▌ঠাণ্ডা-সদিতে করণীয়:

 আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় কম কার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। আবার, যাদের ভিটামিন-ডি’র অভাব হয়, তাদের সর্দি-কাশিতে কাবু করে বেশি।   সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সপ্তাহে দুই দিন অন্তত ৫ থেকে ৩০ মিনিট থাকতে হবে। মুখে হাত দেওয়ার পাশাপাশি হাতে অনেক জিনিস ধরা হয়। এতে হাত থেকে মুখে সহজেই ভাইরাস যেতে পারে। তাই কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান ব্যবহার করে নিয়মিত হাত ধুয়ে নেবেন। তাহলে ঠা-া লাগা কমবে। দরজার হাতল, সিঁডির রেলিং, টয়লেটের সেনেট্যরি সামগ্রী ইত্যাদির চেয়ে ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে মোবাইল ফোনে। শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে ভাইরাসের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। সামুদ্রিক মাছ, গরু-খাসির কলিজা, আটা-ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত খাদ্য, শিমজাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল, চিনাবাদাম, মাশরুম, সয়াবিন ও ঝিনুকে জিংক পাওয়া যায়।


 হেল্থ টিপস্-৭৩ ▌জ্বর: 

ভাইরাস জ্বর সাধারণত  দু-তিন দিনের মধ্যে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।  ▪ কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পরিপূর্ণভাবে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবেন না। ▪  জ্বর খুব বেড়ে গেলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ার দরুণ বারবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়। বেশি ঘাম হলে অল্প হাওয়ায় ঘাম শুকিয়ে নেবেন। বা ইচ্ছে হলে গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নিতে পারেন। বেশি ঢাকা চাপা দিয়ে রাখবেন না। ঘামে ভেজা জামাকাপড়ও যেন বেশিক্ষণ পরা না থাকে। ▪  ঘামের দরুণ প্রচুর পানি বেরিয়ে যায় বলে নুন-চিনির শরবত, ফলের রস ইত্যাদি খেলে আরামবোধ করবেন। ▪  জ্বর খুব বেড়ে গেলে সাধারণত ১০২ ডিগ্রির উপর উঠলেই, ঠা-া পানিতে ভালো করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি হলে শরীরে ঠাণ্ডা পানি বা বরফ পানিতে ভেজা কাপড় জড়িয়ে বাতাস করতে হবে। জ্বর হলে কিছুটা অরুচি হয় তাই সুষম খাবার খেতে হবে।


 হেল্থ টিপস্-৭৪  ▌ ঘুসঘুসে জ্বর: 

▪  দিন সাতেকের মধ্যে জ্বর এবং কোনো অসুবিধে থাকলে তা না কমলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ▪ জ্বর চলাকালীন সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার পেটভরে খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্যুপ, শরবত, পানি, ফলের রস ইত্যাদি তরল খাবারের পরিমাণ খানিকটা বাড়িয়ে দিন। শরীরে ক্লান্তিভাব থাকলে একটা করে ভিটামিন ট্যাবলেটও খেতে পারেন।  ▪  ঠা-া পানি, আইসক্রিম ইত্যাদি ফ্রিজের ঠা-া খাবার এ-সময় বাদ দেবেন। গলায় কষ্ট থাকলে বেড়ে যেতে পারে।  ▪  শরীর এ-সময় বিশ্রাম চায়। রোদে ঘোরাঘুরি করা, বেশি কাজকর্ম করা বন্ধ রাখতে পারলে ভালো।  ▪  প্রয়োজনে দু-একটা জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা কমানোর ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া শুরু করবেন না। রোগ চাপা পড়ে বিপদ হতে পারে। ▪  অধৈর্য হয়ে ঘনঘন ডাক্তার বদল করবেন না,কিছু বিশেষ পরীক্ষার প্রয়োজন হয় এবং সেগুলো না করে কোনো ডাক্তারই চিকিৎসা দিতে পারবেন না। 


 হেল্থ টিপস্-৭৫  ▌ জিকা ভাইরাস-এর লক্ষণ ও করণীয়: 

ক। প্রতি পাঁচজন অসুস্থে ১ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। খ। জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ফুসকুড়ি ওঠা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, চোখ লাল হওয়া। অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলো হলো মাংসপেশিতে ব্যথা এবং মাথা ব্যথা । তবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে এটিকে শনাক্ত করা যায় না, শনাক্ত করতে বা এর লক্ষণগুলো বুঝতে কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। গ। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ বেশি অসুস্থ হন না এবং এই ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যান না । এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে যা যা করবেন: ১। বেশি বেশি বিশ্রাম নিন। ২। দেহে পানি স্বল্পতারোধে বেশি করে পানি পান করুন । ৩। জ্বর ও ব্যথা কমাতে ঔষধ খেতে পারেন। ৪। আপনি যদি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন , তাহলে অসুস্থ হওয়ার প্রথম সপ্তাহ মশার কামর থেকে দূরে থাকুন। ৫। একটি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মশা এই ভাইরাস ছড়ায়।


হেল্থ টিপস্-৭৬  ▌  ডেঙ্গুর লক্ষণ ও করণীয়: 

▪  ডেঙ্গু মশা কোনো পাত্রের কাণায় ৬০ থেকে ১০০টি ডিম দেয়। ডিমগুলো এক বছরের অধিক সময় পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। যখন পাত্রটি পানিতে পূর্ণ হয়ে উঠে, তখন দ্রুত ডিম ফুটে যায়। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে।  ▪  এ মশা ৩০ দিনের মতো বেঁচে থাকতে পারে। এডিস মশা সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে কামড়ায়।  ডেঙ্গু  জ্বরের ২টি ভাগ: ১ম (এ') ক্যাটাগরিতে জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে আবারো জ্বর আসতে পারে। ২য় ('বি') ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের পেটে ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে প্রচুর কিংবা সে কিছুই খেতে পারছে না। শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‌্যাশ) হতে পারে।  ▪  প্রচুর তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ▪ খাবারে করলা থাকবে প্রতি বেলায়। ▪ পেঁপে পাতার জুস রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। 


হেল্থ টিপস্-৭৭ ▌চিকুনগুনিয়া'র লক্ষণ ও করণীয়: 

“চিকুনগুনিয়া জ্বরের লক্ষণগুলো অন্যান্য সকল ভাইরাল জ্বরের মতোই। হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথাই এই রোগের একমাত্র স্বতন্ত্র উপসর্গ। সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালাপোড়া, বমিভাব, শারীরিক দুর্বলতা, সর্দি-কাশি, র‌্যাশ ইত্যাদি তো আছেই।” “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়। তবে হাড়ের জোড়ের ব্যথা নাছোড়বান্দায় রূপ নেয়। ব্যথার তীব্রতাও প্রচ-। ফলে রোগীর স্বাভাবিক হাঁটাচলা, হাত দিয়ে কিছু ধরা এমনকি হাত মুঠ করতেও বেশ কষ্ট হয়। আর শরীর প্রচ- দুর্বল হয়ে পড়ে।”  পরামর্শ: ▪  প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পর কিংবা তিনবেলা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো উপকার নেই বরং সমস্যা তৈরি করতে পারে। ▪  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর শরবত ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিরোধ : জানালায় নেট লাগানো, দরজা খোলা না রাখা, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।


হেল্থ টিপস্-৭৮ ▌হাঁচি হলে করণীয়: 

ক্ষতিকর কিছু নাকে এসে ঢুকলে, ধুলো, জীবাণু, অ্যালার্জেন ইত্যাদি, শুরু হয় হাঁচি। মূল উদ্দেশ্য বস্তুটিকে বার করে দেওয়া। সেই অর্থে হাঁচি মঙ্গলজনক।  উপসর্গ : ▪  ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্য কোনো ভাইরাস সংক্রমণ : হাঁচি, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথাা ইত্যাদি।▪  অ্যালার্জি : ঘুম থেকে উঠে হাঁচি শুরু হয়। তার সঙ্গে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা। হলে কী করবেন? ▪ ঠা-া লেগে হলে অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ খান। ▪  তুলোর বালিশ, তুলোর তোষক, লেপ ইত্যাদি ব্যবহার করা বন্ধ করুন। ▪  ঘর ঝাড়মোছ করা, বিছানা ঝাড়া ইত্যাদি ঘরোয়া কাজ, যেখানে ধুলো ওড়ার সম্ভাবনা আছে তা করতে নাকে-মুখে মোটা কাপড় পেঁচিয়ে নিন।  ▪  ঘরে কার্পেট পাতা একেবারেই চলবে না। সেরকম সমস্যা হলে পর্দা এবং এসি মেশিনও বাদ দিতে হতে পারে। ▪  বালিশ, বিছানা নিয়মিত রোদে দেবেন। ▪ ধূপকাঠি, মশার ধূপ, সুগন্ধীর ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। 


হেল্থ টিপস্-৭৯ ▌ কাশি হলে কি করবেন?: 

অল্পস্বল্প, দু-চারদিনের কাশি কী সপ্তাহখানেকের, তবু ঠিক আছে। এর বেশি হলে ডাক্তার দেখাবেন। কাশি কেন হয়? ▪  দু-চারদিনের কাশির সঙ্গে জ্বর, গলাব্যথা হলে সাধারণত তা গলা বা বুকের সাধারণ থেকে মাঝারি কোনো সংক্রমণের দরুণ হতে পারে। ▪  কাশির সঙ্গে রক্তের ছিটে থাকলে ভাবতে হবে ফুসফুসের যক্ষ্মা, টিউমার, ক্যান্সার, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস নামে ফুসফুসের অসুখ, কিছু হার্টের অসুখ যেমন ভি এস ডি বা মাইট্রাল স্টেনোসিস ইত্যাদির কথা।▪  কাশির সঙ্গে অল্পবিস্তর হাঁপের টান ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, ক্রনিক হার্টফেলিওর বা হাঁপানি থেকে হতে পারে। ▪  কাশি, সর্দি, গলাজ্বালা, মাথাব্যথাÑ ক্রনিক সাইনোসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ▪  কাশি, মাঝে মাঝে গলায় ব্যথা, ঢোক গিলতে কষ্টÑ ফ্যারিনজাইটিস বা টনসিলাইটিস আছে কি-না দেখুন। ▪  কানে খোল জমলে। হলে কী করবেন? ▪  দিনে দু-তিনবার অন্তত নুন গরম পানিতে গার্গেল করুন। ▪  ঠাণ্ডার কিছু খাবেন না। 


হেল্থ টিপস্-৮০ ▌খুসখুসে কাশি হলে কী করবেন?: 

খুসখুসে কাশি কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসের জন্যও থাকতে পারে, কারণ ভাইরাসের কারণে শ্বাসনালি ফুলে এবং অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে। ঋতু বদলের সময় ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কাশির প্রকোপ বাড়ে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। কাশির সঙ্গে জ্বর, কফ ইত্যাদি থাকলে ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া কি না ভাবতে হবে। দীর্ঘদিনের (যেমন তিন সপ্তাহের বেশি) কাশি, ঘুসঘুসে জ্বর, ওজন হ্রাস, কাশির সঙ্গে রক্ত যক্ষ্মার লক্ষণ হতে পারে। রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া, বুকে শব্দ ও পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস থাকলে অ্যাজমা হতে পারে। একে বলে কফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা। ভারী বা চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর বুকে জ্বালাপোড়া বা টক ঢেকুরের সঙ্গে খুক খুক কাশিও হতে পারে।  নিরাময়ের উপায়: যখন ঠাণ্ডা অথবা ফ্লু হবে, তখন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে। ধুলাবালুতে কাশি হলে ঘর ঝাড়– দেওয়া, ঝুল ঝাড়া এড়িয়ে চলুন। 


হেল্থ টিপস্-৮১  ▌মাথাব্যথা হলে কি করবেন?: 

জ্বর, সর্দি, ঠা-া লাগা ইত্যাদি সবকিছুর সঙ্গেই টিপটিপ বা দপদপে মাথাব্যথা সঙ্গী হয়ে থাকে। কিন্তু সে সাময়িক। ▪  মাথায় চোট লাগার পর ব্যথা হলে এমনিতেই কয়েক মাস বাদে চলে যায়। উপসর্গ -▪  মাথায় কি বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মতো ব্যথা? এবার তাহলে একটু খেয়াল করে দেখুন টেনশন, অতিরিক্ত পরিশ্রম, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা, ঝগড়া-অশান্তি ইত্যাদি কোনো শারীরিক বা মানসিক চাপের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না। থাকলে আপনি ভুগছেন টেনশন হেডেকে। ▪  মাইগ্রেনের ব্যথা একদিক বা দু-দিকের কপালে বা মাথায়। সঙ্গে থাকে আলো এবং আওয়াজে অস্বস্তি, বমিভাব বা বমি। ▪  মাইগ্রেন মহিলাদের বেশি হয়। বিশেষ করে পিরিয়ডের সময়।  ▪  চোখের কারণে মাথাব্যথা হলে চোখ এবং মাথা ভারী হয়ে আসে, কপাল ব্যথা করে।  ▪  সাইনোসাইটিসে মাথার যন্ত্রণা বাড়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। সকালের দিকে কম থাকে। 


হেল্থ টিপস্-৮২  ▌ মাথা ঘোরা সমস্যা হলে:  

▪   বসা বা শোয়া অবস্থা থেকে উঠলে বা পাশ ফিরলে যদি মনে হয় দেওয়ালসুদ্ধ ঘুরে যাচ্ছে, সঙ্গে অল্পবিস্তর কাশি, কানের মধ্যে শোঁ শোঁ আওয়াজ, বমি ইত্যাদি থাকেÑতাহলে মাথা ঘোরার কারণ সম্ভবত কানের কোনো সমস্যা। ▪  চোখ অন্ধকার করে মাথা ঘুরে উঠলে বিশেষ করে বসা অবস্থা থেকে উঠলে, হৃদরোগের কথা মাথায় রাখতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ওষুধের জন্য এমন হচ্ছে কি-না জানা দরকার।  ▪  মাথার মধ্যে ঝিমঝিম করছে, হাঁটতে গেলে টলে যাচ্ছে পা, ব্যালান্স থাকছে নাÑ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কারণ কিছু ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় যেমন এরকম হতে পারে, হতে পারে ব্রেন টিউমার বা মাইল্ড স্ট্রোকেও। কী করবো?  ▪  ডায়াবেটিকস থাকলে  কতক্ষণ আগে ইনসুলিন নিয়েছেন বা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা গ্লুকোজ বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে নিন। ▪  চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন বেশ কিছুক্ষণ। 


হেল্থ টিপস্-৮৩  ▌জন্ডিস হলে করণীয়: 

রক্তে বিলিরুবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ২ মিলিগ্রামের উপরে উঠলে চোখের সাদা অংশ হলুদ রং হয়। প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। জিহবার নিচের ঝিল্লীও হলুদ হয়। সর্বশেষে শরীরের চামড়াও হলুদ হয়। জন্ডিস ভাব দূর হয়ে এমনিতেই সেরে যায়। জন্ডিস রোগকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। ০১। যেমন: পিত্তকোষে পাথর হয়ে পিত্তনালির পথ বন্ধ হয়ে গেলে, পিত্তনালির গাত্রে ক্ষত সৃষ্টি হলে, পিত্তনালির বাহিরে চাপ সৃষ্টি হলে, ০২। ম্যালেরিয়া, ব্লাকওয়াটার ফিভার প্রভৃতি রোগে লোহিত রক্ত কণিকা নষ্ট হলে  জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। ০৩। অনেক জীবাণু বা ভাইরাস দ্বারা কিংবা কতকগুলো ঔষধে লিভারের উপর বিষক্রিয়ার ফলে পিত্তনালির পথ বন্ধ হয়ে গেলে জন্ডিস রোগের উৎপত্তি হয়। করণীয়: পরিমাণ মতো পানি গ্রহণ করুন।  স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করুন।  লিভার পরিশোধনেও আনারস খুবই উপকারী। পাশাপাশি আখের শরবত। পেঁপে, কলা, আপেল, মাল্টা খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। 


হেল্থ টিপস্-৮৪ ▌অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে যা করণীয়:  

পেটের ভেতর বৃহদন্ত্রের শুরুতে হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি অংশ আছে, তাকে অ্যাপেন্ডিকস বলে। এই অ্যাপেন্ডিকসে ইনফেকশন হলে তাকে বলা হয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস। সাধারণত সমৃদ্ধ পরিবারের ছেলেমেয়ে যারা বেশি প্রোটিন ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের এ রোগ বেশি হয়। লক্ষণ: প্রথমে সারা পেট ব্যথা,পরে তলপেটের ডানদিকে ক্রমাগত ব্যথা হয়। নড়তে-চড়তে গেলে এ ব্যথা বাড়ে। ব্যথার সঙ্গে বমি,জ্বর, প্রস্রাবের সমস্যা, পায়খানায় সমস্যা,খাবারে অনীহা, পেট ফেঁপে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। চাপ দিয়ে পায়খানা করলে, অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসা: ফেঁপে যাওয়া অ্যাপেন্ডিকসটা অপারেশন করে ফেলে দেওয়া। এটি একটি ছোটো অপারেশন। লেপারোস্কপির সাহায্যেও চমৎকারভাবে এ অপারেশন করা যায়। যথাসময়ে চিকিৎসা না করলে অ্যাপেন্ডিকস ফেটে যেতে পারে, পচে যেতে পারে, পুঁজ জমে যেতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-৮৫  ▌হঠাৎ ঘাড় শক্ত হলে করণীয়: 

সকালবেলা একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখেন ঘাড় শক্ত হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে ঘাড়ের পেশি আকস্মিকভাবে টান খাওয়ার কারণে। কারণগুলো হচ্ছে- * ঘাড় বাঁকা করে শোয়া। * ভুল ভঙ্গিতে ঘাড় বাঁকা করে দীর্ঘসময় ধরে টিভি দেখা বা বই পড়া বা ক¤িপউটারে কাজ করা। * কোনো আকস্মিক আঘাত (যেমনÑহঠাৎ ব্রেক কষার কারণে) * দীর্ঘসময় ধরে ঘাড় ও কাঁধের মাঝখানে ফোন ধরে কথা বলা ইত্যাদি। অনেক সময় ঘাড়ের মেরুদ-ের হাড় ক্ষয়, হাড়ে সংক্রমণ বা ডিস্ক সরে যাওয়ার কারণেও এমন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ শক্ত ঘাড় এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। হঠাৎ এ সমস্যা দেখা দিলে ঘাড়ে ঠা-া সেঁক দেওয়া  যেতে পারে। পাতলা বালিশ ব্যবহার করে শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন। অনেকক্ষণ ঘাড় নিচু করে কাজ করবেন না। ক¤িপউটারের মনিটরের উচ্চতা ঠিক করুন। শুয়ে কাত হয়ে টিভি দেখা, বই পড়ার মতো কাজ চলবে না। 


হেল্থ টিপস্-৮৬ ▌ফ্রোজেন শোল্ডার (কাঁধ ব্যথা) হলে করণীয়: 

কাঁধের সন্ধিতে ব্যথা। হাত ওপরে তুলতে পারেন না। চুল আঁচড়াতে কষ্ট, পেছনে বোতাম লাগানো বা পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখা অসম্ভব হয়ে উঠছে। এই সমস্যার নাম ফ্রোজেন শোল্ডার। কোনো আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর কাঁধের নড়াচড়া কম করা হলে সন্ধিটা জমে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও পক্ষাঘাতে বা স্ট্রোকের পর এটা খুবই পরিচিত সমস্যা। তবে যে কারণেই হোক, ফ্রোজেন শোল্ডার পুরোপুরি সারতে সময় লেগে যায়। তবে ৯০ শতাংশ ফ্রোজেন শোল্ডার  ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে সেরে যায়। পরামর্শ ● হাতের পেন্ডুলাম মুভমেন্ট করুন। অনেকটা নৌকা বাওয়ার মতো ব্যায়াম। ● সুস্থ হাতটি দিয়ে আক্রান্ত হাতকে ধরে ওপর দিকে তুলুন, এবার মাথার পেছন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এই ব্যায়ামটা দিনে কয়েকবারই করুন। ● আক্রান্ত হাত দিয়ে সামনে বাতাসে বৃত্ত তৈরি করুন। যতটা সম্ভব বড়ো পরিধির বৃত্ত তৈরি করতে চেষ্টা করুন।


’হেল্থ টিপস্-৮৭  ▌হাত পা ঝিনঝিন করা: 

কিছুদূর হাঁটলে বা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে ঝিনঝিন করে ব্যথা শুরু হয়। কয়েকটি কারণে হয়Ñ ▪  পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা কোনো কারণে হাত, পা, আঙুলের স্নায়ুর দুর্বলতা। ▪  কোনো স্নায়ুপথ চেপে যাওয়ার জন্য স্নায়ুর দুর্বলতা। ▪  স্পন্ডাইলোসিসের দরুণ স্নায়ুতে চাপ বাড়া। ▪  অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। ▪  যক্ষ্মা, মৃগী ইত্যাদি অসুখে ব্যবহৃত ওষুধপত্র।▪ হরমোনের গ-গোল যেমন, হাইপোপ্যারাথাইরয়েডিজম, পিটুইটারি হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি। ▪  রক্তে পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি। কী করবেন? ▪  রোগ বেড়ে স্নায়ুতে চাপ দেওয়া শুরু হলে সেই ব্যথা ধীরে ধীরে নামে হাতে।  এটা  বোঝা যায় কোনো কিছু শক্ত মুঠোয় ধরতে অসুবিধে হওয়া। রোগের গতিবিধি জানতে এক্সরে এবং এম আর আই স্ক্যান করা হয়। তারপর অবস্থা বুঝে দেওয়া হয় কিছু ব্যায়াম। মেনে চলতে হয় শোয়া-বসার কিছু নিয়ম। এর সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে কিছুদিনের জন্য কলার পরতে হয়। 


হেল্থ টিপস্-৮৮ ▌হাতে বা পায়ে ঝিঁঝি ধরা: 

দীর্ঘক্ষণ বসা বা শোয়ার পর যদি হাত বা পা এমন অবস্থানে বেশ কিছুক্ষণ থাকে যেখানে সেটির ওপর লম্বা সময় ধরে চাপ পড়ে, তখন ঝিঁঝি ধরার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের যে ধরনের ঝিঁঝি ধরার অভিজ্ঞতা হয়, তা সাময়িক এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তবে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘসময় ঝিঁঝি ধরার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বা ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় কোনো একটি অঙ্গে অসাড়তা অনুভব করার ঘটনা ঘটতে পারে। মেরুদ-ে আঘাতজনিত সমস্যা থেকে ‘সার্ভাইকাল ¯পন্ডাইলোসিস’ এর ক্ষেত্রে হাতে পায়ে ঝিঁঝি ধরার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া হাতে বা পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ‘পেরিফেরাল আর্টারাল ডিজিজ’ হিসেবে ঝিঁঝি ধরতে পারে। ডায়বেটিসের কারণে ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথি নামক একটি রোগ হয়, যার কারণে হাত পায়ে ঝিঁঝি ধরে। দীর্ঘসময় ঝিঁঝি ধরার উপসর্গ থাকলে ডাক্তার দেখাবেন। 


হেল্থ টিপস্-৮৯ ▌পা ফোলায় করণীয়: 

▪  বয়স্ক মানুষদের পায়ের মাংশপেশি কিছুটা শিথিল হয়ে যায় বলে বেশি চলাফেরা করলে বা অনেকক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলে এমনিতেই পা একটু ফুলতে পারে। ▪  রক্তাল্পতা খুব মারাত্মক রূপ নিলে পা ফোলে। পা ফুলতে পারে নানান কারণে। যেমন- ▪  হার্ট ফেলিওরে। ▪ কিডনি ফেলিওর হলে। ▪  হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে। ▪  লিভার ফেলিওরে।  ▪  কনস্ট্রিকটিভ পেরির্ডাইটিস নামের হৃদরোগে।▪  ভেরিকোস ভেনের সমস্যা থাকলে। ▪  গর্ভাবস্থায় অল্পস্বল্প পা ফুলতে পারে। কি করবেন? ▪  দু-পা ফুললে পা ঝুলিয়ে বসা বন্ধ করে দিন। চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করার সময় টুলের উপর পা ছড়িয়ে রেখে বসুন। রাত্রে শোয়ার সময় পা রাখুন বালিশের উপরে। ▪ সাময়িকভাবে হাঁটাচলা বা দাঁড়ানো কমিয়ে দিয়ে দেখুন । ▪  দু-একদিন অপেক্ষা করার পর পা ফোলা না কমলে এবং এর সঙ্গে বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, পেট ফোলা, জন্ডিস, ক্লান্তি, দুর্বলতা ইত্যাদি থাকে, ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 


হেল্থ টিপস্-৯০ ▌ পেশি টান ধরা থেকে রেহাই  পেতে কি করবেন?: 

হঠাৎ করে কারো যদি কখনো পেশিতে টান ধরে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ তাকে এক-দুই গ্লাস পানি পান করে নিতে হবে। এতে পেশি টানের ভাবটা ধীরে ধীরে কমে যাবে। পেশি টান বা মাসল স্ক্রা¤প অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কষ্টের। শরীরে খনিজ উপাদান পটাসিয়াম ও পানির অভাব হলে পেশি টান ধরে। শীতে এই সমস্যাটা বেশি হয়। কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে প্রায় ঘণ্টাখানেক স্থায়ী থাকে এই ব্যথা। যাদের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে তাদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, মিষ্টিআলু, শিম, বাদাম প্রভৃতি বেশি বেশি খাওয়া উচিত। পটাসিয়ামের চমৎকার উৎস হলো কলা। মিষ্টি আলুও কলার মতোই পটাসিয়ম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। এমনকি কলার চেয়েও ছয়গুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে মিষ্টি আলুতে। এই খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে শরীরে যাতে পানির অভাব না হয়।


হেল্থ টিপস্-৯১  ▌সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়: 

মুখের হাড়ের ভিতরে চার জোড়া ফাঁপা বায়ুপূর্ণ জায়গা আছে যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। কোনো কারণে যদি সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লির মধ্যে প্রদাহ (জ্বালা) হয় তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। সারাক্ষণ মাথায় অস্বস্তি, নাকের মাঝে ভারি লাগা, কপালে অস্বস্তিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে সাইনোসাইটিস। মুক্তির কয়েকটি উপায়-১) সাইনোসাইটিসের সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। ২) সাইনোসাইটিস সমস্যায় গরম পানির ভাপ নিলে নাসিকা-পথ ভেজা থাকবে এবং সহজেই শ্লেষ্মা বের হয়ে আসবে। তাই গরম পানিতে লবণ  মিশিয়ে নিয়ে দিনে দু বার ভাপ নিন। ৩) সাইনোসাইটিসে গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এরপর এই তোয়ালেটা মুখের উপর দিয়ে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ। ৪) বাড়ির বাইরে যতক্ষণ থাকবেন, চেষ্টা করবেন কিছুক্ষণ পর পর চিনি ছাড়া গরম চা, কফি বা স্যুপ খাওয়ার। 


 হেল্থ টিপস্-৯২ ▌ সারাদিন ক্লান্ত লাগা: 

সারাদিন খুব ক্লান্ত লাগে, অবসন্ন লাগে? কোনো কাজ করতে মন চায় না? মনে হয় কেবল বিশ্রাম নিই। শরীর ব্যথা করে, ম্যাজম্যাজ করে। ঘুম ঘুম ভাব হয়। এর অর্থ হচ্ছে আপনার স্ট্রেস হরমোন খরচ হচ্ছে না। স্ট্রেস হরমোন কমাতে সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে এমনভাবে হাঁটতে হবে, যাতে হৃৎ¯পন্দন বাড়ে, রক্ত চলাচল বাড়ে। যত কাজই থাকুক, রাতে নিñিদ্র ঘুম চাই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। থাইরয়েড হরমোন, সেক্স হরমোন, ভিটামিন ডি কমে গেলেও ক্লান্তি ও অবসাদ দেখা দেয়। রক্তশূন্যতাও হতে পারে একটি কারণ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আপনার ক্লান্তি ভাব আসবেই। তাই ডায়াবেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে চেষ্টা করতে হবে।


হেল্থ টিপস্-৯৩  ▌ হঠাৎ কেউ অজ্ঞান হলে কি করবেন?: 

এক. প্রথম কাজ হবে জরুরি সেবাদানকারীকে ফোন করা। এখন ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি ব্যবস্থা সম্ভব। এ ছাড়া অনেক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আছে। দুই. অজ্ঞান ব্যক্তিকে শুইয়ে দিন এক দিকে কাত করে, যাতে মুখে, গলায় যে লালা বা নিঃসরণ আছে, তা বেরিয়ে আসতে পারে। তিন. বুকের ওঠানামা থেকে লক্ষ করুন রোগী শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে কি না। যদি বাড়িতে বা আশপাশে কারও জানা থাকে কীভাবে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস চালু করতে হয়, তবে তাঁকে ডাকুন। চার. পায়ের দিকটা একটু উঁচু করে দিন বা পায়ের নিচে বালিশ দিন। পাঁচ. ডায়াবেটিসের রোগী হলে রক্তে শর্করা কমে যেতে পারে, তাই মুখের ভেতর একটু চিনি দিয়ে দেওয়া ভালো। ছয়. রোগীর খিঁচুনি শুরু হলে আতঙ্কিত না হয়ে খিঁচুনি থামতে দিন। সবশেষ কথা, জ্ঞান ফিরে আসুক আর না আসুক তাকে প্রাথমিক পরিচর্যার পর যেকোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।


হেল্থ টিপস্-৯৪ ▌পায়ের তলায় কড়া পড়েছে, কি করবেন:  

পায়ের নিচের অংশের ত্বক শক্ত হয়ে যায় বা কড়া পড়ে অনেকের। সাধারণত অতিরিক্ত বা বারবার চাপ পড়ার কারণে চামড়ার কোনো অংশ এ রকম শক্ত হয়ে যায়। এতে ব্যথাও করতে পারে। ছোটো বা অসমতল জুতো পরে হাঁটলে কড়া পড়তে পারে। এ ছাড়া হাঁটাচলার অস্বাভাবিকতা, পায়ের ¯œায়ুতন্ত্রের সমস্যা, পায়ের অস্বাভাবিক আকৃতি, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কারণেও কড়া পড়ে। বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়।  চিকিৎসা: গোসলের সময় হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন দিয়ে পুরু চামড়ার উপরের অংশটুকু ঘষে নিলে উপকার মেলে। ডায়াবেটিস ও স্লায়ুতন্ত্রের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা নিন।  প্রয়োজনে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালিসাইলিক অ্যাসিড প্লাস্টার, ইউরিয়া ক্রিম, ল্যাকটিক অ্যাসিড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্জারি বা ইলেকট্রো সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। 


হেল্থ টিপস্-৯৫ ▌ হঠাৎ পা মচকে গেলে কী করবেন?: 

পা ফুলে গেলে এবং প্রচ- যন্ত্রণা অনুভব হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিশ্রাম। যন্ত্রণা কমে গেলেও বিশ্রাম না নিয়ে হাঁটাহাঁটি, খাটাখাটুনি করলে গোড়ালির ফোলা থেকেই যাবে। তাই এ সময় ৫ থেকে ১০ দিনের বিশ্রাম নিন। পায়ের ফোলা ভাব কমাতে সবচেয়ে উপকারী বরফ। সরাসরি বরফ দেবেন না, একটা পরিষ্কার কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে সেটা দিয়ে সেঁক দেওয়াটা সঠিক উপায়। চোট পাওয়ার প্রথম ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা বা ফোলা না কমা পর্যন্ত প্রতি এক-দুই ঘণ্টা অন্তর ১০ থেকে ২০ মিনিট ধরে আইস প্যাক লাগান। এতে ফোলা ভাব অনেকাংশে কমে যাবে। পা যত নামিয়ে বা নিচে ঝুলিয়ে রাখবেন, তত ফোলা বাড়বে। তাই দিনে অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পা ওপরে তুলে রাখুন। শোয়ার সময় হার্ট লেভেলের থেকে পা উঁচুতে রাখবেন। এতে খুব দ্রুত ফোলা ভাব কমে আসবে। কেবল জয়েন্টের চারপাশের টান লাগা মনে হলে; এ জন্য তেমন কোনো চিকিৎসারও দরকার নেই। 


হেল্থ টিপস্-৯৬ ▌পায়ের ক্লান্তি দূর করুন সহজেই:  

এত হাঁটাহাটিতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে পায়ের পাতায়। পায়ের এই ক্লান্তি কাটাতে কিছু ব্যায়াম। টো রেইজ: চেয়ারে বসে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। এ বার গোড়ালি মাটির সঙ্গে লাগিয়ে রেখে টো উপর দিকে তুলুন। একই ভাবে টোয়ের উপরে ভর দিয়ে গোড়ালিও তুলুন। এ ভাবে দশ বার করতে হবে। টো ¯েপ্ল: গোড়ালি মাটিতে রেখে টো উপর দিকে তুলতে হবে। আঙুলগুলিকে ছড়িয়ে দিন এ বার। দশ থেকে পনেরো বার এই ¯েপ্ল করুন। পাঁচটা আঙুল মোটা রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধেও এই ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আরাম বেশি পাবেন। টো এক্সটেনশন: বাঁ পায়ের উপরে ডান পা তুলে বসুন। হাত দিয়ে ডান পায়ের টো পায়ের উলটো দিকে ধরে টানুন। এ ভাবে পাঁচ বার করে পা বদল করুন। ডান পায়ের উপরে বাঁ পা তুলে বসুন। এর পরে বাঁ পায়ের টো উলটো দিকে ধরে টানুন। 

ব্যায়াম শেষে ঈষদুষ্ণ পানিতে মিনিটখানেক পায়ের পাতা ডুবিয়ে বসুন। পানি থেকে পা তুলে ভালো করে মুছে বিশ্রাম নিতে হবে।


হেল্থ টিপস্-৯৭  ▌ হঠাৎ কাটা ছেঁড়ায় কি করবেন?: 

কাটা জায়গাটা পরীক্ষা করে দেখুন, ক্ষত কতটা গভীর এবং ব্যাপক। যদি কোনো বস্তু বা কাচের টুকরা লেগে থাকে, সেগুলো উঠিয়ে নিন। এরপর জায়গাটা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দেখেন, রক্ত পড়া বন্ধ হচ্ছে না, তবে তুলা বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জায়গাটা প্রয়োজনমতো ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। ক্ষতস্থান একটু উঁচু করে ধরে রাখলে তা রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে। খুব ছোটো ক্ষত হলে অ্যান্টিসেপটিক লাগিয়ে কাটা স্থান খোলা রাখতে পারেন। ক্ষত বড়ো হলে গজ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নেওয়া ভালো।  মূলত এ ক্ষেত্রে শিশুদের ইমিউনোগ্লোবিউলিন (টিআইজি) ইনজেকশন দিতে হয়। আর কোনো ক্ষতে টিটেনাস ইনজেকশন লাগবে কি না, সেটা নির্ভর করে ক্ষতের প্রকৃতি, কত দিন আগে বাচ্চাকে টিকা দেওয়া হয়েছিল ইত্যাদির ওপর। রক্ত পড়া বন্ধ না হলে, ক্ষত খুব গভীর হলে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বাচ্চা অজ্ঞান হলে হাসপাতালে নেবেন।


হেল্থ টিপস্-৯৮ ▌ রক্তস্বল্পতায় করণীয়: 

১) রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তি অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন। সামান্য কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। ২) অনেক সময় রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক ফ্যাকাশে হতে শুরু করে। ৩) আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতা হতে পারে। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির আয়রনের অভাবে অতিরিক্ত চুল ঝরে যেতে শুরু করে। ৪) রক্তাল্পতায় আক্রান্তকে বিষণœতায় ভুগতে দেখা যায়। সর্বক্ষণ দুর্বলতা আর মাথাব্যথা হওয়ার কারণে রোগীকে ক্রমশ বিষণœতা গ্রাস করে। ৫) রক্তাল্পতার আর একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো, হৃদ¯পন্দন বেড়ে যাওয়া। রক্তাল্পতার কারণে হৃৎপি- পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত শরীরে সঞ্চালনের জন্য পা¤প করতে পারে না। ফলে হৃৎ¯পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রতিকারের উপায় : আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা হলে আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিছু পুষ্টিকর খাবার  শাকসবজি, দুধ, মধু, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি খাবার বেশি খেতে হবে।


হেল্থ টিপস্-৯৯  ▌ বেশি ঘাম হওয়ার মোকাবিলা কীভাবে করবেন? :

 ▪ পরিবারে বংশপর¤পরায় অনেকের অতিরিক্ত ঘাম হয়। ▪  হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস এই দুই রোগে বেশি ঘাম হয়। ▪ যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ ও চিন্তাভাবনা থেকে ঘাম হয়। ▪  থাইরয়েড হরমোনের বেশি মাত্রায় ক্ষরণ হলে বুক ধড়ফড়, ঘাম, ডায়ারিয়া, রোগা হয়ে যাওয় ইত্যাদি উপসর্গ হয়। ▪ আপনি যত মোটা হবেন তত ঘাম বেশি হবে। ▪  বুকে চাপের সঙ্গে অস্বাভাবিক ঘাম কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। ▪   রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়াÑঅস্বাভাবিক ঘাম, সঙ্গে বুক ধড়ফড় ও ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়া হাইপোগ্লাইসিমিয়ার লক্ষণ। পরামর্শ- ১. প্রথমত, দিনে তিন থেকে চার বার গোসল করতে হবে। ২. বেশি করে পানিপান করতে হবে, বিশেষত, গরমকালে। ৩. খাদ্যতালিকায় মরশুমি ফল ও শাকসবজি রাখুন। গবেষণায় দেখা গেছে, হজম ভালো হলে ঘাম কম হয়। ▪   হাত ও পায়ের তালু ঘেমে গেলে সাধারণত লোশান লাগাতে হয়।


হেল্থ টিপস্-১০০  ▌ঘাম থেকে পায়ে দুর্গন্ধ হলে:  

প্রতিদিন মোজা ধুয়ে বা  পালটিয়ে পালটিয়ে ব্যবহার করুন। না হলে একই মোজা ব্যবহারের কারণে দুর্গন্ধ আরও বেশি হতে পারে।   ভিনিগার মেশানো পানিতে বা লবণ পানিতে প্রতিদিন পা ডুবিয়ে রাখুন। বেকিং সোডা আর লেবুর মিশ্রণ পায়ে মাখিয়ে রাখুন। মধু ও চিনির মিশ্রণ পায়ের স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। জুতা পরার আগে বডি ¯েপ্র জুতোর মধ্যে দিন। জুতা পরার আগে পায়ে পাউডার মেখে নিন, যাতে ঘাম কম হয়।  রোজ একই জুতা পরবেন না। মাঝে মাঝে জুতা পরিষ্কার করে রোদের মধ্যে রাখুন। এত কিছুর পরেও যদি কিছু কাজ না হয়, তা হলে অবশ্যই পার্লারে গিয়ে মাসে দুইবার পেডিকিওর করান।